দুঃসহ ফ্যাসিবাদী শাসন ভুললে চলবে না
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০
॥ মুজতাহিদ ফারুকী ॥
জুলাই বিপ্লব বলি বা গণঅভ্যুত্থান- কিছু এসে যায় না। কারণ নাম যাই দিই না কেন, তাতে এ সত্যের কোনো হেরফের হচ্ছে না যে, জনগণের বিপুল উত্থানের প্রচণ্ড অভিঘাতে এক মহাস্বৈরাচার সমূলে উৎখাত হয়েছে এবং ডুবে মরতে বসা জাতি শেষ মুহূর্তে পানির ওপর ভেসে উঠে এখন মুক্ত বাতাসে সবটুকু হা করে নিশ্বাস নিতে পারছে। নিপীড়নের দীর্ঘ ও প্রবল শ্বাসরুদ্ধকর নাগপাশ ছিন্ন করতে পারার যারা প্রকৃত নায়ক, তারা আমাদের বীর সন্তান, আমাদের ছাত্রসমাজ। কোনো প্রাজ্ঞ রাজনীতিক, কোনো বৃহৎ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল অথবা বিশেষ কোনো সংগঠিত শক্তিমান প্রতিষ্ঠান আন্দোলন করে অথবা অস্ত্রের জোরে জাতিকে মুক্তির এ নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেয়নি।
ছাত্ররাও রাজপথে নেমেছে আর প্রবল পরাক্রান্ত ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনা তাদের দাবি মেনে নির্বিবাদে দেশ ছেড়ে চলে গেছে- ব্যাপারটা এমন নয়। জনশক্তির এ উত্থানের পেছনে অটল, অবিচল ছাত্রদের অসম সাহসিক এক হার না মানা লড়াইয়ের ইতিহাস গড়তে হয়েছে। বন্দুকের নলের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে এবং তাদের সম্ভাবনাময় জীবন ও ভবিষ্যৎ কুরবানি দিতে হয়েছে। কাতারে কাতারে শাহাদাতের পেয়ালায় শেষ চুম্বন রাখতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শাসকের নিষ্ঠুর নির্মম ও পৈশাচিক জিঘাংসার মোকাবিলা করতে হয়েছে।
৫ আগস্টের এ বিজয়ে গোটা জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্রসমাজকে অভিনন্দিত করেছে, বুকে জড়িয়ে মোবারকবাদ জানিয়েছে এবং সকৃতজ্ঞ ভালোবাসায় অভিষিক্ত করেছে।
একা ছাত্ররাই সব কৃতিত্বের দাবিদার, আমরা তা বলছি না। খুব পরিষ্কার করেই বলি, ছাত্ররা যদি তাদের দাবির আন্দোলনে অবিচল থাকতে না পরতো এবং রংপুরের আবু সাঈদের মতো ছাত্ররা বুলেটের সামনে বুক পেতে দেয়ার অবিশ্বাস্য দুঃসাহস না করতো, তাহলে গোটা দেশবাসী, আমাদের সমগ্র জনগোষ্ঠী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্ম হতো না। রাজপথে নেমে আসার সাহস করতো না। তেমন পরিবেশই তৈরি হতো না। এ ভূমিকাটুকু মনে রেখে আমরা আজকের আলোচনার মূল প্রসঙ্গে যাবো।
ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার কণ্ঠে ছিল নতুন বাংলাদেশের দাবি, ছিল বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ার অঙ্গীকার থেকেই তারা প্যারিস থেকে ডেকে এনেছিল দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয়, গ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তাকে দায়িত্ব নিতে রাজি করানো হয়েছিল দ্বিতীয় স্বাধীনতার সদ্যফোটা সোনালি ভোরটিকে প্রাণচঞ্চল কর্মকুশলতায় সাফল্যের উচ্চতম শিখরে পৌঁছে দেয়ার। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জনগণের প্রতিনিধি হলো রাজনৈতিক দল। তাই ফ্যাসিস্টের পতন ও পলায়নের পর সবার আগে রাজনৈতিক দলকেই ডাকা হয়েছিল পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনার জন্য। সাথে ছিল আন্দোলনের মহানায়করা এবং আন্দোলনে সমর্থন সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়া বুদ্ধিজীবীদের কয়েকজন। তারা সবাই একযোগে সর্বসম্মতভাবে সম্মতি দেন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিপূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য কেউ লিখেপড়ে নির্ধারণ করে দেয়নি। স্বৈরাচারী সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে কী ভয়াবহভাবে দেশের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করেছে, কীভাবে লুটপাট আর অর্থ পাচার করে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে গেছে, গণমাধ্যমের খবর থেকে দেড় যুগের বেশি সময় পর তার একটি মোটামুটি চিত্র জনগণের সামনে স্পষ্ট হতে শুরু করে। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে জনরোষ আরও তীব্র হতে তাকে। আর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণা বা সম্মিলিত উপলব্ধি থেকেই বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে যায় যে, অন্তর্বর্তী সরকার নতুন দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সংস্কারকাজ সম্পন্ন করবে এবং মুক্ত পরিবেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে যাতে করে জনগণের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা একটি সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়- যে সরকার দেশকে সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তখন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে অথবা তাদের সংস্কারের আওতায় কোন কোন বিষয় থাকবে কিংবা কতদিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করবে এসব প্রশ্ন ওঠেনি। সাংবাদিক, পেশাজীবী; এমনকি অনেক রাজনীতিককেও বলতে শুনেছি, সংস্কারকাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হলে আড়াই থেকে তিন বছরের আগে সম্ভব নয়। এর অর্থ হলো তারা সরকারকে ওইটুকু সময় দিতে প্রস্তুত। কিন্তু কথা উঠতে সময় লাগল না।
দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর মানুষ অধিকারবঞ্চিত ছিল। ছিল না কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার, ভোটের অধিকার, ছিল না নিয়ম মাফিক চাকরি বা কর্মসংস্থানের অধিকার, ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার; এমনকি ন্যূনতম মানবাধিকারও। আইনসম্মতভাবে পাওয়া বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়া, তার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হলেও কিছু করার ছিল না। লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। নেতারা কিছু করতে পারেননি। বরং প্রেস ক্লাবের সামনে দুই দশজনের সভা-সমাবেশ মানববন্ধন করে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়েছেন এই বলে যে, আমরা বড় অসহায়। কিছু করতে পারছি না।
কিন্তু ৫ আগস্টের পর কী দেখলাম? এক মাস না যেতেই পরিস্থিতি পাল্টে গেল অথবা পাল্টে দেয়া হলো। মাসপূর্তির ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন বিষয়ে কোনো উল্লেখ না করার প্রসঙ্গ নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক। একদিকে সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর আমলা ও সুবিধাভোগীদের একের পর এক অব্যাহত ষড়যন্ত্র; অন্যদিকে নির্বাচনের দাবির মুখে গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সরকার শক্ত মাটির ওপর দাঁড়াতে পারার আগেই মাটি কাঁপতে শুরু করল, জলাভূমিতে চোরাবালির টান অনুভব করতে শুরু করল। কোত্থেকে হুহু করে উঠে এলো ১৫ বছরের গণহত্যাকারী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া রাষ্ট্রদ্রোহী, বিরোধী নেতাদের বিচারের নামে বিচারিক হত্যাকারী, জনগণের কষ্টের লাখকোটি টাকা আত্মসাৎ, তছরুপ ও বিদেশে পাচারকারী শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তস্করদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো আদৌ সম্ভব হবে কিনাÑ এমন সংশয়-সন্দেহের অপয়া বাতাস। পাঁচ মাসের মাথায় এসে বিষয়টি দাঁড়িয়ে গেল ‘অল্প সংস্কার এবং দ্রুত নির্বাচনের’ সমীকরণে। প্রধান উপদেষ্টা একাধিকবার ঘোষণা দিলেন, কতটা সংস্কার চাইলে কতদিনে নির্বাচন হতে পারে। বলা বাহুল্য, জাতি হতাশ হতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অনেকগুলো কমিশন গঠন করেছে। সংস্কারের বেশ কিছু সুপারিশও এর মধ্যে প্রণীত হয়েছে। কয়েকটির প্রাথমিক রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশও করা হয়েছে। সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো সংশয় সম্ভবত কারো নেই। শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্ধ অনুসারী ছাড়া মুক্ত দেশের প্রতিটি মানুষ সংস্কার চায়। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচন হতে হবে এবং তা যত দ্রুত হয়, ততই মঙ্গল এ বিষয়েও কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, নির্বাচন তাদের কাছে রীতিমতো উৎসবের মতো। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়।
প্রশ্ন হলো, নির্বাচিত সরকার এলেই কি সংস্কার করতে পারবে? সংস্কারের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে নির্বাচন করে ফেললে যে দল নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে তারা কি সংস্কার করতে পারবে? অনেকেরই সংশয় আছে। সংশয়ের কারণ অতীত অভিজ্ঞতা। কথাটা স্পষ্ট করে যদি বলতে চাই, তাহলে বলতে হবে- আওয়ামী লীগের মতো একটি দল মাঠে সক্রিয় থাকলে কোনো সরকারের পক্ষে ইতিবাচক কিছুই করা সম্ভব নয়। পাকিস্তানি শাসকেরা একটি সংবিধান চূড়ান্ত করতে পারেনি, একটি শিক্ষা কমিশনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। চার দলীয় জোট সরকার কী কী কাজ করতে পারেনি, সে ফিরিস্তি লম্বা। আমাদের অনেকেরই সেসব মনে আছে। এমনকি শেখ হাসিনার হরতালের ফাঁদে পড়ে ইমার্জিং টাইগার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণে সহায়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন পর্যন্ত করতে পারেনি। অথচ সমেম্মলনের বিদেশি সব অতিথি ঢাকায় এসে পৌঁছেছিলেন। সুতরাং বৈষম্যহীন, দুর্র্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গঠনে নির্বাচন কোনো অব্যর্থ দাওয়াই নয়। সে দাওয়াই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক সমঝোতা, পারস্পরিক সহিষ্ণুতা, সহাবস্থান এবং সুদৃঢ় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য ছাড়া স্বৈরাচার হঠানোর পর সৃষ্ট জনআকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তা সে যতই নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন।
আমাদের বক্তব্য তাই সংস্কারের পক্ষেই যাবে। বিধ্বংসী শক্তির হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বদেশের পবিত্র জমিনে একটি সুস্থ সুন্দর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জনআকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন যে অসম্ভব, তা কারোরই অজানা নয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের চেতনার ওপর দাঁড়িয়েই পরিপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করতে পারলেই সেটি সম্ভব হবে।
একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতার কলমে বিষয়টি যেভাবে উঠে এসেছে, সেটি উল্লেখ করতে চাই। “বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থার পুরোটাই সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার হতে হবে রাজনৈতিক, শিল্প-বাণিজ্য, সামাজিক, শাসন-প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক, ভূমিবন্দোবস্তÍ, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই।… বিগত সময়ে অপশাসনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছিল বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে। জনবান্ধব পলিসি গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সময় এখনই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি আইনি এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো করে দেবে, যার আদলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার পরিচালিত হবে এবং সমন্বয়ে গড়ে তোলা হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।” (আবদুল হক, দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫)।
সংস্কার কমিশনগুলো যেসব সুপারিশ করেছে তার মধ্যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা আছে। সেখানে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর সাংবিধানিক নাম পাল্টে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার প্রস্তাব এসেছে। এসেছে সংবিধানের মূল চার নীতির প্রতিস্থাপনের প্রস্তাবও। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা এদেশের আদর্শ হতে পারে না। সমাজতন্ত্র বিশ্বজুড়েই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে অনেক আগে। এর পরিবর্তে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ইত্যাদি রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়ার মতো।
বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত ১৫ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। আমাদের প্রশাসনিক দক্ষতা, সুশাসন এবং স্বচ্ছতার কী পরিমাণ অবনতি হয়েছে, তা এখনো বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হলে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু স্থিতাবস্থা বহাল রেখে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সংস্কার এজন্যই দরকার। এবং তা হতে হবে সার্বিক ও পূর্ণাঙ্গ। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং উন্নতির পথ উন্মুক্ত করার জন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর করার কোনো দাবি-দাওয়া, কর্মসূচি নিয়ে মাঠ গরম করা কারো কাছ থেকেই কাম্য হতে পারে না।
সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য প্রশাসনকে আধুনিক, দক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক করে তোলা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি কার্যকর ও সেবানির্ভর করতে সংস্কারের বিকল্প কিছু নেই।
বিগত স্বৈরাচারী আমলের অত্যাচার নিপীড়নের কালো অধ্যায় এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া কারোর উচিত হবে না। আমরা সেই অধ্যায়টিকে চিরতরে মাটিচাপা দিতে চাই। আমাদের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিবাদের ইতিহাস মনে রাখা জরুরি।