রাজত্ব ও ইজ্জত দেয়া-নেয়ার মালিক আল্লাহ


২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০০

॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
‘মহান আল্লাহ রাজত্বের মালিক, তিনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন আবার রাজত্ব কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান করেন আবার যাকে ইচ্ছ্ অপমানিত করেন। কল্যাণ তারই হাতে। তিনি সর্বশক্তিমান।’ -সূরা ইমরান : ২৬।
যুগে যুগে মহান আল্লাহ তাঁর রাজত্বের মালিকানা নবী-রাসূলদের হাতে দিয়েছেন। আবার কোনো জাতি নবী সা.-এর কথা ও কাজ অমান্য করলে সেই জাতি থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। ইজ্জতের মালিকও তিনি। যাকে ইচ্ছা তিনি ইজ্জতের মালিক বানিয়ে দেন, আবার যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি করেছেন। মুসলমানদের আদি পিতাকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন, আবার ইজ্জতেরও সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছেন। ইব্রাহীম আ. ৪ পুরুষ নবী। তাঁর পুত্র ইসহাক আ. নবী, ইসহাক আ.-এর পুত্র ইয়াকুব আ. নবী, আবার ইয়াকুব আ.এর পুত্র ইউসুফ আ.-ও নবী ছিলেন। আবার নূহ আ.-এর স্ত্রী ও ছেলেকে নবীর পথে না আসার কারণে মহাপ্লাবনের সময় তার নৌকায় স্থান দেননি। ডুবে মারা গেছে। এভাবেই আমরা পরবর্তীতে আরো উদাহরণ পাব।
আমরা যদি অতীতের দিকে তাকাই, নবী ইব্রাহীম আ.কে তদানীন্তন স্বৈরশাসক নমরূদ ইব্রাহীম আ.-এর আনুগত্য করা থেকে বিরত থেকে বরং তাকে আগুনে পোড়ানোর পরিকল্পনা করে। প্রস্তুতি নিয়ে জ¦লন্ত আগুনের গহ্বরে নবী ইব্রাহীমকে ফেলে দেয়। মহান আল্লাহ আগুনকে বলে দেয়- আগুন তুমি ইব্রাহীম আ. ওপর শান্তিময় হয়ে যাও। ইব্রাহীম আ.ও আগুনে ফেলার পূর্বে উপস্থিত সবাইকে বলেছিলেন, ‘আল্লাহই আমার অভিভাবক, তিনিই আমার সাহায্যকারী।’ আগুনে রেখেও নমরূদ দেখলো নবী ইব্রাহীমের একটি পশমও পুড়েনি। বরং সেই নমরূদ একটি মশার কাছে পরাজিত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ক্ষমতার দাপট খতম হয়ে যায়।
প্রতাপশালী শাসক ফেরাউন নবী মূসাকে আ. নিজ গৃহে লালন-পালন করে যখন জানতে পারল মূসাই নবী হতে চলেছে, তখন তাঁকে হত্যার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে আগেই সতর্ক করেছিল, তুমি নদী পার হয়ে অন্যদিকে চলে যাও। কথামতো আল্লাহর নবী মূসা আ. নদীর পাড়ে যেতেই আল্লাহর নির্দেশে তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে পানিতে আঘাত করলেন, পানি দুইভাগ হয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা তৈরি হয়ে যায়। নবী মূসা আ. দলবল নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে নদী পার হয়ে যায়। ফেরাউন নদীর পাড়ে দেখলো মূসা আ. নদীর মধ্য দিয়ে পার হয়ে গেল। সেও ঐ পথে দলবল নিয়ে নদীর মধ্য দিয়ে পার হওয়ার জন্য এগোতে থাকে। নদীর মধ্যভাগে যাওয়ার সাথে সাথে নদীর দুইদিকের পানি চাপা দিয়ে প্রতাপশালী ফেরাউনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। দুনিয়ার মানুষকে অতীতের সাক্ষ্য হিসেবে আজও ফেরাউনের লাশ মমি হিসেবে মিশরে রক্ষিত আছে। এমনভাবেই আল্লাহ দম্ভকে অপমানিত করে ছাড়েন।
এমনিভাবে প্রতাপশালী শাসক আবরাহা হাতি বাহিনী নিয়ে আল্লাহর ঘর ধ্বংস করার জন্য কাবার অদূরে পৌঁছে যায়। পথিমধ্যে হাতিগুলো আর সামনে অগ্রসর হয় না। কোনোভাবেই হাতিকে সামনের দিকে নিতে পারছিল না। এমনই সময় ছোট ছোট পাখির দল ঝাঁকে ঝাঁকে ঐ আবরাহা ও তার হাতির দলের ওপর ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবরাহা ও তার দলবল হাতিসহ ছিন্নভিন্ন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকে। কিছুক্ষণের পর দেখা গেল আবরাহার দলের এবং তাদের হাতির কোনো অস্তিত্ব দেখা গেল না। আবরাহার ইজ্জতের দম্ভ ছোট আবাবিল পাখির পাথরের আঘাতে চুরমার হয়ে গেল।
এমনিভাবে শেষ নবী মুহাম্মদ সা.-এর সময় মক্কায় নবুয়্যতের আগে ৪০ বছর ছাগলের রাখাল থেকে হিলফুল ফুজুলের নেতা হিসেবে আরব দেশে সত্যবাদিতার খেতাব পেয়েছিলেন তদানীন্তন আরববাসীর প্রতাপশালী গোত্রপ্রধান ডিঙিয়ে। আবার তাঁর কাছে পবিত্র কুরআন নাজিলের আগেই ২৫ বছর বয়সে আরবের ধনাঢ্য সুন্দরী মহিলা খাদিজকে বিয়ে করেন। একজন এতিম যুবকের এ সাফল্য ছিল আরববাসীর জন্য বিস্ময়। আরবদের কাছে ইজ্জতের ষোলোআনা অর্জন করেছিলেন।
নবুয়্যতের প্রথম ১৩ বছরে চাচা আবু লাহাব, আবু জেহেলসহ গোত্রপ্রধানদের সুকৌশলে পরাজিত করে সম্মানের স্থানে আসীন হয়েছিলেন। ইসলামের আলোকিত আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে আবু বকর, ওমর রা., ওসমান রা., আলীসহ রা. গোত্রপতিরা আল্লাহর নবীর দাওয়াত কবুল করে উত্তরোত্তর দল ভারী করতে থাকে। মহান আল্লাহর নির্দেশে আবু বকর রা.কে সাথে নিয়ে মদিনায় চলে যান। সেখানকার লোকদের আদর-আপ্যায়নে অভিভূত হন। দলমত, ধর্ম, গোত্রভেদে সবাইকে নিয়ে মদিনার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। চুক্তির নাম ‘মদিনা সনদ’। আজও মদিনা সনদের আলোকে দেশ চালাতে পারলে সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ বানানো সম্ভব। মহান আল্লাহ ইজ্জত দিতে চাইলে দুনিয়ার কোনো শক্তিই বাধা হতে পারে না।
আধুনিক যুগে ইরানের শাহানশাহ পাহলবীর স্বৈরশাসন কীভাবে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল, স্বৈরশাসক পালাতে বাধ্য হয়। সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়। দেশের মাটিতে কবর হয়নি।
আমরা এবার আমাদের দেশের দিকে তাকাই। স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরেই শেখ মুজিবের বাকশালী স্বৈরশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর হাতে শেখ মুজিব নিহত হয়। মানসম্মান, ইজ্জত সবই ধুলায় মিশে যায়। ইন্না লিল্লাহ পড়ার লোক পাওয়া যায়নি। তার মেয়ে হাসিনা-রেহানা ভারতে আশ্রয়ে প্রাণ বাঁচায়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কৃপায় বাংলাদেশে আসার সুযোগ পায়। হাসিনা দেশে এসেই দলবল নিয়ে তার বাপের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করা হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে ইজ্জত দেয়ার জন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে বাংলাদেশের ৫৩ বছরে এত বড় জানাযার নামায হয়নি। সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে তাকে জানাযা দিয়ে বর্তমানে জিয়া উদ্যানে সম্মানের সাথে কবর দেয়া হয়, যা সরানোর জন্য হাসিনা অনেক পরিকল্পনা করেও পারেনি।
স্বৈরাচার এরশাদ জিয়াকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু বেইজ্জতের সাথে তার বিদায় হয়। কবর কোথায় দেয়া হবে, এ নিয়েও তামাশা হয়। অর্থাৎ তাকে বেইজ্জতের সাথেই দুনিয়া থেকে যেতে হয়েছে। বাকি বিচার কিয়ামতে অপেক্ষা করছে।
হাসিনা পরপর কয়েকবার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তার বাপের মৃত্যুর বদলা নেয়ার জন্য তদানীন্তন বিডিআরের ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যার ব্যবস্থা করে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি সৃষ্টি হতে থাকে। একদিকে দেশের প্রকৃত দরদি গোষ্ঠী, আরেক গ্রুপ প্রতিবেশী দেশের দাসত্ব মেনে চলতে থাকে।
হাসিনা যাদের সাথে সংসদে অবস্থান করেছে তাদের মধ্যে শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা, শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, শহীদ মীর কাসেম আলীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে এ স্বৈরশাসক হাসিনা। পরিণতিতে তাকে বেইজ্জতের ভাগ পেতে হচ্ছে।
হাসিনা পরপর ৩টি জাতীয় নির্বাচন ভুয়া করার কারণে দেশে ও বিদেশে মর্যাদাহানি হয়েছে। যাদের দ্বারা ভুয়া নির্বাচন করেছিল, তারা এখন পাপের ভাগীদার হতে হচ্ছে। কারও ছাড় নেই। দুনিয়ায় বেইজ্জতি, আখিরাতে তো সীমাহীন বেইজ্জতি অপেক্ষা করছে।
সর্বশেষ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে পাত্তা না দিয়ে অহঙ্কারের সাথে প্রকাশ্য বলেছে, যারা ছাত্র আন্দোলন করছে, তারা রাজাকারের বাচ্চা বা নাতি-পুতি। এ ঘটনার পর দেশে আগুন জ¦লে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের আওয়ামী ছাত্রীদের কান ধরে উঠবস করে হল থেকে বের করে দেয়। আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। ছোট-বড়, ছাত্র-অভিভাবক হাসিনার বিরুদ্ধে একাকার হয়ে মাঠে-ময়দানে মিছিল আর প্রতিবাদ করতে থাকে। গোটা জুলাই মাসে ছাত্র-জনতাকে পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে শহীদ ও আহত করতে থাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুলিশরা বলতে থাকে, স্যার গুলি করি একটা মরে বাকিরা সরে না, এটাই সমস্যা।
হাসিনা দিশেহারা হয়ে যায়। গোয়েন্দারা হাসিনাকে তোষামোদের জন্য খারাপ খবরও ভালো করে দিয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ করে ফেলে। হাসিনা দিশেহারা হয়ে তার অনুগত দলের মিটিং করে এ দেশের বৃহত্তর ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। আন্দোলন দমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে পুলিশ ও আর্মিকে নির্দেশ দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালার কৃপায় আর্মি অফিসাররা আর গুলি চালাতে অস্বীকার করে। সেনাবাহিনীর সাধারণ সদস্যরা জনতার মুখোমুখি হতে নারাজ হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর প্রধান অন্যান্য বাহিনীর সাথে আলাপ করে হাসিনাকে জানিয়ে দেয় আর সম্ভব নয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন মোকাবিলা করা। আমরা আপনাকেও নিরাপত্তা দিতে পারব না। হাসিনার বেইজ্জতির পালা শুরু হয়ে যায়। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সরাসরি জানিয়ে দেয়Ñ ৫ আগস্ট সকালে আপনি ৪৫ মিনিটের মাধ্যে দেশ থেকে পালান, না হলে আপনার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। দিকনির্দেশনা না পেয়ে হাসিনা লজ্জাজনকভাবে বেইজ্জতির সাথে তার প্রিয় মোদির দেশে পালিয়ে যায়।
শুরু হয়ে যায় হাসিনা যাদের বেইজ্জতি করেছিল, তাদের ইজ্জত ফিরে পাওয়া। মহান আল্লাহর বাণী অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হতে থাকে। যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হাসিনা জেলে দেয়ার পাঁয়তারা করেছিল, সেই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বাংলাদেশের কর্ণধার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে বঞ্চিত-অপমানিত হওয়া লোকদের পুনর্বাসন করার কাজ পুরোদমে করছেন।
ইজ্জতের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে হাসিনা অপদস্থ করেছে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সামান্য ঘটনায় ১০ বছরের জেল দিয়েছিল। মহান আল্লাহ ইজ্জতের মালিক বলেই কেউ কখনো কল্পনা করতে পারেনি খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার পাশের চেয়ারে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন। এ এক অপূর্ব দৃশ্য। ঘটনা দেখে মনে হচ্ছিল খালেদা জিয়া আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। মহান আল্লাহপাকই ভালো জানেন।
এ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকেও দেখা গেছে কত মর্যাদার সাথে ইজ্জতের সাথে। এই ডা. শফিকুর রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরেছিল। আরো কত নেতাকে যে জেল-জুলুম করে হাসিনা পালানোর পথ তৈরির পাপ কামাই করে পালিয়ে গেছে। ইজ্জতের মালিক আল্লাহ। বর্তমান আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে তুলে ধরছে মিডিয়াগুলো। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যসহ বঙ্গভবন চত্বরে ডা. শফিকের পদচারণা মহান আল্লাহর ঘোষণা ইজ্জতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। স্বৈরশাসক হাসিনার দোসর বিচারপতি, এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনে বসা তার অনুগতরা তার কথায় জনগণের নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছিল। তারা আজ সবাই পলাতক। একজন বিচারপতিকে কলার পাতায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। কি বেইজ্জতি!
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। তারা দেশটাকে ইসলামের আলোকে গড়তে চায়। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহ ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চান। আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলে বিজয় আসতে সময় লাগবে না। প্রস্তুতি আমাদেরই নিতে হবে। যোগ্য লোক আমাদেরই বানাতে হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশ চালানোর যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে- প্রমাণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসভাগুলোয় মানুষের ঢল। আমীরে জামায়াতের বক্তব্য গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণভেদে সর্বত্র ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। দেশ ও জাতিকে আমরা একটি জনকল্যাণমূলক দেশ উপহার দিতে চাই। ক্ষমতা দেওয়ার, ইজ্জত দেওয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। আমরা যদি যোগ্যতা অর্জন করতে পারি, তবে মহান আল্লাহ আমাদের সবই দেবেন, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।