প্রয়োজন বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০০
বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দুটি। এর প্রথমটি হলো- ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার এবং ক্লেপ্টোক্র্যাসি তথা চোরতন্ত্র থেকে মসৃণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণ। আর দ্বিতীয়টি হলো- অভিন্ন বৃহৎ প্রতিবেশীর আগ্রাসী আচরণ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা। এ দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য বলতে সেটি ব্যাপক অর্থে ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না। কারণ শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের তাঁবেদার ১৩ দলকে এখন আর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলা যায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সবচেয়ে বড় দুই শক্তি হলো শেখ হাসিনা এবং ভারত। অনেকে বলেন, শেখ হাসিনা তো পতিত শক্তি এবং এখন একটি দন্তনখবিহীন বাঘিনী। এ প্রসঙ্গে একটি কথা মনে পড়লো। অনেক দিন আগে একবার আমেরিকা চীনকে উপহাস করে বলেছিল, চীন কী একটি শক্তি হলো নাকি? চীন তো আসলে একটি পেপার টাইগার। অর্থাৎ কাগুজে বাঘ। উত্তরে চীন বলেছিল, আমরা কাগুজে বাঘ হলেও আমাদের রয়েছে আণবিক দাঁত। শেখ হাসিনার বেলায়ও তাই। তিনি এখন একটি কাগুজে বাঘ হলেও তার রয়েছে ভারতীয় দন্তনখর।
গভীর দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় হলো, যে মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, সেই মুহূর্তে প্রধান দুটি জাতীয়তাবাদী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি শক্তি হলো বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং তাদের এ মুহূর্তের পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি। দেড় মাস আগেও এ দুটি শক্তির দূরত্ব সুপ্ত ছিল। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ টের পাচ্ছিলেন যে, এদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আজ সাড়ে ৪ মাস পর সেই সুপ্ত দূরত্ব প্রকাশ্য এবং প্রকট হয়েছে।
কয়েকদিন আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আলোচনার একপর্যায়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আপনাদের (বিএনপি) দলের মধ্যে ডেমোক্রেসি নেই। তাই আপনাদের ভুলগুলো আমাদের উল্লেখ করতে হয়। এর জবাবে বিএনপি নেতা রিপন পাটওয়ারীর অবস্থান চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারা কারা? এর উত্তরে পাটওয়ারী কঠোরভাবে বিএনপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমরা হলাম তারা, যখন আপনারা আগস্টের ২ তারিখ থেকে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন আমাদের রাজপথে সংগ্রাম করতে হচ্ছিল। আমরা হলাম তারা, যখন আপনারা ৩ আগস্টে সুখনিদ্রা দিচ্ছিলেন, তখন যাত্রাবাড়ীতে আমাদের পুলিশের গুলিতে নিহত লাশের সংখ্যা গুনতে হচ্ছিল। আমরা হলাম তারা, যখন আপনারা সংগ্রাম করে বেগম জিয়ার কিছু করতে পারছিলেন না এবং তাকে মিছিল করে জেলে ঢুকিয়েছিলেন, তখন সেই আমরাই ৫ আগস্টের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেগম জিয়াকে মামলা থেকে বের করে মুক্তমানবী হিসেবে নিয়ে আসি। আমরা হলাম তারা, যারা পৌনে দুই মাসের আন্দোলনে আপনাদের হাজার হাজার কর্মীকে জেল থেকে বের করে আনি অথবা আত্মগোপন থেকে দিনের আলোয় নিয়ে আসি।
এ মতবিরোধ আরো প্রকাশ্য হয়ে আসে গত ২২ ডিসেম্বর রোববার যখন এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির সাথে ছলচাতুরী করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, সরকার যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছে, সেটি একটি প্রলম্বিত রোডম্যাপ। তিনি নাগরিক কমিটির নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা একটি রাজনৈতিক দল করছেন। কিন্তু জনগণের সন্দেহ, এটি যেন কিংস পার্টি বা রাজকীয় দল না হয়।
যতই দিন যাচ্ছে, ততই এ দুই শক্তিশালী দলের মতানৈক্য উচ্চকিত হচ্ছে। গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার ইংরেজি ডেইলি স্টারের এক রিপোর্টে বলা হয়, বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়। এ নির্বাচন অনেককে অসুখী এবং বিরক্ত করেছে। সব শেষে এ টানাপড়েন বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমান পর্যন্ত গড়িয়েছে। লন্ডন থেকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা তো একটা রাজনৈতিক দল। আমরা তো নির্বাচন চাইবই।
ড. ইউনূস রাজনীতি করেন না। আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেখানেও তিনি অংশ নেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। এ সরকারে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলম ছাড়া আর কেউ রাজনীতি বা কোনো আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নন। বিএনপির তরফ থেকে গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের সম্ভাব্য উদীয়মান রাজনৈতিক দলকে কিংস পার্টি বলার যৌক্তিক ভিত্তি পাওয়া যায় না। আগেই বলেছি, ঐ তিনজন ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের ২৩ জনের মধ্যে ২০ জনই অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং আগামী ইলেকশনে অংশ নেবেন না। তারপরও এদের কিংস পার্টি বলায় এমন কঠিন জবাব তারা দিয়েছেন, যেটি বিএনপির একেবারে গোড়ায় আঘাত হেনেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় নাগরিক কমিটির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর একটি সুদীর্ঘ ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছে। প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে পাটওয়ারী বলেন, একাত্তরের পর একটি দল বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাকে চুরি করেছিল। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর দুটি দল একই কাজ করেছিল। এবার চব্বিশের অভ্যুত্থানে জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে এসেছিল, এ মানুষগুলোকে এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে ‘আপনারা কারা’। অনেক দল বা পক্ষ এখন মনে করছে, এ গণঅভ্যুত্থান তারা করেছে। কিন্তু এ অভ্যুত্থান করেছে সাধারণ মানুষ। সেই সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তার উত্তর আমরা দিচ্ছি।
অপর একটি প্রশ্ন ছিল, গণঅভ্যুত্থানের পর আপনাদের সাথে বিএনপির দূরত্ব হলো কেন? উত্তরে পাটওয়ারী বলেন, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। তারা চাইছে না যে, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিটা সংগঠিত শক্তি হয়ে উঠুক।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আরো বলেন, নব্বইয়ের আন্দোলন ছাত্ররা করেছিল। পরে পার্টি বা কাঠামো আকারে বড়রা সেই আন্দোলনটা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। চব্বিশেও একই চেষ্টা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের অভ্যুত্থানের শক্তিকে ডাইভার্ট (ঘুরিয়ে) করে পুরোনো একই ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা যখন চলছে, তখন তারা বলছে, ‘আমরা তো দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছি, তাহলে আপনারা কারা নতুন করে কথা বলার’। গণঅভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থার যে লোকগুলো বিভিন্ন গর্তে বা কক্ষে বসে ছিল, তারা এ প্রশ্নগুলো করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সবচেয়ে কঠিন জবাব দিয়েছেন কিংস পার্টি সম্পর্কে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে যে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটিই হলো বিএনপি। তাহলে বলতে হবে, বিএনপিও একটি কিংস পার্টি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একটি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। আমরা এখানে তার উক্তি হুবহু উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবছি না। বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে নির্বাচনে গেলে বাংলাদেশকে একটা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। দেশ একটা গভীর সংকটে পড়বে।’ তার দ্বিতীয় সতর্কবাণী হলো, “গুপ্ত হত্যার আশঙ্কা রয়েছে। বিদেশে বসে হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ‘এ টিম’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাসরি আক্রমণ করে মানুষকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
বাংলাদেশে এখন ৩টি রাজনৈতিক শক্তিকে জনগণ গণনা করেন। এ তিনটি শক্তি হলোÑ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। এছাড়া বামপন্থী, মধ্যপন্থী এবং ইসলামী কয়েকটি দল রয়েছে, যারা ওপরের তিনটি শক্তির মধ্যে কারো না কারোর সাথে জড়িত।
এখন বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নির্বাচনের সময় নিয়ে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন ভারতে আটক ছিলেন। তিনিও দেখছি ৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচন চান। যদি ৫ আগস্টের বিপ্লব না ঘটত তাহলে কি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে আরো সাড়ে ৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না? এ সত্যটি জামায়াতে ইসলামী হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে। তাই তারা নির্বাচনের টাইমফ্রেম বা সময় নিয়ে সেরকম উচ্চকণ্ঠ নয়। জামায়াত ইতিবাচক পথে আছে। তারা তাদের আদর্শিক এবং রাজনৈতিক প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কাউকে তারা রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করছে না।
আমি প্রথমেই বলেছি, বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধীদের মতানৈক্যের সুযোগ নেবে পতিত আওয়ামী লীগ এবং ইন্ডিয়া। এখন দেখছি, সুযোগ নেওয়া নয়, ইতোমধ্যেই তারা দেশের মধ্যে এখানে-ওখানে সুযোগ নিচ্ছে। একটি ঘটনার উল্লেখ করছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী ভূঁইয়া গত ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান এবং ঐ অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের সমালোচনা করেন। কিশোরগঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ইদ্রিস আলী বিজয় দিবসের পোস্টারে শহীদ আবু সাঈদের ছবি দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোস্টারে আবু সাঈদের ছবি না দিয়ে যদি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দেওয়া হতো, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আবু সাঈদ শহীদ হইছে, কার সাথে যুদ্ধ করে শহীদ? কোন দেশের সাথে তারা যুদ্ধ করেছে? জেলা প্রশাসকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, বিজয় দিবসে কেন রাস্তাঘাটসহ সব জায়গায় আবু সাঈদের ছবি?’ পরে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তার বক্তৃতা শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও জেলা প্রশাসক এ বক্তব্যের প্রতিবাদ না করায় জেলা প্রশাসকেরও প্রত্যাহারের দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদ এবং আহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এখনই জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, শহীদ আবু সাঈদ প্রমুখের সমালোচনার স্পর্ধা দেখান ঐ মুক্তিযোদ্ধা। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের আরো দু-তিনটি স্থানে ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ একটি ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে। তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের তরুণ নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামীপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের লাগিয়ে দিয়েছে। নাসীরুদ্দীন দেশে একটি গৃহযুদ্ধে আশঙ্কা করেছেন। আরো আশঙ্কা করেছেন গুপ্তহত্যার। এসব ব্যাপারে বিএনপির কোনো নজর নেই। তারা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ইলেকশন নিয়ে ঘোরের মধ্যে আছে। আওয়ামীপন্থী মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তখন বিএনপির দেখা পাওয়া যায়নি।
আগামীতে যদি ভারতীয় বা আওয়ামী আগ্রাসন বা অন্তর্ঘাত হয়, তাহলে এখনকার অবস্থা দেখে মনে হয় বৈষম্যবিরোধীরা, জামায়াত এবং ইসলামী দলগুলো রুখে দাঁড়াবে। বিএনপি একটি বড় দল। নির্বাচনকে প্রধান ইস্যু না বানিয়ে আওয়ামী ভারতীয় হামলা মোকাবিলায় যদি বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা এক কাতারে শামিল হয়, তাহলে আগামীতে আওয়ামী বা ভারত- কোনো শক্তিই বাংলাদেশকে চোখ রাঙাতে সাহস পাবে না। দেশের অনেক বড় দল হিসেবে মানুষ বিএনপির নিকট থেকে এ বৃহত্তর ঐক্যই কামনা করে।
Email: [email protected]