বিএনপি ও ছাত্র নেতাদের বিরোধের অন্তরালে


৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

॥ জামশেদ মেহ্দী॥
বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সাথে যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে, সেটি নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। নয় সেটি কোনো সনাতনী অর্থে পাওয়ার স্ট্রাগল বা ক্ষমতার লড়াই। বিএনপির তরফ থেকে এটি সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনকেন্দ্রিক, যার লক্ষ্য হলো ক্ষমতায় যাওয়া। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির তরফ থেকে এটি হলো একটি সুস্পষ্ট মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার লড়াই। বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে এখানে আরেকটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটি একই বৃত্তের দুটি শাখা। উভয় প্ল্যাটফর্মেই যারা নেতা, তারা মূলত করতেন জাতীয় ছাত্র শক্তি নামক একটি ছাত্র সংগঠন। সেই সময় এ ছাত্র সংগঠনটি একটি সুস্পষ্ট মতাদর্শ নিয়ে কাজ শুরু করে। এদের নেতাকর্মীরা সকলেই তরুণ। এরা বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য, যেটি আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৬ বছর ধরে প্রচার করে আসছিল, সেই ন্যারেটিভ বা বয়ান তাদের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারা শুরু থেকেই ভারতীয় প্রভুত্বকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করছিল। তারা আরো মনে করছিল যে, শেখ হাসিনার সরকার কোনো স্বাধীন-সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী নয়। বাংলাদেশকে উপনিবেশ হিসেবে শোষণ করার এবং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারতের একটি পুতুল সরকারের প্রয়োজন ছিল। শেখ হাসিনা ছিলেন ক্ষমতার লোভে কাণ্ডজ্ঞানহীন ও দিশেহারা। ভারত বাংলাদেশে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনা তথা শেখ পরিবারকেই বেছে নেয়। শেখ পরিবারকে বেছে নেওয়ার পেছনেও আরেকটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রয়েছে। সেটি নিম্নরূপÑ
১৯৬১ সাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে আপারহ্যান্ড পাওয়ার জন্য ভারতের সাথে গোপনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। ১৯৬১-৬২ সালের মধ্যে তিনি ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে সেই চেষ্টা করেন। অতঃপর ১৯৬১-৬২ সালে তিনি আগরতলা যান। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের ম্যাসেজ দিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে সময়মতো পৌঁছেনি। যার ফলে শেখ মুজিব দিল্লিতে গেলেও বিএসএফ তাকে সেখানে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখে। ইত্যবসরে আগরতলা থেকে দিল্লির সাথে যোগাযোগ করা হয়। এরপর একটি বিশেষ বিমানে শেখ মুজিবকে দিল্লি নেওয়া হয়।
দিল্লিতে শেখ মুজিবকে বলা হয়, পাকিস্তানবিরোধী কর্মতৎপরতায় শেখ মুজিব তথা আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের জড়িত হওয়ার উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি। তাই শেখ মুজিবকে ঢাকা ফিরে যেতে বলা হয়। তদনুযায়ী শেখ মুজিব ঐ সময় ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ঢাকা ফিরে আসেন। পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং উভয় দল তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে অভিন্ন মত পোষণ করে।
এসব ঘটনা গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির নেতৃবৃন্দ পুরোপুরি অবহিত। কিন্তু তখনো তারা ছাত্র। তাই তারা তাদের রাজনৈতিক চেহারা পরিষ্কার করেনি। তারা প্রথমে আন্দোলনে যুক্ত হয়। অতঃপর ছাত্র অধিকার পরিষদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। তৃতীয় পর্যায়ে তারা গত বছর কোটা আন্দোলন শুরু করে এবং এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়। যতই দিন যেতে থাকে, ততই কোটা আন্দোলন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অতঃপর মফস্বলের কলেজগুলোয়ও ছড়িয়ে পড়ে।
এ আন্দোলনে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষও সম্পৃক্ত হন এবং মুহূর্তের মধ্যেই সেই আন্দোলন দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী ঘটনাবলি আপনারা সকলেই জানেন। যে বিষয়টি পাবলিকের কাছে প্রকাশ করা হয়নি অথবা প্রকাশিত হয়নি, সেটি হলো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। গণআন্দোলন যখন দুর্বার হয়ে ওঠে এবং আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা যখন এ আন্দোলনে শরিক হন, তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (পূর্বের গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি) মনে করে যে, তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার এখনই সময়। সুতরাং কোটাবিরোধী আন্দোলন প্রথমে হাসিনা বিতাড়নের আন্দোলন এবং একই সাথে ভারতীয় প্রভুত্ব উৎখাত করার আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। ২১ দিনের জুলাই বিপ্লবের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির নাম শোনা যায়নি। কিন্তু তারাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাহিদ আসিফদের সাথে সমভাবে সক্রিয় ছিল।
সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে জেনেছেন যে, আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আন্দোলনের নেতারা এ মর্মে এক সিদ্ধান্তে উপনীত হন যেÑ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ যত অপকর্ম করছে, সেগুলো সব করছে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে। ইতিহাস তাদের কাছে এ বিষয়টিও উন্মোচন করে যে, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমে একদলীয় এবং পরবর্তীতে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের জন্ম দেন শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং। তিনিই এদেশে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপির সূচনা করেন। সর্বহারা পার্টির সিরাজ সিকদারকে হত্যার মাধ্যমে তিনিই সর্বপ্রথম এদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের জন্ম দেন। তিনিই এদেশে প্রথম ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশের (সিআরপি) আদলে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্যারালাল রক্ষী বাহিনী গঠন করেন। রক্ষী বাহিনীর পোশাকও ছিল ভারতীয় সিআরপির পোশাকের অনুরূপ। রক্ষী বাহিনী হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীবৃন্দকে গুম করে এবং খুন করে। শেখ হাসিনার আমলে র‌্যাব যে গুম ও খুনের সংস্কৃতি চালু করে, সেটি নতুন কিছু নয়। শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে যা করেন, সেটিই পরবর্তীকালে হাসিনার রক্ষী বাহিনীর পদচিহ্ন হিসেবে অঙ্কিত থাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের অপশাসন ও দুঃশাসনকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের রাজত্বে শেখ মুজিবের ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেবত্ব আরোপ করেন। ডিক্টেটররা চিরদিন ব্যক্তির কাল্ট (চবৎংড়হধষরঃু ঈঁষঃ) বিল্ডআপ করে এবং সেই কাল্টের পূজা করে। এ ধরনেরই কাল্ট গড়ে তোলা হয়েছিল মুসোলিনি এবং হিটলারের। সেই একই ধরনের কাল্ট গড়ে তোলা হয় শেখ মুজিবের। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। এতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বিপুল এই ব্যয় এখন অপ্রয়োজনীয় ও অপচয় হিসেবেই মূল্যায়িত হচ্ছে। মুজিববর্ষের নামে কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা খরচ করেছে, তার তালিকা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশিষ্টজনদের মতে, জনগণের ট্যাক্সের টাকা জনবান্ধব কাজে ব্যয় করা উচিত। তারা বলছেন, মুজিববর্ষ পালন এবং ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে অপচয়ে জড়িত ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
আমরা একটু আগেই বলেছি যে, রাজনৈতিক ও রণনীতির কৌশল হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি (পরবর্তীকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিতে রূপান্তরিত) শেখ মুজিবের কৃত্রিম ইমেজ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। তদনুযায়ী ৫ ও ৬ আগস্ট সারা দেশে মুজিবের হাজার হাজার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। বিজয় শরণীতে স্থাপিত ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের আদলে নির্মিত শেখ মুজিবের বিশাল পাথরের মূর্তি ভেঙে টেনে নামানো হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর ছাত্ররা তাদের ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার ও ভারতীয় প্রভুত্ববিরোধী আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য বিপ্লবী সরকার গঠনের চিন্তাভাবনা করছিল। তারা ৩ আগস্টেও কল্পনা করতে পারেনি যে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেন। শেখ হাসিনার আকস্মিক পলায়নে সরকারে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, সেটি তাৎক্ষণিকভ পূরণ করার জন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ ড. ইউনূসের শরণাপন্ন হন এবং ড. ইউনূস নতুন সরকারের হাল ধরতে রাজি হন। কিন্তু ৬, ৭ ও ৮ আগস্টের দুপুরের মধ্যে মহলবিশেষের সাথে বিএনপির শলাপরামর্শ মোতাবেক যে সরকার গঠিত হয়, সেটি ২১ দিনের বিপ্লবকে শেখ হাসিনার সংবিধানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। এখন বিগত প্রায় ৬ মাস ধরে বাংলাদেশে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, সেটি না বিপ্লবী, না পুরোপুরি সাংবিধানিক। ছাত্ররা চেয়েছিলেন যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রবাসী সরকার গঠনের যে প্রোক্লামেশন বা ফরমান জারি হয়েছিল, সেটি বাস্তবায়িত করতে পরবর্তী সরকারসমূহ ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার কারণেই ঘটেছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব। সেই বিপ্লবের আদর্শ তথা জনগণের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন দ্বিতীয় ফরমান জারি করা। সেটিই ছাত্রসমাজ করতে চেয়েছিলেন গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই ফরমান জারিতে বাদ সাধে বিএনপি।
বিএনপি শুধু সেই প্রোক্লামেশন বা ফরমান জারিতেই বাধ সাধেনি। বরং বিপ্লবের নায়করা আওয়ামী লীগ এবং ভারতের সর্বপ্রকার চিহ্ন মুছে ফেলে দেওয়ার জন্য যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার প্রত্যেকটিতে বাদ সেধেছে বিএনপি। তারা শেখ হাসিনার প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে অপসারণে বাধা দিয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করায় বাধা দিয়েছে, অফিস-আদালত থেকে শেখ মুজিবের ফটো নামানোর বিরোধিতা করেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিরোধিতা করেছে এবং সব শেষে অতি অপরিহার্য প্রোক্লামেশন বা ফরমান জারিরও বিরোধিতা করেছে। এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করা, ইসলামী মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা প্রভৃতি বিষয়েও বিএনপি নীরবতা অবলম্বন করছে।
এ পটভূমিতে বৈষম্যবিরোধী এবং নাগরিক কমিটির নেতারা দেখেছেন যে, বিএনপির সাথে তাদের যে বিরোধ, সেটি নির্বাচনকেন্দ্রিক বা ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়। সেটি হলো আদর্শিক। বিএনপি বিশেষ করে মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক নিশ্বাসে সরকারকে সমর্থনের কথা বললেও অন্য নিশ্বাসে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। সব শেষে তারা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
যদি নিরপেক্ষতার প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এ সরকার সবচেয়ে বেশি কথা শুনেছে বিএনপির। ড. ইউনূস শপথ নেওয়ার আগেই বিএনপির সুপারিশ মোতাবেক ৬ আগস্ট আসাদুজ্জামানকে এ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সুপারিশ মোতাবেক ৭ আগস্ট মো. ময়নুল ইসলামকে পুলিশের আইজি নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহ-উপদেষ্টা ড. আমিনুল ইসলামকেও নিয়োগ দেওয়া হয় বিএনপির সুপারিশে। এ ব্যাপারে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা আগে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেত, তারাই এখন আঁতাতের রাজনীতি, ভারতনির্ভর কূটনীতির মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন চাচ্ছে।
এ সামগ্রিক পটভূমিতে বিএনপি এবং আন্দোলনের পথিকৃৎদের মধ্যে যে বিরোধ, সেটি আসলে মৌলিক বিরোধ। ক্ষমতার রাজনীতির সাথে একটি সুস্পষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী র‌্যাডিক্যালদের বিরোধ। এ বিরোধ সাময়িকভাবে কার্পেটের তলে ঠেলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেই বিরোধের কোনো স্থায়ী নিষ্পত্তি নেই। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধির কাছে সুস্পষ্ট খবর আছে যে, আগামী নির্বাচনে ছাত্র নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় যাওয়ায় আগ্রহী নন। বরং সংসদের ভেতরে এবং বাইরে বিরোধীদলে থেকে জনতার সাথে মিশে তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেবেন এবং সারা দেশব্যাপী সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করবেন।