মোদিকে আমেরিকার বার্তা : আওয়ামী লীগ এবং হাসিনার পুনর্বাসন অসম্ভব

হারুন ইবনে শাহাদাত
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৩

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
আওয়ামী লীগ, হাসিনা এবং শেখ পরিবারের আশার বাতিগুলো একে একে নিভে যাচ্ছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি আমেরিকা সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে চরম চপেটাঘাত এবং শুল্কের কাঁটাবিদ্ধ হয়ে ফেরার পর দেশ-বিদেশের রাজনীতি বিশ্লেষকরা এক বাক্যে বলছেন, ‘তাদের খেল খতম হয়ে গেছে, গেম ওভার, তাদের পক্ষে আর ফেরা সম্ভব হবে না।’ অবশ্য ট্রাম্প-মোদি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আমেরকিার প্রেসিডেন্টের অভিব্যক্তি এবং বক্তব্যের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় না নিয়ে ভারতীয় গদি-মিডিয়া ও বাংলাদেশের আওয়ামীপ্রেমান্ধ কিছু কিছু সাংবাদিক ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আশার আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভিডিওচিত্র দেখার পর সত্যটি বুঝতে পেরে বাধ্য হয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। কী সেই প্রশ্ন? মি. ট্রাম্প উত্তরে কী বলেছেন? বিশ্লেষণসহ তুলে ধরা হলো।
কী সেই প্রশ্ন এবং উত্তর?
তিন পর্বের প্রশ্নের শেষাংশে এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইস্যু সম্পর্কে আপনি কী বলবেন? কারণ আমরা দেখেছি এবং এটি স্পষ্ট যে, বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট কীভাবে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে জড়িত ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সোরোসের সাথে দেখা করেন। বাঙালিদের সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট (অদেখা রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততা) প্রত্যাখ্যান করেন এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির ওপর ছেড়ে দেন। উভয় নেতা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রশ্নোত্তর পর্বে বসেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দুজনের মুখোমুখি বসা অবস্থায়। তাই শুধু শব্দের অর্থ কিংবা বাক্যটি শুনে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা উপলব্ধি করলে ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্ন-উত্তরে তিনি যখন বলেন, ‘আচ্ছা, আমাদের ডিপ স্টেট (অদেখা রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততা)-র কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি এমন একটি বিষয়, যা প্রধানমন্ত্রী (মি. মোদির দিকে তাকিয়ে) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এবং সত্যি বলতে শত শত বছর ধরে কাজ করে আসছেন। আমি এটি সম্পর্কে পড়ছি। তাই আমি (বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রশ্ন) প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) ওপর ছেড়ে দেব (দিলাম)।’ এ টুকু বলে তিনি নরেন্দ্র মোদির দিকে তাকালে তিনি (মোদি) প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। পাঠকদের সুবিধার্থে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এ সংবাদের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো, The US president rejected any US deep state involvement but did not go any further into the topic and left it for PM Modi to answer. Well, there was no role for our deep state. This is something that the prime minister has been working on for a long time and has worked on for hundreds of years, frankly. I have been reading about it. But I will leave Bangladesh to the prime minister. (Star Digital Report, Fri Feb 14, 2025 10:44 AM, Last update on: Sat Feb 15, 2025 08:42 AM)
বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় মি. ট্রাম্প বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানো এবং পটপরিবর্তনে আমেরিকার সম্পৃক্ততা শুধু অস্বীকারই করেননি। ভারত যে দীর্ঘসময় ধরে (ট্রাম্পের ভাষায় শত শত বছর) এ অনৈতিক কাজটি করে আসছে, সেদিকেও ইঙ্গিত করে তাকে সতর্ক করেছেন। গদি-মিডিয়া এবং বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকরা বিষয়টি বুঝতে না পারলেও মি. মোদি ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই তিনি এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলার সাহস দেখাননি। মি. মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলে তার প্রশ্নের উত্তর শেষ করেছেন। কিন্তু পতিত হাসিনার সমর্থকরা নরেন্দ্র মোদির এ আমেরিকা সফর নিয়ে এতটাই আশাবাদী ছিলেন যে, তাদের আচরণ দেখে ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক ভাদুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র অঙ্গ সংগঠন বলে মন্তব্য করেছেন।
আ’লীগ বিজেপির বাংলাদেশি শাখা
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বাংলাদেশি শাখা বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা ও লন্ডনভিত্তিক সাংবাদিক, গবেষক, অ্যাক্টিভিস্ট অর্ক ভাদুরী। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। তার স্ট্যাটাসটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অর্কর পোস্টটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমও তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকায় গিয়েছেন। তাকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাখা ‘ওয়েলকাম নরেন্দ্র মোদি’ লেখা ব্যানার নিয়ে জমায়েত করেছে। আওয়ামী ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ এ ভিডিও শেয়ার করেছে। ছাত্রলীগের পোস্টটি কমেন্ট সেকশনে শেয়ার করছি। ভিডিওর ডানদিকে ব্যানারটি দেখা যাবে।’ ‘বিজেপি ও আওয়ামী লীগ এখন আর আলাদা দুটি দল নয়। আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিজেপির বাংলাদেশি শাখা। সেই কারণেই মোদিকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার হাতে আমেরিকায় জমায়েত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।’ ‘হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা ভারতে আছেন। আওয়ামী লীগের আইটি সেলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ভারতে এসে আরএসএস-এর শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। করতেই পারেন। এগুলো তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’ ‘প্রশ্ন হলো, বিজেপির সিস্টার কনসার্ন হিসেবে ক্রিয়াশীল আওয়ামী লীগ কি আদৌ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কামব্যাক করতে পারবে? সম্ভবত নয়। ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে, ক্ষোভ আরও বাড়বে। কিন্তু তার সুফল আওয়ামী লীগ ঘরে তুলবে না, তুলবে অন্য রাজনৈতিক শক্তি।’ ‘জুলাই-আগস্টের সহিংসতা নিয়ে শেখ হাসিনাকে দায়ী করে রাষ্ট্রসংঘের (জাতিসংঘ) রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিপদ আরও বেড়েছে। কিংবদন্তি আওয়ামী লীগ নেতা, মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের পুত্র সোহেল তাজ এ বিষয়ে যে পোস্ট করেছেন, কমেন্ট সেকশনে সেটি শেয়ার করলাম। এ দুরবস্থায়, খোলাখুলি নরেন্দ্র মোদির পক্ষে ব্যানার নিয়ে মিছিল করে আদৌ বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ?’
কথায় আছে, ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো ধরে বাঁচার শেষ চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগের অবস্থা দেখে পর্যবেক্ষকরা তাই মনে করছেন। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতা বড় কঠিন। আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্ব কোনো ফ্যাসিস্টকে আশ্রয়-প্রশ্রয় কিংবা পুনর্বাসনের ঘোরতরবিরোধী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি, ‘হিটলার’। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদকের লেখা প্রতিবেদন, ‘ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে কুগেলম্যান মিশন : চীনের জুজুর ভয় এবং বাস্তবতা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করে করা হয়েছে এভাবে, ‘হাসিনা ইতোমধ্যে লেডি হিটলার পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণার মেঘ আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের বিরোধী এমন নেতিবাচক অভিযোগ করা হলে, তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প জোরালো গলায় প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, তার স্বামী ‘হিটলার নন’ এবং তাকে (ট্রাম্পকে) হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা ‘ভয়ানক’।’ লেডি হিটলার হাসিনার প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদির এ সফর এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে মি. ট্রাম্পের বক্তব্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়েছে, ‘তিনি হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট নেতা এবং রাজনৈতিক দলের নামে আওয়ামী লীগের মতো সংগঠিত দুর্বৃত্তদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় আমেরিকার নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না এবং ভারত যা করছে, তার প্রতি তার কোনো সমর্থন নেই। এবার বিমানবন্দরে মি. মোদিকে স্বাগত জানান মার্কিন এক কর্মকর্তা ও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কোয়াত্রা। লালগালিচা কিংবা বিশেষ কোনো আয়োজন ছিল না। যে আশায় তিনি গিয়েছিলেন, তাও পূরণ হয়নি।
মোদি আমেরিকা থেকে ফিরছেন ‘শুল্ক-কণ্টকে’ বিদ্ধ হয়ে
মি. মোদি এক বুক আশা নিয়ে দূর আমেরিকা গিয়েছিলেন, ফিরেছেন হতাশার বোঝা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, “মোদি আমেরিকা থেকে ফিরছেন ‘শুল্ক-কণ্টকে’ বিদ্ধ হয়েই! … মোদির সফরের আগেই ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প জানান, শুল্কারোপের ক্ষেত্রে তিনি ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি নিতে চান। অর্থাৎ যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যত শুল্ক চাপাবে, সেই দেশের পণ্যেও আমেরিকা তত শুল্ক চাপাবে। ভারত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছিলেন, এই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে ভারত। তার কথায়, ‘ভারত বড্ড বেশি কর নেয়!’ ভারতীয় পণ্যের ওপর আগামী দিনে আরও বেশি হারে শুল্ক চাপাতে পারেন ট্রাম্প, ‘সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই আবহেই মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হয়। তবে সেখানে নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেও ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে ‘নীরব’ই মোদি।”… ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো, আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল এবং সামরিক বিমান কেনার বিষয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় মোদির প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘উনি আমার চেয়ে আরও কঠিন এবং ভালো মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে (আমাদের মধ্যে) প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।’
ড. ইউনূসের সাফল্যে ভারত অবাক
ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকরাই বলছেন, মি. মোদি অর্থকড়ি ও বিমানের তেল খরচ করে আমেরিকা গিয়ে যা অর্জন করেছেন, ঢাকায় বসেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। দিল্লি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে ভারতের হরিয়ানার সোনিপাতে অবস্থিত ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডিডব্লিউকে জানিয়েছেন, ‘মনে হয়, ভারত অবাক হয়ে গেছে। ভারত এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না।’
অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডিডব্লিউকে জানিয়েছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি হলেন অ্যাসপিরেশনাল ব্যক্তিত্ব, তাকে দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়।’ শ্রীরাধার মতে, ‘ইউনূসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন ও এখনো করছেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, A group couldn’t succeed in spreading propaganda against Bangladesh even by going to Trump. (ট্রাম্পের কাছে গিয়েও একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে সফল হতে পারেনি।) বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরে আসার সামান্য সম্ভাবনাও এখন শেষ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, দুঃখিত আপা, ইট ইজ ওভার। তিনি আরো লিখেছেন, হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যতবারই প্রতিবাদ করা হয়েছিল, পশ্চিমারা অনিচ্ছাকৃতভাবে তাকে সমর্থন করেছিল, কারণ তিনি সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে ছিলেন। এছাড়া তার ক্ষমতাচ্যুতির পরও পুরো আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয় মিডিয়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে একটি ইসলামপন্থীদের আন্দোলন বলে প্রমাণ করার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল। তবে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদনগুলো হাসিনার যা কিছু করার ছিল, তা ধ্বংস করে দিয়েছে। সবশেষে শফিকুল আলম লিখেছেন- দুঃখিত, আপা! ইট ইজ ওভার!!’
বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, মি. মোদির আমেরিকা সফরের পর বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়েছে গেছে, ভারত এবং মি. মোদির পক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র বাংলাদেশ শাখা আওয়ামী লীগ এবং হাসিনার রাজনৈতিক পুনর্বাসন আর সম্ভব নয়।