ঐক্যই আগস্ট বিপ্লবের সফলতার চাবিকাঠি


১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৭

॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে-আপনাকে বাংলাদেশের এ ভূখণ্ডে জন্ম দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এদেশের ভালো-মন্দের সাথে আমরা ওতপ্রতভাবে জড়িত। মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতের ভালোর জন্য আমাদের কর্মফল দেখবেন। আমাদের জবাবদিহিও করতে হবে দুনিয়া ও আখিরাতে। বাংলাদেশে আমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে কী ভূমিকা রাখছি।
৫৩ বছর আগে আমাদের এদেশ পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের চাওয়া-পাওয়া আজ পর্যন্ত পায়নি। দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের দিকে নজর দেয়নি। শেষে গত ১৬ বছর হাসিনা বাংলাদেশকে তার আত্মীয়, দলবাজদের আখড়ায় পরিণত করেছিল। হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি দখলবাজি, বিদেশে টাকা পাচার থেকে শুরু করে হেন মন্দ কাজ নেই, যা তারা করেনি। জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় ছেয়ে গিয়েছিল। ছাত্র-জনতা সবার জন্যই হাসিনা কাল হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি, মিল-ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই দলীয় লোক দিয়ে অন্যদের বিতাড়িত করে চালাচ্ছিল। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাসিনার স্বজনপ্রীতি থেকে বাদ পড়েনি।
অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক থেকে শুরু করে বীমাসেবা সবই তারা তাদের লোক দিয়ে দখল করে ফেলেছিল। ইসলামী ব্যাংক এদেশের সব চেয়ে বড় এবং গতিশীল ব্যাংক হিসেবে দেশে-বিদেশে নাম করেছিল। হাসিনার দোসর এস আলমকে দিয়ে এ ব্যাংক দখল করে ব্যাংকের বারটা বাজায়ে দিয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে উত্তোলন করে বিদেশে পাঠিয়েছে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং আশা করি ড. ইউনূস সরকার টাকা উদ্ধারের সব ব্যবস্থা নিবেন।
হঠাৎ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাহেব প্রকাশ্যে ভিত্তিহীনভাবে বললেন. ইসলামী ব্যাংক নাকি আগস্ট বিপ্লবের পর আরেক দল দখল করেছে। রিজভী সাহেবরা ৩ বার ক্ষমতায় ছিল। আমরা জানি না, তারা কয়টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার বাইরে থেকেও দেশে ও দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী জোগাড় করে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। সহযোগিতা করেছেন সাবেক সচিব মরহুম শাহ আবদুল হান্নান, এম আজিজুল হকসহ ইসলামী চিন্তাবিদগণ। তাই ইসলামী ব্যাংক দখল হয়েছে রিজভী সাহেবের বক্তব্য শুধু মিথ্যাই নয়, জ্ঞানেরও দৈন্যতা। তার বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। তার এ বক্তব্য বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রায় ৫ মাস হয়ে গেল। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়নি। অরাজনৈতিক লোকদের দ্বারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করার কারণে তাদের অভিজ্ঞতার অভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে বিলম্ব হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিটি করা হয়েছে। কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। ইতোমধ্যেই শ্বেতপত্র প্রকাশের কমিটি তাদের কাজ শেষ করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য হাসিনার অর্থনৈতিক কাজকে ‘চোরতন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। খুবই লজ্জাজনক।
ইতোমধ্যে হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। লাখ লাখ কোটি টাকা তার বোন, ছেলে-মেয়ে বিদেশে পাচার করেছে। ছাত্র-জনতা হাসিনা ও তার ৩০০ এমপি-মন্ত্রী সবাই দেশটিকে লুটপাট করে ফোকলা করে ফেলেছিল। বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা তার সহযোগীদের নিয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তার এ পালানো দেশ-বিদেশে বিরল ঘটনা।
বাংলাদেশের মানুষ সহজ-সরল আল্লাহভীরু। মহান আল্লাহ এদেশের আলেম সমাজ, রাজনৈতিক নেতাদের নির্যাতন, হত্যা, জেল-জুলুমের প্রতিদান হিসেবে হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য।
আমরা দেশকে এ সুযোগে সুজলা-সুফলা একটি উন্নয়নশীল অগ্রগতির দেশ বানাতে চাই। তাই হাসিনার দোসর ছাড়া বাকিদের নিয়ে ঐক্যের সংসদ গড়তে চাই। ছোট-বড় সব দলের লোকই যাতে সংসদে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে চাই।
ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী দেশে সংখ্যানুপাতিক ভোট করার প্রস্তাব করেছে। দেশে দলের প্রতীকে ভোট হবে। যে দল যত ভোট পাবে, তার আলোকে দল দ্বারা যোগ্য লোকের লিস্ট থেকে প্রাপ্ত ভোটের আলোকে সংসদে সদস্যপদ পাবে। সংসদে তাদের উত্তম যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে দেশের জন্য কল্যাণমূলক দিকনির্দেশনা দেবে। দেশ সব দলের ভালো পরার্মশ পেয়ে দেশটাকে উন্নতি-অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দল এ পদ্ধতির ভোটের ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে। আমরা এ ব্যাপারে দেশের সচেতন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- আসুন, আমরা ভালো লোকের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে সাহায্য করি। ছোট-বড় সব দলের অংশগ্রহণে একটি ভাল সংসদ গঠিত হলে চাঁদাবাজ ভোট চুরি টাকার খেলা, ভোট বাণিজ্য দূর হবে। আমরা একটি ভালো সংসদ পাব, দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রতি বিদেশিদের আশার সঞ্চার হয়েছে। বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে পাঠাচ্ছে। রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের টাকা রেমিট্যান্স আনার সহযোগিতা করে। ছোট দেশ হলেও জনশক্তি প্রচুর, আর সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল, তরিতরকারি, মাছ-গোশত এখানে পাওয়া যায়। দেশ যদি ভালো মানুষের হাতে পড়ে, তবে জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা বিদেশে পাঠাতে পারলে অনেকগুণ বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া সম্ভব। কৃষি বিভাগকে সচেতন করতে পারলে দেশে কৃষিকাজে বিপ্লব আনা সম্ভব। পানিসম্পদ কাজে লাগাতে পারলে মাছেরও অভাব হবে না। শুধু চাই সৎ, যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত জনশক্তির সমাহার।
জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে সৎ, যোগ্য লোক সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। জোট সরকারের সময় দু’জন মন্ত্রী ৩টি মন্ত্রণালয় সততার সাথে, যোগ্যতার সাথে, দুর্নীতিমুক্তভাবে চালিয়ে দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অথচ এ স্বৈরাচারী হাসিনা তাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াতের মরহুম আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা, শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও শহীদ মীর কাসেম আলীকে তারা ফাঁসি দেয়। বিএনপির সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও তারা ফাঁসি দেয়। জনগণ কিন্তু হাসিনার এ ধরনের বেআইনি কাজ ভালোভাবে নেয়নি। তারা প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষা করতে থাকে।
স্বৈরাচারী হাসিনা আলেম পেটানো, হেফাজতে ইসলামীর শত শত লোক মারা, ছাত্র-জনতাকে গুম-খুন, জেল-জরিমানা করে দেশটাকে ভালো লোকের চলার অযোগ্য বানিয়ে ফেলেছিল। মহান আল্লাহ তার বিচারের ভার নিজেই নিয়ে চোর পালানোর মতো অবস্থা করে প্রতিবেশী দেশে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
হাসিনার গড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে পুনঃগঠিত হয়েছে। হাসিনাসহ তাদের লোকদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে। আমরা সুবিচারের মাধ্যমেই তাদের ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই। দেশি বিদেশি উকিল নিয়ে এ বিচারকার্য সমাধা হবে ইনশাআল্লাহ। মানিকের মতো বিচারপতি যাকে কলাপাতার বিছানায় শুতে হয়েছে, আমরা এমন বিচারপতিদের ঘৃণা করি। ভালোর কদর করতে চাই।
দেশ-গ্রামে যে খাওয়া পার্টির উৎপাত শুরু হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে তারা চাঁদাবাজি করছে। আমরা এর অবসান চাই। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার প্রস্তাব- প্রত্যেক উপজেলায় বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াত-শিবির ও এলাকার গণ্যমান্য, দলমত, ধর্ম-নির্বিশেষে ভালো লোকের সমন্বয়ে উপজেলার ইউএনও ও ডিসিদের সাথে নিয়ে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি দমন ‘সংগ্রাম কমিটি’ করে পদক্ষেপ নিলে চাঁদাবাজদের মূলোৎপাটন সম্ভব হবে। জনগণ উৎপাদক ও ভোক্তারা ন্যায্য দামে জিনিস বেচতে ও কিনতে পারবে। আমরা রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এরকম একটি সভা ইতোমধ্যেই করেছি। সামনেও করার উদ্যোগ নেব, ইনশাআল্লাহ।
গোটা দুনিয়াটাই মহান আল্লাহর। তাঁর নির্দেশেই দুনিয়া চলে। তিনিই ক্ষমতা দেন আবার নিয়েও নেন। ইজ্জতের মালিকও তিনিই। তাই তাঁর বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। বর্তমানে শক্তিধর আমেরিকায় আল্লাহর কুদরত পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমেরিকার সর্বপশ্চিম এলাকা লস অ্যাঞ্জেলসে আগ্নেগিরির প্রভাবে মাইলকে মাইল জ¦লে-পুড়ে গেছে। এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক সিনেমা-নির্মাণের প্রতিষ্ঠান হলিউডও আগুন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। অন্যদিকে আমেরিকার অন্য প্রান্তে বরফের কারণে গাড়ি-ঘোড়া চলতে পারছে না। প্রশাসন মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করছে।
বিশ্ববাসী দেখছে আমেরিকার যোগসাজশে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে শিশু-নারী, অসহায় মানুষকে হত্যা করছে। না খেয়ে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সবই আল্লাহর খেলা। আমরা ভালো চাই, মন্দ থেকে রক্ষা চাই। দুনিয়ার ভালো চাই, আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদাউস চাই।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করব সংস্কারের পরপরই যতদ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এ সরকার বিদায় নেবে। দেশের সব দলের উচিত ভালো কাজে সবার ঐকমত্য। আলেম-ওলামা চিন্তাশীল মানুষ সব দলের লোকেরা চিন্তা করে দেশের ভালো ফলের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। আমরা আর ডামি নির্বাচন চাই না। ভোট ছাড়া সংসদ সদস্য চাই না। দিনের ভোট রাতে চাই না। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ।
সব দল, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সবাই প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নামলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কেউ মাঠে আসতে পারবে না। জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে যার যার পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন, কোনো বাধা আসবে না, ইনশাআল্লাহ।
বড় দল বিএনপি, জামায়াতের লোকদের কথাবার্তায় যেন মানুষ আহত না হয়, তার উদ্যোগ নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নেতৃবৃন্দ, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী সবাই কিন্তু একটি ভালো নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেউ যাতে সুবিধাভোগী লোকদের প্ররোচনায় আমাদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
পতিত স্বৈরাচারদের টাকার অভাব নেই। প্রতিবেশী দেশের প্ররোচনায় টাকা ব্যয় করে দেশের মধ্যে যেন অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে- এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দুনিয়ায় কোনো নজির নাই যে, পালানো স্বৈরাচার আবার স্বনামে মর্যাদা নিয়ে ফিরে আসে। আমরা আমাদের পালানো স্বৈরাচারীদের দেশে এনে বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে চাই।
বিদেশে লাখ লাখ কোটি টাকা দেশে ফেরানোর চেষ্টা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জোর তাগিদ দিতে হবে। পাচারের টাকা ফেরত এলে আর রেমিট্যান্স ঠিকমতো এলে আমাদের দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা বীরের মতো বাঁচতে চাই। কোনো সীমান্ত হত্যা চাই না। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চাই না। মহান আল্লাহর বান্দা হিসেবে স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি হিসেবে বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আর ঐক্য চাই। আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের আশু সুস্থতা চাই। মহান আল্লাহ আমাদের সব ভালোর সাথে থাকার এবং মন্দ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।