টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প বন্ধের নেপথ্যে কাদের স্বার্থ?

ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০০

কারখানা বন্ধ নয়, চালু রাখার উদ্যোগ নিন। বন্ধ রাখলে বা বন্ধ করলে দেশ ও জাতির কোনো উপকার হবে না, বরং দেশের বড় ক্ষতি হবে। কারখানা চালু রাখলে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, শ্রমিকদের কাজ থাকবে, সাধারণ মানুষের আয় হবে; বাড়বে ক্রয়ক্ষমতা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বিক্রি বাড়বে, বাড়বে উৎপাদন, নতুনদের কর্মসংস্থান হবে, রফতানি বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, জিডিপিতে অবদান বাড়বে। অপরদিকে কারখানা বন্ধ করলে বা বন্ধ করার অঘোষিত নীতি নিলে শ্রমিক-কর্মচারীরা চাকরি হারাবে, নতুন করে বেকার সমস্যা বাড়বে, শ্রমিক অসন্তোষ বাড়বে, সাধারণ মানুষের আয় হ্রাস পাবে, ক্রয়ক্ষমতা কমবে, নিত্যপণ্যের বিক্রি কমে উৎপাদন কমতে থাকবে, আরো উৎপাদনমুখী কারখানা বন্ধ হতে থাকবে, বিনিয়োগ কমবে, সঞ্চয় কমবে, ব্যাংকের আমানত কমবে, শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে; অপরদিকে রফতানি কমবে, জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এভাবে দেশের অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়বে, সরকারের শুল্ককর, আবগারী কর ও আমদানি-রফতানি কর হ্রাস পাবে; কমে যাবে রাজস্ব আয়। সরকারের রাজস্ব আয় কমলে দেশের অবকাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। এককথায় বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান তথা কারখানার উৎপাদন ও বন্ধের সাথে শুধু ঐ কারখানা বা কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের আয়-ব্যয়ের সম্পর্ক নয়, এটার সাথে জড়িয়ে আছে পুরো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি।
শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ নিয়ে এত কথা বলার কারণ হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন, অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে। কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের বেশকিছু শিল্প বাণিজ্য গ্রুপ উৎপাদন ও পণ্য রফতানিতে সংকটে পড়ে। বাংলাদেশে এমন কিছু শিল্প গ্রুপ আছে, যাদের মালিকরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে রাজনৈতিকভাবে জড়িত ছিল। শুধু জড়িত বললে হবে না, তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে যেমনÑ দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, তেমনিভাবে পণ্য রফতানির নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এসব শিল্প বাণিজ্য গ্রুপের মালিকদের কেউ কেউ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ছিলেন আবার কেউ কেউ সরকারের সাথে বিশেষ সম্পর্ক করে ব্যাংক থেকে বিশেষ সুবিধায় লাখকোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তন্মধ্যে এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, গাজী গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ ইত্যাদি। এসব গ্রুপের অপরাধী মালিকদের একটি অংশ পালিয়ে গেছে আর কেউ কেউ জেলখানায় বন্দি আছেন।
এসব শিল্প বাণিজ্যিক গ্রুপগুলোর মধ্যে কয়েকটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টার কারণে পুরোপুরি বন্ধ আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টেক্সটাইল ও গামেন্টস খাতেরও শতাধিক কারখানাও বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো আংশিক চালু রয়েছে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশই রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। তন্মধ্যে অন্যতম একটি বৃহৎ গ্রুপ হচ্ছে বেক্সিমকো। এ গ্রুপের আকার বড় হওয়ায় এবং প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারও গুরুত্ব দিয়ে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাকে দিয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতেই বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার দিয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি বেশ কয়েকটি মিটিংও করেছে কীভাবে বেক্সিমকো গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখা যায়।
কিন্তু সম্প্রতি সরকারের উপদেষ্টা কমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক খাতের ১৬টি কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করার। এর বাইরে এ গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। উপদেষ্টাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশ ও দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর নয় বলে মনে করেন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও অর্থনীতিবিদরা। অবশ্য পরবর্তীতে বেক্সিমকো গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সরকারের নীতিমালা ও দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা জানা যায়নিÑ তাই এ নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। কিন্তু শিল্পপতিদের একটি বড় অংশ এ ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পক্ষে নয়। এ ধরনেরই একটি বার্তা পাওয়া গেছে বিএনপি ঘরানার এক শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতির বক্তবে। সম্প্রতি ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনায় বেক্সিমকো শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলা বিক্রি করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘কারা বিক্রি করবে, কেন করবে? কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য বা প্রতিষ্ঠান নৈতিকও না অনৈতিকও না। এসব প্রতিষ্ঠান যারা চালায়, তারা যদি অনৈতিক হয়, আইন মেনে তাদের বিচার হওয়া উচিত। মালিকদের শাস্তি হোক, কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়। কোনো উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান, যেখানে হাজার হাজার লোক কাজ করে, তা নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অন্তর্র্বর্তী সরকার নেবে না, সেটা আশা করব।
তবে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা কারখানা বন্ধ করতে চান না, কিন্তু বিদেশি বায়ারদের কাজ করতে হলে ব্যাংকে এলসি খুলতে হয়। এ বিষয়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমানে শতভাগ মার্জিন ছাড়া কোনো ব্যাংক বেক্সিমকোর এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না। ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না। বর্তমান যুগে ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া ব্যবসা চালানো কঠিন। কিন্তু সরকার এলসি খোলা বন্ধ করে দেয়ায় তারা বিদেশি বায়ারদের কোনো এলসি নিতে পারছেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের টেক্সটাইল খাতের কারখানাগুলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, এক বছরে সংগঠনটির সদস্যভুক্ত ৭৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানায় কাজ করা ৫১ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না আরো অন্তত ১৫৮টি কারখানা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) জানিয়েছে, এক বছরের মধ্যে এ খাতের ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সূত্র জানায়, বিটিএমএর ১৪টি বৃহৎ কারখানা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করা প্রায় আট হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরে বেক্সিমকো পার্কে অবস্থিত বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানায় প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। বেক্সিমকো গ্রুপের এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে এ ৪০ হাজার কর্মচারী যেমন বেকার হবে, এ পরিবারগুলোর আয় শূন্যে নেমে যাবে। জাতীয় উৎপাদনে প্রভাব পড়বে, রফতানি কমবে, বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমবে, এককথায় দেশের অর্থনীতিতে একটা প্রভাব পড়বে। দেশের অর্থনীতির জন্য দেশে-বিদেশে একটি নেতিবাচক বার্তা যাবে। অপরদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অন্যরকম মেসেজ যাবে। এমনিভাবে যদি বেক্সিমকোর মতো অন্য বড় শিল্প গ্রুপগুলোর কারখানার মালিকদের কারণে বন্ধ হয়ে যায় এবং সরকারের পলিসির কারণে বন্ধ হয়, তাহলে দেশ ও দেশের অর্থনীতির জন্য এটা ভালো হবে না।
কারখানাগুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, শুধুমাত্র নীতিগত সহায়তা দিলেই এ পোশাক কারখানাগুলো বিদেশি বায়ারদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ নিয়ে এলসি খুলতে পারলে তারা উৎপাদন চালু রাখতে পারবে এবং উৎপাদন চললে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দিয়ে ৪০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। ব্যাংক এলসি খোলার ব্যাপারে সহযোগিতা করলেই উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
বেক্সিমকোর একটি কারখানার চাকরি হারানো শ্রমিক তানজিনা বেগম (৩৬) বলেন, ‘বন্ধ হওয়ার পাঁচ বছর আগে যোগ দিয়েছিলাম। জীবনে জৌলুস না থাকলেও পরিবারের পাঁচ সদস্যের তিন বেলা খাবার জুটত বেতনের টাকায়। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সেই পথ বন্ধ। রংপুরে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্কুলপড়ুয়া মেয়ে আছে। টাকা না পাঠাতে পারলে তারা না খেয়ে থাকবে। তাদের ওষুধ বন্ধ হয়ে যাবে। মেয়ের লেখাপড়া শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কারখানার সামনে এসেছি, যদি কারখানা খোলে এমন খবরের আশায়।’
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে ঝুঁকিতে না ফেলে বেক্সিমকো গ্রুপের অংশীজনদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে কারখানা চালু রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও অর্থনীতিবিদরা বলেন, বিভিন্ন গ্রুপের প্রায় শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর এসব কারখানাগুলো হচ্ছে টেক্সটাইল ও গামেন্টস খাতের। এসব কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বা বন্ধ করে দেয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এ কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হলে লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কোথায় যাবে। এমনিতেই দেশে লাখ লাখ যুবক বেকার আবার কারখানা চালু করতে সহায়তা না করে বন্ধ করে দিয়ে আরো বেকার বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। অনেকে বলেন, নব্বইয়ের দশকে আদমজীর মতো বড় পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়ে ভারতে অনেকগুলো পাটকল খোলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। এবারও কি দেশের রফতানি আয়ে সিংহভাগ অবদান রাখা বড় শিল্প গ্রুপগুলোর টেক্সটাইল ও গামেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবেশী দেশকে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে কি? এতে করে প্রতিবেশী দেশটি বাংলাদেশের রফতানিবাজারে ভাগ বসাবে। এমন পরিস্থিতিতে কারখানার মালিক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি দীর্ঘ মেয়াদে দেশের রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। টেক্সটাইল ও গামেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বন্ধের নেপথ্যের আসল রহস্য কী?
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, দেশের কোনো শিল্প গ্রুপগুলোর মালিক ও কর্তৃপক্ষ যদি বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগিতায় ব্যাংকের ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করে থাকে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে চালু রেখে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা দেয়া উচিত। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, সরকারের বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে- এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের প্রশাসকদের সাথে বাণিজ্যিক এসোসিয়েশন থেকে একজন প্রতিনিধি এবং কারখানার ম্যানেজমেন্ট থেকে একজন প্রতিনিধি নিয়ে তিনজনের একটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি দিয়ে কারখানাগুলো পরিচালনা করা যেতে পারে। প্রশাসকসহ পরিচালনা কমিটিকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা প্রদান করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিককর্মচারীদের চাকরিতে রেখে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারাও মনে করেন প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রেখে মুনাফা থেকে ব্যাংকের ঋণও পরিশোধ করা সম্ভব হবে। টেক্সটাইল ও গামেন্টস খাতের কারখানাগুলো চালু রাখতে সরকারকে গুরুত্ব দিয়েই চেষ্টা করতে হবে। যেহেতু এ খাতের প্রতিযোগী দেশটি ওৎ পেতে বসে আছে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গামেন্টস খাতকে ধ্বংস করেই বিশ্ববাজারে তাদের দেশের পণ্যের প্রসার ঘটাতে। সকলের প্রত্যাশা সরকারের নীতিনির্ধারকমহল দেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে টেক্সটাইল ও গামেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ না করে চালু রাখতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।