শীতের সবজি নাগালে এলেও এখনো আলু সিন্ডিকেট সক্রিয়


২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার : বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও নাগালে নেই আলু। আর সয়াবিন তেলের ভ্যাট কমানোর সুফল পাচ্ছে না ক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। বাড়তি দামের জন্য সরবরাহ সংকট ও হিমাগার সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫-১০০ টাকা। এদিকে সরকার ভোজ্যতেল আমদানির ভ্যাট কমানোয় বাজারে কমেছে দাম। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়তি। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকার ওপরে। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে বলছেন বিক্রেতারা। ঢাকা মহানগরে টিসিবির ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করেছে সরকার। একজন ক্রেতা কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ কেজি। আলু ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, মশুর ডাল ও চালও কেনা যাবে বলে জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবি জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে। এ কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় বেশকিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে এখনো সব ধরনের সবজি বিক্রি ভালোভাবে বাজারে না আসায় তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পাকা টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ এবং লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও গোশতের দাম। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির গোশতের দাম। প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির গোশত ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০। আর বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৫-১৫০ ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০-২৫০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।