সরকারি প্রাথমিকে আস্থা হারাচ্ছেন অভিভাবকরা
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০
দেশজুড়ে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছে। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৪ জন শিক্ষক ২ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২০১ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন। কিন্তু এর বাইরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও এর পরিমাণ যথেষ্ট। খবর নিয়ে জানা গেছে, বাড়ির কাছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও অভিভাবকরা সন্তানকে কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ইংলিস মিডিয়ামসহ বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুলে পড়াচ্ছেন। প্রাথমিকের অনেক শিক্ষকও তার সন্তানকে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করছেন। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিভাবকরা বলছেন, প্রাথমিকে সিলেবাস ও প্রাইভেটের সিলিবাসে ভিন্নতা রয়েছে এবং প্রাথমিকে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চাইতে অপেক্ষাকৃত কম আন্তরিক। অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, তারা মানুষ গড়ার কারিগর হলেও তাদের বেতন স্কেল অষ্টম শ্রেণি পাস সরকারি ড্রাইভারের (গাড়িচালক) চাইতে কম। শিক্ষকরা ক্লাসে আরও সিরিয়াস না হওয়ার জন্য এটা অনেক বড় কারণ।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাঠামোগত দ্রুত অভিভাবকদের নিরুৎসাহিত করে থাকে। যেমন সরকারি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকা, টয়লেট বা ওয়াশব্লক, টিউবওয়েল না থাকা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ভবনে বিশেষ সুবিধা না থাকা, খেলাধুলার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও মাঠ না থাকা। এসব সুবিধা না থাকায় অভিভাবকরা মনে করেন, বিদ্যালয়টা শিশুশিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়। নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত থাকে না অনেক প্রতিষ্ঠানে। বিদ্যালয়ে শিশুর খেলাধুলার পরিবেশ বা উপকরণ নেই। তাই শিশু বিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষণবোধ করে না। ফলে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতও হয় না। যদিও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের শেষ নেই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে নতুন নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্যাপকহারে এবং প্রতি তিন বছর অন্তর ২ লাখ টাকা করে ক্ষুদ্র মেরামত খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া জরুরি ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন হলে স্কুল ইন ইমার্জেন্সি প্রজেক্ট থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে প্রতি বছর স্লিপ, রুটিন মেইনটনেসসহ বিভিন্ন খাতে গড়ে লক্ষাধিক টাকা বিদ্যালয়ে বরাদ্দ পাচ্ছে শুধু শিশুর শিখন কার্যক্রম ত্বরান্বিত এবং বিদ্যালয়টাকে শিশুর জন্য আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য করার নিমিত্তে। এখন যদি এসব কাজ বিদ্যালয়ে যথাযথভাবে না হয়, এজন্য কাজ বাস্তবায়নকারী সংশ্লিষ্টরাই দায়ী।
অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব। অনেক প্রধান শিক্ষক জানেনই না যে, তিনি বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন। নির্ধারিত ব্লক বা এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার লিডার বা সরকারি প্রতিনিধি তিনি। এলাকার সব গমনোপযোগী শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত। উপযোগী শিশু বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে না কেন, তা জানতে শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু শিক্ষকরা তা করছেন না। অনেক অভিভাবকেরই অভিযোগ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পড়ানোর তারা উল্টে বলেন যে, বাড়িতে না পড়লে কেমনে শিখবে? অভিভাবকগণ তদারকি কর্মকর্তাদেরও অভিযুক্ত করে বলেন যে, তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ের খোঁজখবর নেন না। অভিভাবকদের মূল অভিযোগ, শিক্ষকগণ পড়াতে চান না। ফলে অভিভাবকগণ সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনাগ্রহ দেখান। অনেক অভিভাবক শিক্ষকগণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে বলছেন। তাদের একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি হলো- এ শিক্ষার্থী চাষার, দিনমজুরের বা ভ্যানগাড়ি চালকের সন্তান, সে কীই-বা লেখাপড়া করবে? এই ধারণা বদ্ধমূল থাকার কারণে শিক্ষকগণের প্রচেষ্টার পারদ ক্ষেত্রবিশেষে উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করে থাকে। ফলে শিশুটি নিষ্পাপ হলেও শুধু তার বাবা-মায়ের পরিচয়ের কারণে এবং শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
শিক্ষকরা বলছেন, স্বচ্ছলরা প্রাইমারি স্কুলে সন্তানকে দিতে চাচ্ছে না। তারা অনেকটা লজ্জা অনুভব করছেন। তাদের ভাবটা এমন যে সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করব? এটা অসম্ভব। এতে না থাকে সম্মান, না থাকে সন্তানের ভবিষ্যৎ। এটাই বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতা। বিশেষ করে শহরগুলোয় কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি স্কুলগুলোয় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানদের ভর্তি করানোর প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি বাসস্থানের কাছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও দূরের কোনো কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি স্কুলে ঝুঁকছে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনগুলোয় নেই কোনো সরকারি নীতিমালার বাস্তবায়ন। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের জন্য বাইরের চাকচিক্য দেখিয়ে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এ সুযোগে প্রতি বছর সেশন ফি তো আছেই আরও আছে ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নামের বাণিজ্য। কিন্তু এসবের পরও অভিভাবকদের আস্থায় এসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান।
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাইপুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল সহকারী শিক্ষক প্রমিলা মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। গত ৭ জানুয়ারি এ প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে তাকে যখন ফোন করা হয়, তখনো তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আসলে সরকারি প্রাথমিক স্কুল ছাড়া বিকল্প প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিকেই পড়ছে। তার ভাষ্য, শিক্ষকরা আন্তরিকভাবেই পড়াচ্ছেন, তবে সব শিক্ষার্থীর মনোযোগ এক নয়।
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব গাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সফিউল্লাহ বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি মনে করেন, শিক্ষকদের আরও বেশি সিরিয়াস করতে হলে বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। তার অভিযোগ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন সরকারি গাড়িচালকদের চাইতে কম। অর্থাৎ শিক্ষকদের চেয়ে অষ্টম শ্রেণি পাস গাড়িচালকের স্কেলও এক ধাপ ওপরে। ফলে আর্থিক ও মানসিকভাবে ঠিক থাকেন না শিক্ষকরা। এতে পাঠদানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
লক্ষ্মীপুরের রাজগঞ্জের অভিভাবক রিমা আক্তার সন্তানদের লেখাপড়া করাতে উপজেলা ছেড়ে ঢাকায় চলে এসেছেন। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিকের লেখাপড়ার ওপর আস্থা রাখতে না পারায় ঢাকায় এসেছি। এখানে নামকরা স্কুলে (সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ) পড়াচ্ছি। তার ভাষ্য, প্রাথমিকের শিক্ষকরা আন্তরিক নন, সিলেবাসও যুগোপযোগী নয়।
এসব নানাবিদ কারণে প্রতি বছরই সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দেশের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে আট লাখ ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে বলে এক সরকারি প্রতিবেদনে জানা গেছে। আবার ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ঠিক কী পরিমাণে শিক্ষার্থী কমেছে তার প্রতিবেদন এখনো তৈরি হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) প্রস্তুত করা বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি (এপিএসসি) ২০২৩ অনুসারে, কেবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। বিপরীতে কিন্ডারগার্টেনে প্রায় দুই লাখ ৫৬ হাজার ও ইবতেদায়ি মাদরাসায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিদায়ী বছরের মাঝামাঝি প্রস্তুত হওয়া ওই প্রতিবেদন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল এক কোটি নয় লাখ ৮৫ হাজার ৮১৫। ২০২২ সালে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ২২২। অন্যদিকে ২০২৩ সালে ২৬ হাজার ৪৬১টি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৫ হয়েছে। ২০২২ সালে ২৬ হাজার ৪৭৮টি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৪৬ লাখ আট হাজার ৬৭৯।
এত কিছুর পরও এখনো বেশিরভাগ শিশুরা পড়ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বছর আগের তথ্যানুযায়ী, ঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিকের মাত্র ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৮০ শতাংশই অধ্যয়ন করছে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। যদিও ঢাকার বাইরে প্রাইমারি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর অর্ধেকেরও বেশি পড়াশোনা করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৬৪ দশমিক ১১, রংপুরে ৪৮ দশমিক ৯, খুলনায় ৬৪ দশমিক ১৯, ময়মনসিংহে ৫৭ দশমিক ২৪, সিলেটে ৬৭ দশমিক ২ ও বরিশালে ৭৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে সরকারি বিদ্যালয়ে।
এ প্রেক্ষিতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৮নং চর সেনসাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাবারক হোসেন তার এক লেখায় কিছু করণীয় বা সুপারিশ দিয়েছেন। এক. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্কুল যাতে একই সাথে বন্ধ থাকে, তা কর্তৃপক্ষের সুনজর রাখা প্রয়োজনীয়। দুই. বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম দেশ। বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। অভিভাবকদের মক্তবে আরবি পড়াতে ইচ্ছুক। তাই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তিন. যত্রতত্র অনুমতিবিহীন ব্যাঙের ছাতার মতো যাতে কোনো কিন্ডারগার্টেন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে না পারে, তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে যাতে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠে, তার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ও মনিটরিং জোরদার করা। চার. অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে যাতে কোনোরকম মিথ্যা তথ্য প্রদান না করে তার সুষ্ঠু মনিটরিং করা। পাঁচ. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখন ঘণ্টা কমানো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতকরা ৬০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক আছেন, যারা বাড়ির কাজ সামলিয়ে রান্নাবান্না সেরে বিদ্যালয়ে আসেন। তাই বিদ্যালয় খোলার সময় সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত করা। একজন শিক্ষার্থী সোয়া ৪টায় ছুটি হলে বাসায় গিয়ে বিকালে খেলাধুলার সুযোগ পায় না। তাই শারীরিক বিকাশ সাধনে শিক্ষার্থীকে বিকালে খেলাধুলা চর্চার সুযোগ দিতে বিদ্যালয়ের ছুটি ৩টায় হওয়া উচিত। ছয়. শিক্ষক হিসেবে আমাদের করণীয় হবে, নিয়মিত হোমভিজিট জোরদার করা, শিক্ষক অভিভাবকদের সুসম্পর্ক তৈরি করা, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশ, বিভিন্ন দিবসে র্যালি করা, অভিভাবকদের কাউন্সেলিং ও বিদ্যালয়ের সকল প্রোগ্রামে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো। বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজন করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়কে আকর্ষণীয় করা ও বিদ্যালয়ে আনন্দনঘন পরিবেশ তৈরি করা। এবং সাত. বেস্ট স্টুডেন্ট ও বেস্ট অভিভাবক নির্বাচন করে তাদের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।