সাপ্তাহিক সোনার বাংলা : এত পাঠকপ্রিয়তা লাভের কারণ কী

অতিথি লেখক
৮ মে ২০২৫ ১৪:৫৬

॥ আবদুল হালীম খাঁ ॥
একই বিষয়ে নানারকম মতপার্থক্য হওয়ার কারণে নানারকম দল গঠিত হয়ে থাকে। আর একেক দল পৃথক পৃথক মতামত প্রকাশের জন্য পৃথক পৃথক পত্রপত্রিকা প্রকাশ করে থাকে। গণতান্ত্রিক দেশে সবারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দল মনে করে, তাদের মতাদর্শে দেশ পরিচালিত হলে জনগণের সমস্যা দূর হবে, দেশের কল্যাণ ও উন্নতি হবে। এজন্য প্রত্যেক দলই তাদের পত্রপত্রিকা ও প্রচারমাধ্যমে জনসাধারণকে তাদের দিকে আহ্বান করে থাকে। বাংলাদেশে যতগুলো দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য প্রচারমাধ্যম রয়েছে, কোনোটাই দল ও বিশেষ মতনিরপেক্ষ নয়। এক দলের মতাদর্শ অন্য দল গ্রহণ করে না। এ কারণে দেশে যতগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে, জনসাধারণ তত দল ও মতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ মতপার্থক্যের কারণে সাধারণ মানুষ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে দলে দলে ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার বিধানে মানুষে মানুষে, ধর্ম-বর্ণ, ছোট-বড়, ধনী-গরিব, সাদা-কালোয় কোনো পার্থক্য নেই। সবাই আল্লাহর বান্দা। এ পৃথিবীতে সবারই বেঁচে থাকার এবং যার যার ইচ্ছেমতো কথা বলা ও পথচলার অধিকার আছে। কেউ আল্লাহর বিধিবিধান না মানলেও আল্লাহ তাকে খাবার দেয়া, পথ চলা ও কথা বলা বন্ধ করে দেন না। তিনি সবারই ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোঝার বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন এবং নবী-রাসূল (আ.)-এর মাধ্যমে সুন্দরতম জীবনবিধান দিয়েছেন। যারা মুসলমান বলে নিজেকে দাবি করেন, তাদের অবশ্যই আল্লাহর দেয়া জীবনবিধান অনুসারে রাসূল (সা.)-এর দেখানো পথে চলতে ও জীবন পরিচালনা করতে হবে। শুধু মুখে আল্লাহকে বিশ্বাস করি ও রাসূল (সা.)-কে মানি বললে চলবে না। নিজ জীবনে, পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কায়েম করার চেষ্টা করতে হবে। নিজ মতে বা কোনো রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে জীবনযাপন করলে তা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং উলিল আমরের এতায়াত কর।’ (সূরা আন নিসা : ৫৯)।
আরো বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আহযাব : ২১)।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর জীবনবিধান মেনে চলার এমন আরো অনেক হুকুম রয়েছে। যারা আল্লাহ তায়ালার এসব সুস্পষ্ট হুকুম না মেনে নিজেদের অথবা মানবরচিত বিধান মেনে চলে, ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মেনে চলে, তা পরিবর্তনের চেষ্টা সাধনা করে না, বরং সেই বিধানই একমাত্র জীবনবিধান সমাজে কায়েম করার চেষ্টা সাধনা করে থাকে, তারা ক্রমে ক্রমে এমনভাবে ধ্বংসের দিকে চলে যায় যে, তারা একটুও বুঝতে পারে না। তারা সেটাকেই জীবনের সফলতা মনে করে। মহান আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে বলে দিয়েছেন, ‘আর যারা অস্বীকার করে আমার আয়াতসমূহকে আমি তাদের এমনভাবে ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাই, তারা টেরও পায় না।’ (সূরা আরাফ : ১৮২)।
আল্লাহর এ সতর্কবাণীর দিকে আমাদের খেয়াল নেই। তাই আমরা সারা জীবন মুখে যতই আল্লাহকে বিশ্বাস করি বলে দাবি করছি, আসলে কার্যক্ষেত্রে মানছি না। এ কারণে আমরা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ-শান্তি ও কল্যাণ পাচ্ছি না। ক্রমেই ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছি। অথচ টের পাচ্ছি না।
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা ইসলামী জীবনাদর্শ প্রচার করে যাচ্ছে সুদীর্ঘ ৬৩ বছর যাবত। বাংলাদেশে মুসলিম জনমানুষের উপযোগী এমন সর্বাঙ্গ সুন্দর নিটোল পত্রিকা আর নেই। এ দেশের মানুষ চিনে ফেলেছে সোনার বাংলাকে। তাই দেশের শহরে, গ্রাম-গঞ্জে তৈরি হয়েছে এর অসংখ্য পাঠক। গ্রাম-গঞ্জের শিক্ষিত ও আধা লেখাপড়া মানুষ যারা কোনো পত্রিকা পড়ার সুযোগ পায় না বা পড়ে না, তারাও সাপ্তাহিক সোনার বাংলার গ্রাহক এবং নিয়মিত পাঠক। এ পত্রিকাটিতে তারা পায় মনের খোরাক। একদিকে তারা খুঁজে পায় দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকল খবর। এতে তারা পায় কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশের অবস্থার খবর-বার্তা। শুধু তাই না এর রয়েছে সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিভাগ। এর কুরআন ও হাদীসের আলোকে লিখিত প্রবন্ধ-নিবন্ধগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার একজন সাধারণ পাঠক কিছুদিন নিয়মিত পাঠ করলে তিনি যেমন জাতিসত্তা, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন, তেমনি তিনি ইসলামী জীবনাচার, জীবনবিধান এবং মুসলমান হিসেবে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠেন।
আর একটি বিষয়, সোনার বাংলা একটি বিশ্বস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে কখনো কোনো মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ছাপা হয় না। ঘটনা যতটুকু, ততটুকু ছাপা হয়Ñ না কম, না বেশি। এজন্য সোনার বাংলার ওপর আস্থা রাখা যায়।
দেশের সাধারণ মানুষ বেশি পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান না। কিন্তু দেশ-দুনিয়ার খবর-বার্তা না জানলেও চলে না। তাদের জন্য একমাত্র সাপ্তাহিক সোনার বাংলাই যথেষ্ট। এজন্য দেখা যায় কোনো সপ্তাহে কোনো পাঠক সোনার বাংলা হঠাৎ না পেলে বা দেরিতে পেলে তিনি পত্রিকাটির জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। অন্য আরেকজন পাঠকের কাছে গিয়ে পত্রিকা পড়েন। সোনার বাংলা পাঠকদের মনে-প্রাণে এই যে, বিশ্বাস ও আকুলতা সৃষ্টি করেছে, এমনটি অন্য কোনো পত্রিকার ব্যাপারে দেখা যায় না। সোনার বাংলার এ গুণটি মস্তবড় একটি পুঁজি। দেশে অনেক পাঠক আছেন, যারা দৈনিকই দু-একটা পত্রিকা পড়েন, যে কোনো পত্রিকা হাতের কাছে পেলে তাই পাঠ করে তৃপ্তি পেয়ে থাকেন এবং দেশের ও বিদেশের অবস্থা জেনে নেন। কিন্তু সোনার বাংলার পাঠকগণ অন্যসব পত্রপত্রিকা যতই পাঠ করুন, তাতে তাদের মন পরিতৃপ্ত হয় না। একমাত্র সোনার বাংলাই তাদের মনে তৃপ্তি, বিশ্বাস ও আনন্দ দান করে। সোনার বাংলায় পরিবেশিত সব খবরই তারা খুঁটে খুঁটে পাঠ করে থাকেন। পাঠকগণ এ পত্রিকাটি ঘরে দীর্ঘকাল সংরক্ষণ করেন। কেউ কেউ এর বিশেষ অংশ কাটিং করে ফাইলে তুলে সংরক্ষণ করেন। ধর্মীয়, বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং বিশেষ বিশেষ কবিতা প্রায়ই প্রকাশিত হয়, যা অন্য কোনো পত্রিকায় পাওয়া যায় না।
আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে অনেক সমস্যা রয়েছে। খাদ্য সমস্যা, বেকার সমস্যা, বন্যা সমস্যা ও বাসস্থান সমস্যা। এর মধ্যে বর্তমানে শিক্ষা সমস্যা সবচেয়ে বড় ও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের শিক্ষায় আর সুনাগরিক, সৎ নেতা ও সৎ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে অসৎ নেতা, অসৎ কর্মী, সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত ও প্রতারক। এসব সমস্যা মূলত অজ্ঞ ও অসচ্চরিত্রের শাসক ও কর্মকর্তাদের দ্বারা তৈরি হচ্ছে। এসব সমস্যা দূর করার জন্য শত শত বই, পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে এবং পত্রিকাগুলো একেক রকম পথ দেখাচ্ছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, বরং সমস্যায় জট পাকিয়ে দেশ ও মানুষকে নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে। সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে ইসলামে আর সেই কথা বলছে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা। আমাদের দেশে প্রচুর সম্পদ রয়েছে এবং আছে কাজ করার জন্য প্রচুর জনশক্তি। কিন্তু সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে খাটানোর মতো যোগ্য পরিচালক নেই।
জাহেলি যুগে মরু আরব দেশে কোনো সম্পদই ছিল না। আর মানুষ ছিল অজ্ঞ-মূর্খ, বিচ্ছিন্ন ও ঝগড়াটে। সেই অজ্ঞ-মূর্খ ও নিঃস্ব এবং শত সমস্যা ও অনাচারে লিপ্ত মানুষ মাত্র কয়েক বছরে নবী মুহাম্মদ (সা.) কোন জীবনবিধানের দ্বারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এমন এক মজবুত জাতিতে পরিণত করলেন, যারা হয়েছিলেন সুসভ্য উন্নত চরিত্রের মানুষ। তারা হয়েছিলেন বিশ্বের সকল মানুষের আদর্শ নেতা। তখন তাদের মধ্যে আর থাকলো না খাদ্য-বস্ত্রের সমস্যা। হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে জনসাধারণের আর্থিক অবস্থা এতটা উন্নত হয়েছিল যে, জাকাতের টাকা গ্রহণকারী অভাবী মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না। কোন জীবনবিধানের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের এমন জাদুকরী পরিবর্তন সাধন করেছিল?
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা সেই বিধানের কথা বলে যাচ্ছে, প্রচার করে যাচ্ছে দীর্ঘ ৬৩ বছর যাবত। এ দেশের ৯০ শতাংশ তাওহীদি জনতা সেই জীবনবিধানের বাস্তব রূপ দেখার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা তাদের প্রাণের কথা বলে এজন্য পত্রিকাটি সবার প্রিয়। দেশের শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজারে, পাড়ায় পাড়ায় নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী সকল শ্রেণির মানুষের ঘরে ঘরে হাতে হাতে দেখা যায় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকা।
পৃথিবীতে মুসলমানরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তাদের আকিদা, ঈমান, বিশ্বাস এবং সাহিত্য-সংস্কৃতিতে রয়েছে স্বকীয়তা এবং মহৎ আদর্শ। তাদের অন্য কোনো জাতিকে অনুসরণ ও অনুকরণের প্রয়োজন নেই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। তোমাদের দায়িত্ব হলো- তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দাও, অসৎকাজ থেকে (মানুষকে) বিরত রাখ এবং আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান পোষণ কর।’ সূরা আলে ইমরান : ১১০)।
আল্লাহ আরো বলেন, ‘ওহে ঈমানওয়ালা লোকেরা! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু।’ (সূরা মায়িদা : ৫১)।
মহান আল্লাহর এ বাণী মুসলমানরা ভুলে গেছেন। তাই মুসলমানরা ইহুদি-খ্রিস্টানদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও শিক্ষা-সভ্যতা গ্রহণ করছেন নির্বিচারে। মুসলমানরা বিজাতিদের মধ্যে লীন হয়ে গেছেন। বিশ্বকবি আল্লামা ইকবাল তাই বলেছেন-
চালচলনে হিন্দু তুমি
বেশ-ভূষাণে খ্রিস্টান,
মুসলমান এ অবস্থা দেখে
ইহুদি-খ্রিস্টান লজ্জাপান।
মুসলমানদের এ অধঃপতনের কথা সাপ্তাহিক সোনার বাংলা বলে দেয় এবং মুসলমানদের পোশাক-পরিচ্ছদ, চালচলন, লেনদেন কেমন হওয়া উচিত, তা সোনার বাংলা বলে দেয় এবং মুসলমানদের জাতীয় চেতনা জাগ্রত করে দেয়ার সাধনা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাব্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আজো কাব্যসাহিত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষায় সেই বিজাতীয় কালো ছায়া বিস্তার করে আছে। ইংরেজ শিক্ষাবিদ ম্যাকল ১৮৩৫ সালে যে শিক্ষানীতি চালু করেছিলেন, আজো তার প্রভাব সম্পূর্ণ মুছে যায়নি। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা এদেশের তাওহীদি জনতার মানসপটে ইসলামী কাব্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি সঞ্জীবনী সুধারস ঢেলে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে তোলার সাধনা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সোনার বাংলা আদর্শমানের নতুন লেখক তৈরির জন্য এর বড় একটা অংশ বরাদ্দ করেছে। সোনার বাংলা সাহিত্য বিভাগে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত লিখে আসছেন। তারা লিখছেন কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, গান, নাটক এবং গঠনমূলক সব রচনা। এ বিভাগে লিখে লিখে ইতোমধ্যে একঝাঁক তরুণ উৎসাহী সাহিত্যকর্মী সৃষ্টি হয়েছে। তারা এতদিনে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি আদর্শ ধারা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে, দেশের প্রবীণ কবি-সাহিত্যিক যারা সারা জীবন ‘শিল্পের জন্য শিল্প’ বিশ্বাসে কাব্যচর্চা করে তৃপ্তিলাভ করে আসছিলেন, তাদের জীবন ও সাহিত্য ভুল ভেঙেছে। তারা বুঝতে পেরেছেন কাব্য সাহিত্য খেলার বিষয় নয়। জীবন ও সমাজ মানুষের জন্য এক মহত আদর্শ প্রচার-প্রসারের জন্য। আর সে আদর্শ হলো ইসলাম। জীবনের সকল কাজই আমলনামায় লেখা হয়, তাতে কাব্যসাহিত্য বাদ পড়ে না। আরো যারা সমাজতন্ত্রী ছিলেন, তাদের পূর্বের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। তারা বর্তমান আদর্শধারায় অনেকে ফিরে এসেছেন। আমাদের সমাজের নবীন-প্রবীণ মনমানসে চিন্তায় ও কর্মে এই যে, কল্যাণকর পরিবর্তন সাধন এটা সপ্তাহিক সোনার বাংলার অবদান। এ অবদান মোটেই সামান্য নয়, বিরাট; সাহিত্যের একটি বহমান ধারা পাল্টে দিয়েছে। অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে রাজি হন না। আল্লামা জালাল উদ্দীন রুমী বলেছেন-
“মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়,
আলো দেয়ার আগে নিজেকেই পুড়তে হয়।”
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পুড়ে পুড়ে দেশে আলো ছড়াচ্ছে। এসব কারণে পত্রিকাটি দেশের সকল শ্রেণি মানুষের প্রাণ হয়ে উঠেছে।