সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ


৮ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৩

ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে জাতিসংঘের প্রতি ৫৪ দেশের আহ্বান
ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্কসহ ৫৪টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। গত ৩ নভেম্বর রোববার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে গত ১ নভেম্বর একটি চিঠি জাতিসংঘে জমা দেয়া হয়। হাকান ফিদান বলেন, তুরস্কের উদ্যোগে লেখা এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা বন্ধ করতে হবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি আফ্রিকার মুসলিম দেশ জিবুতিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় তুরস্ক-আফ্রিকা অংশীদারিত্ব পর্যালোচনা সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মানে গণহত্যায় সহযোগিতা করা।’ এ সময় ইসরাইলের বর্তমান প্রশাসন বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি ইসরাইলকে এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। হাকান ফিদান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা এমন এক কাঠামো সৃষ্টি করছে, যেখানে ইতিহাসের অন্যায়গুলো পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর নেতৃত্বে এ অপ্রতিরোধ্য পরিবর্তন আসবে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় যারা এতদিন অবহেলিত ছিল, তাদের সঙ্গেই এখন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রয়োজন’। আনাদলু এজেন্সি।

জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে ৩৭০ ধারা নিয়ে হট্টগোল
ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল রহিম রাথের। বর্ষীয়ান ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক আব্দুল রহিম রাথের গত ২ নভেম্বর সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন। প্রোটেম স্পিকার মুবারক গুল এদিন বিধানসভায় ঘোষণা করেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল রহিম রাথের। বিধানসভায় এদিন প্রস্তাব পেশ হয় এবং তা পাসও হয়ে যায়। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর আব্দুল রহিম রাথেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। ওমর বলেছেন, ‘বিধানসভায় উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। আপনাকে স্পিকার করার বিষয়ে কেউ আপত্তি জানায়নি। এখন আপনিই বিধানসভার অভিভাবক।’ এদিকে টানা ৬ বছর পর গত ২ নভেম্বর সোমবার জম্মু-কাশ্মীরে বসল প্রথম অধিবেশন। আর সেখানেই উঠল সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা নিয়ে প্রসঙ্গ। তখনই বিধানসভায় তুমুল হই-হট্টগোল, অশান্তি শুরু হয়। জানা গেছে, এদিন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) বিধায়ক ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিধানসভায়। আর তখনই শুরু হয় তুমুল হই-হট্টগোল।
সদ্য সরকার গঠন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। সোমবার ছিল প্রথম অধিবেশন। এদিনের অধিবেশনের শুরুতেই পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব আনেন। আর তা তিনি স্পিকার আবদুল রহিম রাথারের কাছে পাঠান। এরপরই জম্মু ও কাশ্মীরের ২৮ জন বিজেপি বিধায়ক এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। হই-হট্টগোল শুরু হয়। বিধানসভার মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হতেই স্পিকার বারবার বিক্ষোভকারী সদস্যদের তাদের আসন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। এরপরই বিধানসভার মধ্যে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে বিজেপি বিধায়ক শ্যাম লাল শর্মাকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র : ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গত চার বছরের শাসনামলে দেশটি এ অবস্থায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন তিনি। স্থানীয় সময় গত ৩ নভেম্বর রোববার নর্থ ক্যারোলিনায় এক সমাবেশে নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা (যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্র) কঠিন, তাই না?’ ভোটারদের আসন্ন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের অধীনে ‘আরও চার বছরের অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতা’ কিংবা তার অধীনে ‘দেশের ইতিহাসের চারটি সর্বশ্রেষ্ঠ বছর’ শুরু করার মধ্যে যেকোনো একটি বিকল্প বেছে নেয়ার পরামর্শ দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, চার বছরে তারা (ডেমোক্র্যাট) এই দেশে যা করেছে, তাতে তাদের নিজেদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ‘তবে এটি হবে আমেরিকার নতুন স্বর্ণযুগ (ট্রাম্প নির্বাচিত হলে)। এটি একটি স্বর্ণযুগ হতে চলেছে। আমরা এর জন্য কাজ করছি,’ যোগ করেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। স্থানীয় সময় রোববার (৩ নভেম্বর) মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমর্থকদের উদ্দেশে কমলা বলেন, এটা (গাজা যুদ্ধ) ধ্বংসাত্মক এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে (নির্বাচিত হলে) গাজা যুদ্ধ বন্ধে আমি আমার ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করব। যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইসরাইলের নিরাপত্তার কথাও ওঠে আসে কমলার বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে, গাজার দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে, ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিতে কাজ করব।’ যদিও এর আগে কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে। এছাড়া ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসন যে সহায়তা দিয়ে আসছে, কমলা তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে বেশকিছু গণমাধ্যম। আল-জাজিরা।

কানাডার শত্রু দেশের তালিকায় ভারত
খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কানাডা-ভারতে সম্পর্ক এখন তলানিতে। উত্তেজনার এ পরিস্থিতিতে ভারতকে শত্রু দেশের তালিকায় ফেলেছে কানাডা। গত শনিবার (২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডিয়ান সরকার ভারতকে সাইবার নিরাপত্তায় ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এতে বলা হয়, ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে কানাডা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য কানাডা নতুন আরেকটি কৌশল হাতে নিয়েছে। গত ২ নভেম্বর শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কানাডার সরকারের কিছু কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন কানাডা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেছেন ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ অর্থাৎ সাইবার শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে কানাডা কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর কানাডায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে ‘স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করে কানাডার পুলিশ। এতে চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ভারত সরকার কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। একই দিন ভারত সরকার কানাডা থেকে তার হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। আল-জাজিরা।

মুসলিমদের হত্যার হুমকি দিলেন ভারতীয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী!
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনেই মুসলিমদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী! প্রকাশ্যে খুনের হুমকি! অবিলম্বে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মিঠুন বলেন, আমাদের এখানকার একজন নেতা বলছেন, আমরা ৭০ শতাংশ মুসলিম আর ৩০ শতাংশ হিন্দু। আমরা এদের শেষ করে ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেবো। ভাবলাম আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু তো বলবেন। কিন্তু কেউ কিছু বললেন না। কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। আমি বলব, আর একদিন আসবে যখন আমরা তোমাদের শেষ করে ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেবো। ভাগীরথি আমাদের মা, তোমাদের মাটিতে তোমাদের ছিঁড়ে ফেলব। কেউ কেউ মনে করছেন, মিঠুন মুসলমানদের যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, এটা খুবই হৃদয়বিদারক। তিনি প্রকাশ্যে মুসলমানদের হত্যা করতে বলছে, যেন এক ভয়াবহ অবস্থা। উপনির্বাচনের আগেই ভারতের রাজনীতিতে হুমকির এমন উত্তাপ। সিয়াসত ডেইলি।

কর্ণাটকে মুসলিমদের ওপর হামলা গ্রেফতার ৩২
ওয়াকফ বোর্ড তাদের ঘরবাড়ি দখল করে নেবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাভেরি জেলার একটি গ্রামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ৩০ অক্টোবর বুধবার রাতে সেখানকার কয়েক হাজার গ্রামবাসী মুসলমানদের ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালায়, যার জেরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সাভানুর তালুকের কাদাকোল গ্রামের পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। সহিংসতায় গুরুতর আহত হওয়া এক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হুবলির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা গ্রামে একটি পার্ক করা মোটরসাইকেল ধ্বংস করার পাশাপাশি ঢিল ছুড়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মী এবং চারটি কেএসআরপি প্লাটুন গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে এবং যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, জেলা পুলিশ সুপার অংশু কুমার বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সমস্যাটি গুজব দিয়ে শুরু হয়েছিল যে, গ্রামের একটি মাজারের আশপাশে বেশিরভাগ সম্পত্তি ওয়াকফ সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলো শিগগিরই অধিগ্রহণ করা হবে। যাইহোক, ডেপুটি কমিশনার বিজয় মহান্তেশ স্পষ্ট করেছেন যে, তারা সহকারী কমিশনার এবং তহশিলদারদের নির্দেশ দিয়েছেন ‘জেলা ওয়াকফ বোর্ডের তালিকাভুক্ত সব সম্পত্তি নথি যাচাই করতে এবং অফিসে একটি রিপোর্ট পাঠাতে।’ ওয়াকফ মন্ত্রী বি জেড জমির আহমেদ খান ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, দলটি কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে। কাদাকোল গ্রামের ঘটনা, যেখানে কখনো কোনো সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা হয়নি, ‘খুবই বেদনাদায়ক এবং কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই কারণ আমরা কখনই তাদের জমি অধিগ্রহণ করব না,’ তিনি বলেছিলেন। হাভেরি এমপি এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে কৃষকদের জারি করা নোটিশ প্রত্যাহার করার এবং ‘ভূমি রেকর্ড থেকে ওয়াকফ সম্পদের শ্রেণিবিভাগ অপসারণ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সম্পর্কিত উন্নয়নে, হাভেরি জেলা ওয়াকফ বোর্ড হাভেরি জেলা আদালত প্রাঙ্গণের মালিকানা দাবি করেছে, যা একটি ২০ একর জমি এবং জেলার শিগগাঁও তালুকের তাদাস গ্রামে ১৯ একর হিন্দু কবরস্থানের ওপর অবস্থিত।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি বিতর্কিত ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ বিল এনেছে। ভারতে ‘ওয়াকফ’ সম্পত্তি নিয়ে বহু মানুষের ধারণা নেই। শাসকদল বিজেপি এবং তাদের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক মদতদাতা আরএসএস এ বিষয়টিরই সুযোগ নেয়। অজ্ঞতার সুযোগে এ ধরনের বিল এনে সমাজে বিভাজনের রাজনীতির নতুন চাল চালে তারা। বিভ্রান্তি ছড়িয়েই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস করে। যেহেতু সামনে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আছে, সেখানেও ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’-এর প্রভাব ফেলতে চাইছে বিজেপি ভোটে জিততে। টিওআই।

তথ্য ফাঁসের দায়ে ৪ ইসরাইলি কর্মকর্তা গ্রেফতার
ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট গত ৩ নভেম্বর রোববার ঘোষণা করেছে, নিরাপত্তা তথ্য ফাঁস মামলায় চার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা ও মুখপাত্র এলি ফেল্ডস্টেইনও রয়েছে। এ ব্যক্তি দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে কাজ করতো। পার্সটুডে এসব তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলি সূত্রগুলো বলছে, ইসরাইলের চার কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছে। তারা সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে। আর এ তথ্য ফাঁসের কারণে গাজায় এবং লেবাননে চলমান যুদ্ধে দখলদার ইসরাইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই ইসরাইলের সেনাবাহিনীসহ কয়েকটি সংস্থা গোপন ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করছে। ইসরাইলের সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ এবং ইসরাইলের বিরোধীদলীয় প্রধান ইয়ার লাপিদ এ ঘটনার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এ হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। লেবাননেও এখন একই কায়দায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা।

বরফের চাদরে ঢেকে গেছে সৌদির মরুভূমি
সৌদি আরবে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সিভিল ডিফেন্সের জেনারেল ডিরেক্টরেট। এতে নাগরিকদের সাবধানে থাকার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর সীমান্ত অঞ্চলে গত ২ নভেম্বর শনিবার ব্যাপক বৃষ্টি ও বজ্রঝড় হয়েছে। বিশেষ করে রাফা গভর্নমেন্ট ও এর আশপাশের এলাকাগুলোয়। ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি জানায়, আসির, আল বাহাহ, মক্কা, মদিনা, হাইল ও উত্তর সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বজ্রঝড়, আকস্মিক বন্যা, শিলাবৃষ্টি ও শক্তিশালী বাতাসের সতর্কবার্তা দিয়েছে। তাছাড়া রিয়াদ, কাসিম, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ, তাবুক ও আল জাওফেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কুয়াশার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের আল জুফের এলাকা বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। গত ১ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে সেখানে বরফ পড়া শুরু করে। সাকাকা সিটি ও দুমাত আল জান্দালোয়ও শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। বসন্তের সময় এখানে নানা ধরনের ফুল ফোটে। তবে এখন এ জায়গায়টিতে অস্বাভাবিক শীতের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। গত ৩০ অক্টোবর বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে আল জউফের বিভিন্ন অংশে প্রভাব পড়েছে। গালফ নিউজ।

২০০ সেনা অপহৃত
বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার মাধ্যমে ঘাঁটি দখল করে কমপক্ষে ২০০ সেনাকে অপহরণ ও জিম্মি করেছেন হামলাকারীরা। সশস্ত্র এ হামলাকারীরা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় টেলিভিশনে পিঠের পেছনে বাঁধা অবস্থায় সারি সারি সেনাদের ছবি দেখানো হয়েছে। এ সময় তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়। বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সশস্ত্র সমর্থকদের হাতে দেশটির অন্তত ২০০ সেনা জিম্মি রয়েছে বলে জানিয়েছে বলিভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীটি সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। বিবিসি।

চীন সফরে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান
আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং, যা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর এ নেতার প্রথম চীন সফর। এবারের সফরে জান্তাপ্রধান গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন এবং আয়েওয়াদি-চাও ফ্রায়া-মেকং ইকোনমিক কো-অপারেশন স্ট্র্যাটেজি (অঈগঊঈঝ) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যা ৬ ও ৭ নভেম্বর চীনের শহর কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মিয়ানমার জান্তা চীন ছাড়াও কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনামের সাথে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এ সফর নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জান্তা প্রধান চীনের কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক ও আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করেন।’ মিয়ানমার জান্তা এমন একসময় এ সফরটি করেছেন; যখন দেশটির সামরিক সরকারের কাছ থেকে বৃহৎ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত সংখ্যালঘু মিলিশিয়ানরা। একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলো অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।
এছাড়া গত অক্টোবরে জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান অবনতি হয়েছে, যা নিয়ে শঙ্কিত চীন। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। যদিও মিয়ামারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যার মধ্যে চীনের প্রধান তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং বঙ্গোপসাগরে একটি পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এছাড়া বেইজিং বায়ু শক্তি খাতে ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে বিরল কিছু জিনিসও আমদানি করে। মিয়ানমারের ওপর নজরদারিকারী স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন জান্তাপ্রধানের এ সফর নিয়ে বলেন, তিনি আরও চীনা সমর্থন পেতে বা আরও বেশি চীনা চাপ পেতে সেখানে গেছেন, যা জনগণের জন্যই খারাপ। রয়টার্স।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান