সাতকানিয়ায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

দুই জামায়াত কর্মী হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ


৬ মার্চ ২০২৫ ১১:১৯

সাতকানিয়া সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের দুই ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী। সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি এবং এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি যথাক্রমে
মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন, মাওলানা আবু তাহের, জায়েদ হোসেন গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। তারা এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ‘গণপিটুনি’ আখ্যায়িত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর প্রচারণারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩ মার্চ সোমবার রাতের ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান বহু আগ থেকেই ছনখোলা গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। ছনখোলার পাহাড়, গাছ ও ইটভাটাসমূহের নিয়ন্ত্রণ নিতে নজরুল বাহিনী একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিগত সরকারের আমলে গ্রামের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে তাদের পাহাড়, ভূমি জবরদখল করেছিল। এলাকার মানুষ নজরুলের অত্যাচার-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হলেও তৎকালীন আওয়ামী সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করলেও তার বাহিনী অজ্ঞাত কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। নজরুলের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ সন্ত্রাসী এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গত ৩ মার্চ সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দুঃশাসনে নির্যাতিত, মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকাত পড়েছে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মূলত চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ ও হারুনের নেতৃত্বে দুজনকে কুপিয়ে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চন বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলায় হত্যা করা হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।