ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার: ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজন অটুট ঐক্য


২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০

॥ জামশেদ মেহ্দী ॥
রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আর শেখ হাসিনাকে অন্ধভাবে আজও সমর্থন করায় মোদি সরকারের বাংলাদেশনীতিও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতনীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলেন একজন ডামি। সেই ডামির পেছনে দাঁড়িয়ে ভারত বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং রক্তপাত ঘটানোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এ ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ সংস্করণ হলো গত রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকার জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশের নামে দলটির দেউলিয়াত্বের চরম প্রকাশ ঘটেছে। দিল্লির অদূরে একটি সেফ হাউসে বসে শেখ হাসিনা গত ১০ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণকে আসার ডাক দিয়েছিলেন। তার টেলিফোনিক নির্দেশে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আত্মগোপনে থাকা অথবা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জিরো পয়েন্টে সমাবেত হওয়ার ডাক দেন। একই সাথে ইউটিউব ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ মর্মে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালায় যে, ১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় ইসকনের ১০ লাখ এবং আওয়ামী লীগের ২০ লাখ নেতাকর্মী সেখানে জমায়েত হবেন।
কিন্তু বাস্তবে কী হলো? বাস্তবে দেখা গেল, সেই বহু পুরাতন পালাগান, ‘লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার/শুমার করিয়া দেখি চব্বিশো হাজার’। পালাগানে তাও লাখ লাখ সৈন্যের পরিবর্তে অন্তত ২৪ হাজার সৈন্য পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের জিরো পয়েন্টে ৩০ লাখের জায়গায় ৩০ জন ব্যক্তিকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ কেন এভাবে হাস্যাস্পদ হলো? কেন শেখ হাসিনা এমন হাসির খোরাক হলেন? কেন নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এমন খেলো করলেন? কারণ ব্যাখ্যার আগে সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সম্মানিত পাঠকদের জন্য নিচে কয়েকটি তথ্য সন্নিবেশ করছি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাসহ বাংলাদেশের একটি মিলিটারি বিমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। যাওয়ার আগে তার পালানোর খবর তার নিকটজন ছাড়া আর কেউ জানতো না। যারা পালিয়ে গেছেন অথবা আত্মগোপনে আছেন, তারা হলেনÑ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ পরিবারের ববি, টিউলিপ, রূপন্তি, শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, শেখ তন্ময়, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল, শেখ সেলিম, শেখ ফাহিম, শেখ নাইম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে সামস পরশ, শেখ মারুফ, ওমর ফারুক চৌধুরী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাদিক আব্দুল্লাহ, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া পালিয়ে বেঁচেছেন ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ, শামীম ওসমান, মোহাম্মদ আরাফাত প্রমুখ। কত নাম বলব? এককথায় সরকারের প্রায় সব মন্ত্রী, প্রায় সব এমপি এবং আওয়ামী লীগের প্রায় সব সিনিয়র নেতা বিপ্লবের আগে বা পরে পালিয়ে গেছেন। পেছনে ফেলে রেখে গেছেন সাধারণ কর্মীদের।
লিডাররা বিদেশে বা আত্মগোপনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থেকে এবং আরাম-আয়েশ ও বিলাসী জীবনযাপন করে দেশে ফেলে যাওয়া কর্মীদের সমাবেশে যোগদানের নামে রুদ্র জনতার কাছে ঠেলে দেবেন, সেটা এসব সাধারণ মানুষ, যারা ছোট ছোট লেভেলের নেতাকর্মী, তারা মানবেন কেন? তারা যে নেতাদের আবার ক্ষমতায় বসানোর জন্য নিজেদের পুনরায় বলী দেবেন না, সেটা বুঝতে পেরেছিলেন দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তাই দেখা যায়, ৯ নভেম্বরেই তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে আরেকটি নির্দেশিকা দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, “বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর রাজধানীর জিরো পয়েন্টের কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সবাই স্ব স্ব ইউনিটের সাথেই থাকুন। বার্তা প্রেরক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।” এ বিজ্ঞপ্তিটি নেহাত মুখ রক্ষার একটি বিবৃতি। কারণ আগের রাতেই ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতক দলের কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসসহ রমনা ভবন এবং আশপাশের সব এলাকা দখল করে রাখে। ১০ নভেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যেই বায়তুল মোকাররম ও গুলিস্তানসহ সমগ্র এলাকা ছাত্র-জনতায় সয়লাব হয়ে যায়। এ বিশাল ছাত্র-জনতার স্লোগান ছিল, ‘হই হই রই রই/শেখ হাসিনা গেল কই?’
জনতার এ বিশাল তরঙ্গ দেখে আওয়ামী লীগের বীর পুঙ্গবরা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়। যে দু-চারজনকে ফেলে যায়, তাদের জনগণ আচ্ছাকরে উত্তম-মধ্যম দেয়। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করছে এখন সামাজিক মাধ্যমে। তাদের গলা সপ্তমে উঠেছে ফেসবুক ইউটিউবে। কিন্তু সেখানেও শুধু মিথ্যার বেসাতি। আর এ মিথ্যার মূল সুর হলো বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের মনগড়া কথা। এরা যে কি পরিমাণে সুস্থ মস্তিষ্কে ডাহা মিথ্যা বলতে পারে, নিম্নে তার কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি।
১. ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আমরা’, এ নামের একটি ফেসবুক পেজে একটি বড় জমায়েতের ছবি ছাপানো হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “শুভ সকাল নূর চত্বরের দিকে যাচ্ছে। শুভ হোক। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু”। কিন্তু ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ঐ ছবিটির অরিজিনাল ক্যাপশন হলো, “গোপালগঞ্জে ১২ আগস্ট হিন্দুদের জমায়েতের ছবি”। একই ছবি ঢাকা ট্রিবিউনে ছাপা হয়েছে ১২ আগস্ট। শিরোনাম, ঞযড়ঁংধহফং রহ এড়ঢ়ধষমধহল ঢ়ৎড়ঃবংঃ ধঃঃধপশ ড়হ সরহড়ৎড়ঃরবং. ঞযবু যধাব ঢ়ৎবংবহঃবফ ধহ বরমযঃ-ঢ়ড়রহঃ ফবসধহফ. অনুবাদ: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। তাদের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি পেশ। যারা গোপালগঞ্জে ১২ আগস্টের ছবিকে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশ বলে চালিয়ে দেয়, তাদের নিকট থেকে সত্য কিছু আশা করা যায় না।
২. বাংলাদেশে তথাকথিত হিন্দু নির্যাতন নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দেন। ঐ পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তারা হামলা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন। তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশ এখন (৩১ অক্টোবর) বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে আছে। গত ৫ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি তার অভিনন্দন বার্তায় নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন।
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য দাবি করে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে লেখা, “আমি মনে করি, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী : পিবিডি ব্রডকাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের অবৈধ দখলদার সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, যারা বলেন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তারা আমাকে পদত্যাগপত্রটি দেখান।” ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, “বাংলাদেশ-পাকিস্তানে কী হচ্ছে আমি সব জানি। এখানে সন্ত্রাসবাদের চাষাবাদ হচ্ছে।”
ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পিবিডি ব্রডকাস্টে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ব্রডকাস্টটিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নয়। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে পিবিডি ব্রডকাস্টের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাম্পের ব্রডকাস্টটি পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে গত ১৭ অক্টোবর ব্রডকাস্টটি প্রচার করা হয়। ১ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের ব্রডকাস্টটিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বারাক ওবামার ভূমিকা, কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা, ইরানের ওপর অবরোধ, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন। ব্রডকাস্টটিতে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত আলোচনায় ট্রাম্প জানান, তার সঙ্গে পুতিন ও জেলনস্কির ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবেন।
পুরো ব্রডকাস্টটিতে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে কোনো আলোচনা করতে শোনা যায়নি। নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে টুইটটি ছাড়া তিনি বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন বলে কোনো তথ্যও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি। সুতরাং এটি নিশ্চিত, শেখ হাসিনাকে ট্রাম্প এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন এবং তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছেনÑ এ দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নরেন্দ্র মোদির সরকারের মাথা খারাপ হয়েছে বলে মনে হয়। বাংলাদেশ নামক তাদের এমন সাধের বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে। এটি তারা মেনে নিতে পারছে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতার নেশায় মত্ত রয়েছেন। তাই তার ব্রেইন কাজ করছে না। কিন্তু ভারত বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে যেÑ স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আগামী ২০ বছরেও আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আনা যাবে না। অথচ সুপার পাওয়ার হওয়ার জন্য তার বাংলাদেশকে অবশ্য অবশ্যই দরকার। তাই তিনি শর্টকাট রাস্তা ধরেছেন। ভারতের উসকানিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ববিহীন অর্থাৎ এতিম কর্মীদের দিয়ে ভারত বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চায়। এজন্য ভারতের একশ্রেণির গণমাধ্যম আকাশ-পাতাল মিথ্যার বেসাতি ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ মিথ্যার বেসাতির একটি নমুনা নিচে দিলাম।
সম্প্রতি ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে “ইধহমষধফবংয ঈৎধপশফড়হি ড়হ ঞৎঁসঢ় ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃবৎং, গধংং অৎৎবংঃং ধহফ জধরফং”” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে বিবেচিত হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশে ট্রাম্প সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং সেনা ও পুলিশের মাধ্যমে একাধিক গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের পরিকল্পিত মিছিলের ব্যানার ও পোস্টারও জব্দ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা চলছে। স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর থেকেই ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে নানা মিথ্যাচার ও কুৎসা রটিয়ে আসছে।
‘রিপাবলিক বাংলা’ নামের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে এমন ডাহা কিন্তু উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যেটি যেকোনো মুহূর্তে কলকাতা অথবা ঢাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে। যেমনÑ তার একটি কন্টেন্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের জবাই করার ডাক’, ‘ভারতে হিন্দুদের ভাগ করার ছক’, ‘কাশ্মীর থেকে কানাডা, ঢাকা থেকে দিল্লি দুনিয়ার হিন্দু এক হও’, ‘সময় এসেছে বলার, বটেঙ্গে তো কটেঙ্গে।’
ওপরে যতগুলো তথ্য দেওয়া হলো তার সবগুলোর ভিডিও/অডিও ক্লিপের কপি প্রতিবেদকের বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালেও কাছে মজুদ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুন জ¦ালাতে ভারত যে, জ¦ালাময়ী ভাষায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তার মোকাবিলায়, বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণ যদি শিশা ঢালা ঐক্য ধরে রাখতে পারে, যেমনÑ তারা দেখিয়েছিল জুলাই ও আগস্টে, তাহলে ভারত কেন, পৃথিবীর কোনো শক্তিই বাংলাদেশের কিছুই করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণের যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো, শত উসকানির মুখেও শান্ত থাকা এবং সংঘাত পরিহার করা।

Email: [email protected]