সোমালি দস্যুদের হাতে পণবন্দী জাহাজ
ঈদের আগেই উদ্ধারের আশা মালিকপক্ষের
স্টাফ রিপোর্টার : এখনো সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দী রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও তার নাবিক-ক্রুরা। মুক্তিপণ দাবিতে নাবিক ও ক্রুদের আটকের দুই সপ্তাহ পর তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মুক্তিপণের বিষয়টি জাহাজ মালিকদের জানিয়েছে। তবে ১২ মার্চ জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ১৬ দিন (২৭ মার্চ এ রিপোর্ট লেখার দিন) পর মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চূড়ান্ত হয়নি। ফলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন নাবিকদের পরিবার ও স্বজনরা। এদিকে জাহাজটি উদ্ধারে অভিযান চালাতে ভারতের পর এবার সোমালিয়া পুলিশ আগ্রহ দেখালেও ঝুঁকি থাকায়, তাতে সায় দেয়নি বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ। এ মুহূর্তে নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার চাচ্ছে মুক্তিপণের মাধ্যমেই জাহাজটি উদ্ধার করতে, মালিকপক্ষের চাওয়াও একই। পণবন্দী ওই জাহাজে থাকা নাবিক ও ক্রুদের পরিবারও চাচ্ছে মুক্তিপণের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে আসুক স্বজনরা। ঠিক কবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তার নিশ্চয়তা এখনো মেলেনি। তবে ঈদের আগেই এটি উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে চায় মালিকপক্ষ। বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, উদ্ধার অভিযান শুরু করলে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তৈরি হতে পারে মৃত্যুঝুঁকির মতো পরিস্থিতি। তাই এ ধরনের কোনো অভিযানে সায় নেই বাংলাদেশের। তবে জলদস্যুদের হাতে পণবন্দী বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সোমালি পুলিশ। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বলছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। গত ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফ বলেন, জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছিÑ যাতে তারা এ এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন কোনো অভিযানে অনুমতি দেবে না বাংলাদেশ সরকার। সরকার চাইছে আগের মতোই মুক্তিপণের মাধ্যমে দস্যুদের কাছ থেকে নাবিকদের উদ্ধার করতে।
এদিকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ শুরু হলেও এখনো মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে মুখ খুলছে না মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। গত ২০ মার্চ দুপুর থেকে পণবন্দী করে রাখা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষের। জাহাজের ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে মালিকপক্ষের যোগাযোগ হচ্ছে বলে একটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমালিয়ার উপকূলে বন্দী করে রাখা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগেই ফেরানোর চেষ্টা করছে জাহাজের মালিকপক্ষ।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হচ্ছে চীন
- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে বাড়ছে পেটে গ্যাস
- আবার পরিবর্তন আসবে হয়তো!
- ২৯ পণ্যের সরকারি মূল্য মানছে না ব্যবসায়ীরা
- ভারত থেকে আমদানি কমেছে
- ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে---হামিদুর রহমান আযাদ
- আমাদেরকে ইসলামী আদর্শের দিকেই ফিরে আসতে হবে----মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
- মানুষ ঠিকমতো মাহে রমাদানও পালন করতে পারছে না--ছাত্রশিবির সভাপতি
- সীমান্তে ২ জনের হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে স্বাধীনতা চরম সংকটে : মির্জা ফখরুল
- হজ, ওমরা এবং ট্রাভেল ব্যবসায়ীদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ