ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৪

এমএ জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৃষকরা আসন্ন ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আর কয়েকদিন পরই পুরোদমে মাঠে ব্যস্ত দেখা যাবে কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী অববাহিকায় ইতোমধ্যেই ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছে। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে চারা রোপণ শুরু করেছে। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন কৃষকরা জমি ইরি-বোরো চাষের উপযোগী করছে। ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আগলা করার পাশাপাশি সার দেওয়া ও শ্যালো মেশিন বসাতে শুরু করেছে। অনেক জমিতে এখনো রবি সরিষা রয়েছে। রবি সরিষা উত্তোলন করার পরই মূলত মাঠ পুরোদমে ব্যস্ত হবে প্রধান কৃষিপণ্য ধান চাষে। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় শাহজাদপুর উপজেলার সর্বত্র বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩/৪ মাস ফসলি মাঠ পানির নিচে থাকে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ২য় প্রধান কৃষি পণ্য রবি সরিষা চাষ শুরু হয়। এরপরই বন্যার পানি প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত চলে ধান চাষ। আর ১৫-২০ দিন পরই মাঠে গড়াবে শ্যালো ও বিদ্যুৎ চালিত সেচ মেশিন। তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহ না থাকায় বীজতলা নিরাপদ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের মতো এবারও ইরি-বোরো চাষাবাদ ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
পোতাজিয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী জানান, গত বছর রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছিল। বর্তমানে চারা থেকে শুরু করে ডিজেল ও সারের কোনোরকম সঙ্কট না থাকায় আমাদের মাঠে ধানের চারা রোপণের কাজ ইতোমধ্যেই কেউ শেষ করে ফেলেছেন আবার কেউ শুরু করছেন ।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমেও ইরি-বোরো চাষাবাদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এ জেলায় ইতোমধ্যেই প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।