হাসিনাকে নিয়ে সংকটে ভারত

হারুন ইবনে শাহাদাত
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২০

প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের এ সূত্রটি রাজনীতি বিজ্ঞানেও প্রমাণিত। শেখ হাসিনার পতন এবং ভারতে আশ্রয় নেয়ার আগের ও পরের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইতিহাসের এ পাঠ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আশ্রয়দাতা দেশ ভারত এক্ষেত্রে ভুল করলে কঠিন মূল্য দিতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসন এবং লুটপাটের প্রকৃত ঘটনাগুলো যত প্রকাশিত হবে, বিপদ ততই বাড়বে। কথায় আছে, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’। হাসিনার দোষগুলো ভারতের রাজনীতিকে কলুষিত করবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাছাড়া হাসিনার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ভারতের গদি মিডিয়া এবং সাম্প্রদায়িক উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা যে মিথ্যাচার করছে, সেই সত্যও আজ দেশটির বিবেকবান সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ নাগরিকরা উপলব্ধি করছেন। তারা হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থীদের হুমকি উপেক্ষা করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ভারতের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের অধিকাংশই হাসিনা প্রশ্নে সরকার, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থী রাজনৈতিক দল বিজেপিকেই (ভারতীয় জনতা পার্টি) অনুসরণ করছে।
অবশ্য সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, ভারতের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এর প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। ব্রিটিশরা হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কোনো তদন্ত ছাড়াই বিভিন্ন দেশ-বিদেশের, বিশেষ করে ভারতের মিডিয়ার মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। পরে ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
কী ছিল রিপোর্টে, কেন প্রত্যাহার
সূত্রে প্রকাশ, ভারতের দেয়া তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের একদল এমপির তৈরি প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর এ পদক্ষেপ নেন তারা। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশের বিষয়ে একটি বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাজ্যের একদল সংসদ সদস্য। যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) গত বছরের নভেম্বরে ওই প্রতিবেদন দেয়। বিতর্কিত ওই প্রতিবেদনে হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে একাধিক সমালোচনা করা হয়েছে। এপিপিজির কনজারভেটিভ চেয়ার অ্যান্ড্রু রোসিন্ডেল একটি প্রেস রিলিজে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ থাকা উচিত, যেখানে শুধু ক্ষমতাসীনদের সমর্থকদের জন্য নয়, বরং সবার জন্য সকল সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। অবিলম্বে এ ধারার পরিবর্তন না হলে নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যা আশা করছে, তা হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।’ এছাড়া সেই প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার এবং ‘কট্টর ইসলামপন্থিদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগও করা হয়। পরে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণে ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য মিথ্যে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।
এখানেও ভারতের নেতিবাচক ভূমিকা প্রমাণিত
একাধিক সূত্রে প্রকাশ, ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিতর্কিত এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিটিশ এমপিদের প্রত্যাহার করে নেওয়া এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, ‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, স্কলার, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত বেশি সংখ্যায় হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে যে, সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ মিথ্যা তথ্যে ভরপুর এবং ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা এ রিপোর্টের সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ঘুরে যাওয়া লেবার পার্টির এমপি রূপা হক এ সপ্তাহে হাউস অব কমন্সে প্রতিবেদনটির কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। রূপা হক আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে বিতর্কিত এ প্রতিবেদনটির বিষয় উত্থাপন করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার সরকার কী করছে, পার্লামেন্টের নামে এ মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে?’ লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসেন বলেছেন, ‘প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে… এটি মারাত্মকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বা অত্যন্ত খারাপ বিশ্লেষণ। জবাবদিহির হাতিয়ার হিসেবে এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।’
ভারতের জনগণের একটি বিরাট অংশও সত্যের পক্ষে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়া শুরু করেছে। যদিও শেখ হাসিনা খুব মর্যাদাপূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে ভারত আশ্রয় দেয়নি সেদেশের সরকার। তারপরও তারা মনে করেন, গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে মোদি সরকার দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অপমান করেছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে ভারতকে ছোট করেছে। গত ২০ জানুয়ারি আমিরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দেয়ার নেতিবাচক প্রভাব এ ঘটনা। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি। তারপরও হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া নিয়ে বড় যে প্রশ্ন এসেছে তা হলো, তাকে ভারতের জনগণের টাকা খরচ করে ভিভিআইপি মর্যাদা কেন দিচ্ছে ভারত সরকার।
কেমন নিরাপত্তা পাচ্ছেন হাসিনা?
সরকারি পদমর্যাদা ও নিরাপত্তাগত ঝুঁকি বিবেচনায় ভারতের ভিভিআইপিরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন- যার মধ্যে ‘জেড প্লাস প্লাস’কেই সর্বোচ্চ বলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা মানদণ্ডে আয়োজন করা হয়, ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা এসপিজি কমান্ডোরা সচরাচর বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলান। যে ভিভিআইপিদের নিয়মিত প্রকাশ্যে আসতে হয়, আর যাদের লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকলেও চলে অবশ্যই তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আয়োজনও হয় কিছুটা ভিন্ন ধাঁচের।
শেখ হাসিনার জন্য ভারত এখন ঠিক কোন ধরনের নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসরণ করছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তাকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা ইঙ্গিত দেন। খুদেবার্তায় তিনি ছোট তিনটি বাক্যে এ প্রশ্নের যে উত্তর দিলেন, ‘বেয়ার মিনিমাম, প্লেন ক্লদস, নো প্যারাফারনেলিয়া!’ এর অর্থ হলো, যেটুকু না হলে নয়, শেখ হাসিনাকে সেটুকু নিরাপত্তাই দেওয়া হয়েছে, সাদা পোশাকের রক্ষীরাই তার চারপাশে ঘিরে রয়েছেন (কমান্ডো বা সেনাসদস্যরা নন)। ঢাকঢোল পিটিয়ে বা ঘটা করে তাকে কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না, বরং পুরো জিনিসটাকে খুব নিচু স্তরে বেঁধে রাখা হয়েছে। ‘ইন হার কেস, সিক্রেসি ইজ দ্য সিকিউরিটি!’ সোজা কথায়, তার বেলায় গোপনীয়তাই হলো নিরাপত্তা! এটারও অর্থ খুব সহজ- শেখ হাসিনার অবস্থানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে গোপনীয়তা রক্ষার ওপর। কারণ তিনি কোথায়, কীভাবে আছেন, তা যত গোপন রাখা সম্ভব হবে, ততই তার নিরাপত্তা নিñিদ্র করা সহজ হবে। ‘মুভমেন্টস অ্যান্ড ভিজিটস- অ্যাজ লিটল অ্যাজ পসিবল!’ শেখ হাসিনাকে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া কিংবা তার সঙ্গে অন্যদের দেখা করানোর ব্যবস্থা যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শেখ হাসিনার মুভমেন্টস বা ভিজিটস যে পুরোপুরি বন্ধ নয়, এ কথায় সে ইঙ্গিতও রয়েছে! ওই কর্মকর্তার কথা থেকে স্পষ্ট, শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও সেটা খুব বিশেষ এক ধরনের আয়োজন মানে ধরা যেতে পারে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা থাকে, তার সঙ্গে সে মাত্রায় তুলনীয় হলেও আয়োজনে একেবারেই অন্যরকম! শেখ হাসিনাকে যাতে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে না আসতে হয়, এ প্রটোকলে সেই চেষ্টাও বিশেষভাবে দেখা যায়। দিল্লির লোদি গার্ডেনে তিনি এসে মাঝেমাঝে হাঁটাহাঁটি করে যাচ্ছেন কিংবা ইচ্ছে করলেই নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগায় কাওয়ালি শুনে আসছেন- এ ধরনের যাবতীয় জল্পনা হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন ভারতের সংশ্লিষ্ট মহলের কর্মকর্তারা!
তার মানে ভারত সরকারের গলার কাঁটা হাসিনা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে- গিলতেও পারছে না, ফেলতও পারে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছে।
ভারত সরকারের গলার কাঁটা হাসিনা
কথায় আছে, নদী পার হয়ে ভেলায় লাথি দেয়া অকৃতজ্ঞ মানুষের স্বভাব। কারো ব্যাপারে এমন প্রশ্ন উঠলে তাকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। আবার কোনো অপরাধীকে আশ্রয় দেয়াও আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য। শেখ হাসিনা ভারতকে এত কিছু দিয়েছেন যে, তাকে আশ্রয় না দিয়ে অকৃতজ্ঞতার বদনাম, আবার হাসিনা এত বেশি অপরাধ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন যে, তাকে আশ্রয় দেয়া আইনের দৃষ্টি অন্যায়। এমন উভয় সংকটের কারণে প্রথম দিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতো, বিন বুলায়া মেহমান (অনাকাক্সিক্ষত অতিথি)।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পরপরই বিজেপি সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে ছিলেন, ‘আমি তাকে (মোদি) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?’
শেখ হাসিনাকে কেন আশ্রয় দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন শিবসেনার (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ‘মূলত দুটি কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না। প্রথম বিষয়টি অবশ্যই তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, ভারত তার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আর বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। ভারত চায় না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় ছায়াপাত করুক।’
এনকে ডিজিটাল ম্যাগাজিনের উপস্থাপক প্রবীর বিশ্বাস, কলকাতা টিভির ইন্দ্রানীসহ প্রায় এক ডজন ভারতীয় সাংবাদিক শেখ হাসিনার ভারতের অবৈধ অবস্থানের বিরুদ্ধে সেদেশের জনগণের ক্ষোভের কথা প্রায় প্রতিদিন তুলে ধরছেন। কিন্তু মোদি সরকার তারপর বিন বুলায়া মেহমান (অনাকাক্সিক্ষত অতিথি) ও গলার কাঁটা ফেলতে পারছে না, গিলতেও পারছে না।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হাসিনা ইস্যুতে মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। শিগগিরই বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইস্যুটির ইতিবাচক মীমাংসায় ব্যর্থ হলে সংকট বাড়বে বৈ কমবে না।