সমাজ-সংস্কৃতির উন্নয়নে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা
৮ মে ২০২৫ ১৪:৫৫
॥ প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ॥
ব্রিটিশদের ভয়াবহ নির্যাতনের কবল থেকে জনগণ মুক্ত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। কিন্তু স্বাধীন পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিলো উল্লেখ করার মতো। প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা এ অস্থিরতাকে আরো বেগবান করেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদদের প্রভাব-প্রতিপত্তি জাতিকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করেছে। অর্থ ও ক্ষমতালাভের নষ্ট রাজনীতি সমাজ-সংস্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিলো। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে সাহসের সাথে দাঁড়িয়ে যায়। বৈরী বাতাসে লাগাম টেনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সমাজ-সংস্কৃতির শেকড়ে মানবিকতার রস সঞ্চার করে যায়। দীর্ঘ সফরে সোনার বাংলা এখন শহর-নগর পেরিয়ে শুধু মফস্বলে নয়, গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায়, বাড়িতে বাড়িতে প্রিয় পত্রিকা হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে।
খুব ছোটবেলায় সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সাথে পরিচয়। ছোট দাদা মাওলানা আবদুল গফুর গাইবান্ধা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। আমরা সকল নাতি-নাতনি দলবেঁধে যেতাম তাকে সালাম করতে। তিনি বিস্কুট নিয়ে আসতেন। প্রত্যেকে মুঠোভর্তি বিস্কুট দিতেন। আমি একটু বেশি আদর পেতাম। আমার কাছে ছড়া শুনতেন। গজল শুনতেন। ভালো ছাত্র মনে করে খুব আদর-যত্ন করে কাছে বসাতেন। তখন দেখতাম দাদার সিথানের কাছে একটি কাগজ। নাম সোনার বাংলা। বানান করে করে পড়ার চেষ্টা করতাম। ছবিগুলো পরখ করতাম। মাঝে মাঝে দাদার ছবিও পেতাম। সেই থেকে সোনার বাংলার সাথে সখ্য। সেই প্রেমকে ঘিরে আজও সোনার বাংলার মায়ায় সময় কাটাই।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কৃতির অঙ্গন মোটেও স্বাধীন থাকেনি কখনো। বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে মুসলিম মানসেও শিরকবাদী সংস্কৃতি বাসা বেঁধে আছে। মূলত মানুষের ভেতরকার অনুশীলিত কৃষ্টির বাহ্যিক পরিশীলিত রূপকে সংস্কৃতি বলা হয়। এটা তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তিতে শরয়ী বিধিবিধানের আলোকে গড়ে ওঠার কথা। এর বাইরে যা কিছু আছে সবই নষ্ট ও অপসংস্কৃতি। বাংলাদেশে প্রতিটি সেক্টরে নষ্ট সংস্কৃতির প্রভাব নৈতিক অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন ডে, থার্টিফার্স্ট নাইট, বিকৃতভাবে নববর্ষ উদযাপন প্রভৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতি চর্চায় বেলিল্লাপনা ও বেহায়াপনার সয়লাব চলে।
বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার সুবর্ণযুগে স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, ফেসবুক প্রভৃতি প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা অত্যধিক। পশ্চিমাজগৎ পরিকল্পিতভাবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় অপসংস্কৃতিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সেই তালে বাংলাদেশের বিকৃত মানসিকতার রুচিহীন সংস্কৃতিকর্মীরাও সেই হাওয়ায় পাল উড়িয়ে চলেছে। যৌন সুড়সুড়িবর্ধক অশ্লীল দৃশ্য, বিদেশি গান-বাজনা, নৃত্যানুষ্ঠান, নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীর চোখধাঁধানো বাহারি ছবি ভয়াবহ যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে শুধু ঘরে ঘরে নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে একান্ত বিষয় হিসেবে ঘুণপোকার মতো বসত গড়েছে। ফলে দেশব্যাপী অসংস্কৃতি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড ন্যক্কারজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন এবং মাদক চোরাচালানের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।
পাশ্চাত্যের খুদকুঁড়া খাওয়া এক ধরনের বেহায়া মিডিয়াকর্মী ও সংবাদমাধ্যম সারা পৃথিবীর নারী-পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক ও যুবক-যুবতীর প্রেমের অশ্লীল কাহিনী প্রকাশ করছে। বিনোদনের পাতা নামে নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি এমনভাবে প্রকাশ করছে যা দেখলে যুবমনে যৌন সুড়সুড়ি সৃষ্টি হয়। ফলে তারা উত্তেজিত হয়ে নোংরা পথে পা বাড়ায়। এছাড়া অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবিসংবলিত পত্রপত্রিকা ও বই-পুস্তকের সয়লাব চলছে সর্বত্র। এর অশুভ প্রভাবে মানবচরিত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এমন ভয়াবহ পরিবেশ থেকে জনমানসকে বাঁচাবার জন্য সাপ্তাহিক সোনার বাংলা রুচিশীল সমাজ বিনির্মাণে শরিয়া সমর্থিত মানবিক সংস্কৃতির চর্চা করে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ-পরবর্তী পাকিস্তানে শরিয়ার পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা থাকলেও সত্যিকার অর্থে সে আশায় গুড়েবালি। দীর্ঘসময়েও তারা মুসলমানদের উপযোগী কোনো মৌলিক মানবিক শিক্ষানীতি তৈরি করতে পারেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা তো দূরের কথা, বরং পাকস্তানি আমলে যেটুকু প্রচেষ্টা এগিয়েছিলো, তাও ধ্বংস করা হয়েছে। কুদরত-ই খুদা শিক্ষানীতির সাথে আরো ভয়াবহ শিক্ষা পদ্ধতি যুক্ত করার মাধ্যমে ক্রমশ বিশ্বাসী মানুষের শিক্ষাচিন্তাকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মানুষের নৈতিক অধঃপতনের জন্য দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনেকাংশে দায়ী। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক চরিত্র গঠন, ঈমান, আকিদা, আমল সংশোধন এবং আখিরাত, মৃত্যু, কবর ও জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে সতর্ক করার পদক্ষেপ নেই। এ দর্শনহীন শিক্ষাব্যবস্থা মানবসমাজের নৈতিক অধঃপতনের প্রধানতম কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা নামে দেশে প্রচলিত দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সরকার লর্ড মেকলের চালুকৃত। ‘ভাগ কর ও শাসন কর’ পলিসির অনুকূলে তাদের গৃহীত উক্ত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে তারা মুসলিম উম্মাহর শিক্ষিত শ্রেণিকে দুটি ধারায় বিভক্ত করতে চেয়েছিল। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের চূড়ান্ত পর্যায়ে নাইট-নবাব, খানবাহাদুর ইত্যাদি লকব এবং সরকারি চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার জালে আটকিয়ে ফেলে ইংরেজবিরোধী জিহাদ ও স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষিতদের সুযোগবঞ্চিত করে মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষাবিমুখ করতে তারা ছিল তৎপর। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিগত সরকারগুলো বিভিন্ন সময়ে যেসব কমিটি গঠন করেছে, সেখানে দেখা গেছে সবারই মূল টার্গেট ছিল ইসলামী শিক্ষাকে সংকুচিত করা। ফলে ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে এ জাতি নৈতিকভাবে অধঃপতিত দুর্নীতিগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করে বাঙালি মুসলিম সমাজে চিন্তার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক অঙ্গনে নৈতিকতার কোনো বালাই থাকছে না বাংলাদেশে। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, দলনীতি ইত্যাদি কারণে ন্যায় পথে জীবিকা অর্জন অনেকটা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সম্পদের অসম বণ্টন, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদন ও বণ্টন বৈষম্য, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ইত্যাদির ফলে সমাজের একশ্রেণির লোক অর্থ শোষণ করে জোঁকের মতো ফুলে উঠছে। আরেক শ্রেণির মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ফলে যুবসমাজের মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে নৈতিকতা গঠন এবং ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর কোনো বিকল্প নেই। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা বিভিন্নভাবে সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
পারিবারিক শিক্ষাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যদের কারণেই অনেক সন্তান বিপথগামী হয়। পরিবারে অনেকেই আছেন, যারা নিজেরা কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, তাহাজ্জুদ ইত্যাদিসহ ইসলামের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে খুবই যত্নবান। কিন্তু তার পরিবারের অন্য সদস্যগণ ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার ক্ষেত্রে গাফেল। তারা কোথায় রাত কাটায়, কখন বাড়ি ফেরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কখন যায় আসে, সেগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর খুব বেশি রাখেন না। এভাবে আমাদের সমাজের পরিবারগুলো বিপথে চলে যায়। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা একটি পারিবারিক পত্রিকা। পরিবারের সকল সদস্যের খোরাক থাকে এর পাতায় পাতায়। পরিবারের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকলেই যদি এ পত্রিকার দিকে সপ্তাহব্যাপী নজর রাখেন, তাহলে নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি এবং ইসলামী অনুশাসনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সহজতর হয়ে ওঠে।
সত্যিকার অর্থে, প্রতিদিনের ঘটনাবলির মধ্য থেকে ছেঁকে ছেঁকে যেসব খবর সাংবাদিকরা সংবাদপত্রের পাতায় তুলে আনেন, তা-ই নিউজ বা সংবাদ। আর সেসব খবরসমৃদ্ধ প্রিন্ট এডিশনকেই বলা হয় সংবাদপত্র। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে মানুষের পথসৃষ্ট ইতিহাস পর্যায়ক্রমে সুসমৃদ্ধ হয়ে আসছে। সব ইতিহাসের পেছনে একটা কারণ ও বৈশিষ্ট্য বা বিষয় লুক্কায়িত থাকে। সেই দিক থেকে সংবাদপত্রেরও একটা সুপ্রাচীন ঐতিহ্য আছে। দর্শনগতভাবে সংবাদপত্রের বৈশিষ্ট্য হলো, অপ্রচলিতকে একটা সৌকর্যময় সিস্টেমের আওতায় এনে প্রচলিত কার্যকর প্রোডাক্টের পরিকল্পিত পুনঃসংযোজন। সাংবাদিকতার ক্রাইটেরিয়ায় মূলত সত্যনিষ্ঠতার আলোকে সঠিক ও নিরপেক্ষতার নিরিখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করাই হচ্ছে মূল বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ গণমাধ্যম। বাংলাদেশের জনগণ আজ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী চক্রান্তকারী আর শোষক-শাসকের দ্বারা শোষিত এবং নির্যাতিত। দেশ আজ দুঃসময় পার করছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রগুলোর দৈন্যদশা স্পষ্ট। রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা মৌলিকত্বকে এবং নৈতিক চরিত্রের আলোকিত অধ্যায়কে ছুড়ে ফেলে দালালির পথে হাঁটতে চায়। সাহিত্য পাতাগুলোও এ কালো থাবা মুক্ত নয়। আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও এরা অন্ধ অনুকরণ করে। তবে এতকিছুর মধ্যেও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। দেশের এ দুঃসময়ে এবং চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা অনেকাংশে চৌকস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা ভরসার জায়গা হিসেবে মাথা উঁচিয়ে কথা বলছে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার অন্যতম লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ হচ্ছে মননশীলতা ও আদর্শচিন্তার উৎকর্ষসাধন। মেধাবী ও মননশীল লেখক তৈরি এবং কবি-সাহিত্যিকদের সৃজনশীলতায় উদ্বুদ্ধ করা। সেই সাথে এর প্রধান ও অন্যতম আদর্শ হলো জনগণের স্বার্থে স্বাধীন নিরপেক্ষতার মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ ও আদর্শভিত্তিক বিষয়বস্তুর পরিবেশন। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সত্যের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে তাই এ পত্রিকা জনমনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে। তবে বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির বিজলি চমকের এ কঠিন সময়ে নিউজ, উপসম্পাদকীয় এবং বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো বেশি পরিকল্পিত ও যত্নবান হওয়া এখন সময়ের দাবি।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক; প্রফেসর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।