২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৩
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিসি এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সকাল থেকে অনেক শিক্ষার্থী হলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যারা ভাড়া রয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন মিডিয়া ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এ হামলায় নেতৃত্ব দেয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
বিবৃতিতে ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুনভাবে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক ধারা তৈরির যে সুযোগ এসেছে, সে সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে একটি দল পুনরায় ক্যাম্পাসে দখলদারি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের এ ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষাঙ্গনে পুনরায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিহত করতে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, একটি ছাত্রসংগঠন নিজেরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে বরাবর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের স্টাইলে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর হীন চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা এমন ঘটনায় বিস্মিত ও গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।