তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহালের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২০
দেশের উচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছিল। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলের প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে মাত্র। মূলত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশের উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হলো। এটি জনগণের আরেকটি বিজয়। আমরা দেশবাসীকে এ আইনি লড়াইয়ে জনগণের ভোটাধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
মোদির বক্ত্যবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ বলে দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতি দিয়েছেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এ পোস্টে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ বলে দাবি করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয়কে তিনি ভারতের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে তার প্রদত্ত পোস্টে তিনি বাংলাদেশ নামই উল্লেখ করেননি। নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অসম্মান ও অমর্যাদাকর।
তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো ৫৩ বছর আগে জামায়াতে ইসলামী ভারতের আধিপত্যবাদের আশঙ্কা সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছিল, তা সঠিক। নরেন্দ্র মোদি তার পোস্টের মাধ্যমে জামায়াতের বক্তব্যের সত্যতার পক্ষে রাজসাক্ষী হয়ে রইলেন। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।