বিচার ও সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অতি সাম্প্রতিক একটি উক্তি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ছাড়া সংস্কার প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, গত ১৫ জানুয়ারি ৪টি সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এ ৪টি কমিশন হলো- সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন। তিনি বলেন, আমরা রিপোর্টগুলোর সংক্ষিপ্তসার দেখেছি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টসমূহ হাতে পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। সেটি হলো, রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না।
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন যে, একদিকে ৪টি সংস্কার কমিশন তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। অবশিষ্টরাও শিগগির তাদের রিপোর্ট দেবে। অন্যদিকে শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্টদের বিচার শুরু হয়েছে। এমন পটভূমিতে বিএনপি জুলাই বা আগস্ট মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কি সংস্কার ও বিচার করা সম্ভব? যে সাংবাদিক তাকে এ প্রশ্ন করেন, সেই সাংবাদিক তাৎক্ষণিক নিজেই মন্তব্য করেন যে, এত সংক্ষিপ্ত সময়ে বিচার এবং সংস্কার করা সম্ভব নয়। জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে, তারা এ সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় সংস্কার সম্পর্কে তিনি কথা বললেও বিচার সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে ৫ মাসে অনেকগুলো কাজে হাত দিয়েছে যেগুলো কোটি কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করবে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে দেড় হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন এবং ২৬ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা এবং তার পা চাটা পুলিশ, র্যাব ও দলীয় হেলমেট বাহিনী যে কতখানি নৃশংস হয়েছিল, সেটি বোঝা যায় যে মাত্র ৪ দিনে অর্থাৎ ১৮ থেকে ২১ জুলাই তারা ২৫ হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। তাহলে অবশিষ্ট ১৭ দিনে যে তারা কত লাখ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা হেলিকপ্টার থেকে যে গুলি ছুঁড়েছিল, সেটি আজ প্রমাণিত। তারা যে আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার বা এপিসি এ আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করেছিল, সেটিও আজ প্রমাণিত। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছেন যে, প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। কাদের গুলিতে ২৬ হাজার ছা- জনতা আহত হলেন, পঙ্গু হলেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারালেন সেসবের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে।
গত ১৯ জানুয়ারি রোববার চুয়াডাঙ্গায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, এ সরকার এসব রক্ত হিম করা হত্যাকাণ্ডের বিচারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, বিদেশে পাচার হয়েছে, সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে। ২০ জানুয়ারি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ একাই ২ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সরকার ইতোমধ্যেই এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, সামিট গ্রুপ, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাশা ও জেমকন গ্রুপসহ ৯টি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া শেখ পরিবারের সব সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাট, টাকা পাচার এবং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, হাসিনাপুত্র জয়, হাসিনাকন্যা পুতুল, রেহানাপুত্র ববি, রেহানাকন্যা আজমিনা, রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকি, শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ তাপস ও শেখ পরশের বিরুদ্ধেও অর্থ লুটপাট, পাচার ও হত্যার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসিনা এবং ১০টি শিল্প গ্রুপের তদন্ত করার জন্য ১১টি টিম গঠন করা হয়েছে।
সরকার বিগত সাড়ে ১৫ বছরের আয়নাঘরসহ সব গুম ও খুনের তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করেছে। কমিশন এসব নারকীয় গুম এবং খুনের অনেক প্রমাণ পেয়েছে। কমিশনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিডিআর ম্যাসাকারের অনুপুঙ্খ তদন্তের জন্য একজন সৎ, নির্ভীক, সাহসী ও যোগ্য সৈনিকের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন প্রধান হলেন পদুয়া অভিযান খ্যাত মেজর জেনারেল (অব.) আ. ল. ম. ফজলুর রহমান। জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছেন, এ ম্যাসাকারে ভারতের জড়িত থাকাসহ অনেক স্পর্শকাতর অভিযোগ অতীতে খবরের কাগজের পাতায় এসেছে। এসব অভিযোগ যতই সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর হোক না কেন, যদি উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সবকিছুই প্রকাশ করা হবে বলে জেনারেল ফজলুর রহমান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন যে, বিডিআর ম্যাসাকারের তদন্তে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে যেগুলো সমগ্র জাতিকে শুধু চমকেই দেবে না, বরং এ জাতির ভবিষ্যৎ পথচলায় এক নতুন বাঁকের সৃষ্টি করবে।
শাপলা ম্যাসাকার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। ‘অধিকার’সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলেছিল, শতাধিক আলেম ওলামা এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। হাসিনা যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের ওপর গণহত্যার প্রমাণ রয়েছে। অধুনালুপ্ত দিগন্ত টিভির চেয়ারম্যান এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে, শাপলা চত্বরে র্যাব ও পুলিশের নৈশ অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তাদের ভিডিওতে ধারণ করা আছে এবং সেটি নিরাপদে সংরক্ষণ করা আছে। বিচারের জন্য প্রয়োজন হলে সেই ভিডিও ফুটেজ তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবেন। তবে দুঃখের বিষয়, শাপলা ম্যাসাকার তদন্ত করার জন্য কোনো কমিশন গত ২০ জানুয়ারি সোমবার এ ভাষ্য লেখার সময় পর্যন্ত গঠন করা হয়নি। এ কমিশন গঠন করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে। একটি সৎ, নিরপেক্ষ ও যোগ্য কমিশনের মাধ্যমে যদি শাপলা ম্যাসাকার তদন্ত করা হয়, তাহলে প্যান্ডোরার বাক্স উন্মোচিত হবে।
এসব বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ বদলে যাবে। আওয়ামী লীগের টপ টু বটম দণ্ডপ্রাপ্ত হবে। ফলে নিষিদ্ধ না করলেও আওয়ামী লীগ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এসব বিচার শেষ হওয়ার আগেই জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা সমীচীন নয় বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। আগস্টের মধ্যে নির্বাচন দিতে গেলে মে মাসেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। দেশে যদি রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়, তাহলে ১৭ কোটি মানুষের আকাক্সক্ষা এসব বিচার চাপা পড়ে যাবে। তাই ঐ মহলের দাবি এসব বিচার সমাপ্ত করার আগে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায় যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, তাহলে এ বিচার প্রক্রিয়া এখন যে দৃঢ়তার সাথে চলমান রয়েছে, সেই দৃঢ়তা আগামীতে থাকবে কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সংস্কার কমিশনসমূহের মধ্যে অন্তত দুটি কমিশন এমন সব সুপারিশ করেছে, যেগুলো পুরনো দিনের রাজনীতির পরিবর্তে নতুন দিনের রাজনীতির সূচনা করবে। তাদের এসব সুপারিশ জনগণ ইতোমধ্যেই পত্রিকার পাতায় দেখেছেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন, ঐকমত্য না হলে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না। মির্জা ফখরুল কি এ গ্যারান্টি দিতে পারবেন যে, বর্তমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ অপসারণের ব্যাপারে সর্বদলীয় মতৈক্য হবে? সংবিধান কমিশন পবিত্র ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখেছে। মির্জা ফখরুল কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন যে বাম, মধ্য বাম এবং সেক্যুলার মহল ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে রেখে দেয়ার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছাবে?
একটি বিষয় সকলেই পাশ কাটিয়ে চলেছেন। নতুন করে সংবিধান লেখা হোক অথবা বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা হোক, সেই কাজটি সম্পন্ন হবে কোন প্রক্রিয়ায়? আগামী নির্বাচন হবে কোন সংবিধানের অধীনে? বর্তমান সংবিধানে রয়েছে ৩০০টি আসন এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসন। পক্ষান্তরে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ। নিম্নকক্ষে ৪০০ জন এবং উচ্চকক্ষে ১০৫ জন সদস্য। উচ্চকক্ষ গঠিত হবে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ভোটের দলওয়ারি ভোটের সংখ্যার ভিত্তিতে আসন নির্ধারণ। এটিকে বলা হয়েছে সংখ্যানুপাতিক আসন নির্ধারণ। এছাড়া বাংলাদেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিও পরিবর্তন করা হয়েছে। তাকে নির্বাচন করবে একটি ইলেক্টোরাল কলেজ। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার পুনর্বণ্টন করা হবে।
এগুলো সব মেজর সংশোধন। কারা করবে এ সংশোধন? সংস্কার কমিশন বলেছে, গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানের সংস্কার করা হবে। তাহলে বর্তমান সংবিধানের সংশোধন করতে হলে গণভোটে যেতে হবে। এ ব্যাপারে কি সর্বদলীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হবে? যদি না হয়? তাহলে তো গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ গঠনের ব্যাপারেও কি মতৈক্য হবে?
এসব জ¦লন্ত প্রশ্নের সমাধানের আগে জুলাই-আগস্টের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। তারপরও যদি কোনো কোনো দল জুলাই-আগস্ট বা দ্রুততম সময়ে ইলেকশন চায়, তাহলে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো শিকেয় তুলে রাখতে হবে। আগেই বলেছি, ঐসব বিচারেও চলে আসবে মন্থর গতি। সাবেক ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোনের বিখ্যাত উক্তি, ঔঁংঃরপব উবষধুবফ রং ঔঁংঃরপব উবহরবফ. অর্থাৎ বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না।
এখন বিএনপির সামনে আর কোনো ইস্যু নেই। অর্থনীতি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক ১৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির মাথাব্যথা নেই। তারা চায় নির্বাচন। গুম কমিশনের মতে, সাড়ে ৩ হাজার মানুষ গুম হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা চায় নির্বাচন। দেড় হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হলেন। তাদের পরিবারের পুনর্বাসন প্রয়োজন। বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা চায় নির্বাচন। ২৬ হাজার আহত মানুষের পরিবারকে পুনর্বাসিত করতে হবে। সে ব্যাপারে বিএনপির কথা নেই। তারা চায় নির্বাচন।
দেশের সব ক’টি সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ অচল। কারণ তাদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা আত্মগোপনে। জনগণ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তারপর জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি এ বিষয়েও নজর দিচ্ছে না। তারা চায় সর্বাগ্রে জাতীয় নির্বাচন। ছাত্রনেতা সারজিস আলম বলেছেন, বিএনপির চিন্তাধারায় সামনে থাকা উচিত ছিল দেড় হাজার মানুষের লাশ। ২৬ হাজার মানুষের আর্তচিৎকার। কিন্তু বিএনপির একমাত্র চিন্তা নির্বাচন।
এ বিশদ আলোচনার পর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে নাÑ দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আগে বিচার ও সংস্কার দরকার। আরো দরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তারপর জাতীয় নির্বাচন। বিএনপির এ অবিচর দাবির মুখে সরকার কী অবস্থান গ্রহণ করে, সেটি দেখার জন্য জনগণ ব্যাকুল আগ্রহে প্রতীক্ষা করছেন।