অবলোকন
গভীর ক্ষমতা বলয়ে মোদির সমর্থন কমছে?
॥ মা সু ম খ লি লী ॥
ভারতে এবারের নির্বাচনের শুরুতে মনে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি ও তার দল বিজেপি তেমন কোনো জোরদার প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবে না। কিন্তু চার দফা নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর অবস্থাটা সে রকম আর মনে হচ্ছে না। দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে বিজেপি একাই ৩৭০ আসন এবং এনডিএ চারশ’ পার করবে বলে উল্লেখ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এখন বিজেপি ২৭২ আসনের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এমন কথাও বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিজেপি ২০০ আসনের আশপাশে আটকে যেতে পারে।
অনেক কার্ড কাজ করছে না
নির্বাচনী কৌশলের যেসব কার্ড নিয়ে মোদি নির্বাচনে নেমেছিলেন তার অনেকগুলো এখন সেভাবে কাজ করছে না। তিনি রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঘটা করে এর উদ্বোধন করে ধর্মীয় কার্ডটি খেলার প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়েছিলেন। কিন্তু সনাতন ধর্মের চার প্রধান নেতা এ বিষয়ে ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। এখন মনে হচ্ছে এ ইস্যুটি আগের মতো এবারের নির্বাচনে সেভাবে প্রভাব ফেলছে না।
এরপর তিনি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কার্ড খেলতে শুরু করেন। এর আগেও তিনি এ কার্ড খেলেছেন। কিন্তু এবারের মতো এতটা বেপরোয়াভাবে তিনি সেটি সামনে আনেননি। তিনি বলছেন কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের কাছ থেকে দুটি মোষের একটি কেড়ে নিয়ে অধিক সন্তানওয়ালা মুসলমানদের কাছে বিতরণ করবেন। এখানেই তিনি থামেননিÑ বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের মঙ্গলশোভা কেড়ে ....বিস্তারিত
ছায়া সরকার ও বিরোধীদল : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
॥ ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া ॥
আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের ভোটেই রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং সরকার ও পার্লামেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকে। অবশ্য এটা কোনো রাষ্ট্রে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটে হয় আবার কোনো রাষ্ট্রে পরোক্ষ ভোটে হয়ে থাকে। বর্তমান বিশে^ রাষ্ট্র, সরকার, আইনসভা তথা পার্লামেন্ট, জনগণ, নির্বাচন ও ভোট অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এককথায় জনগণের ইচ্ছায় তথা ভোটেই রাষ্ট্র, সরকার ও আইনসভা সবকিছু গঠিত হয়ে থাকে। রাষ্ট্র, সরকার থেকে শুরু করে আইনসভা ও প্রশাসন ইত্যাদির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে সরকার। আর আধুনিক বিশ্বে এ সরকারের থাকে দুটি অঙ্গ- একটি ক্ষমতাসীন দল নিয়ন্ত্রিত সরকার আর একটি হচ্ছে বিরোধীদল। গণতান্ত্রিক বিশে^; বিশেষ করে ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইলের গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল থাকা স্বীকৃত বিষয়। রাষ্ট্র এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের জোট পরিচালনা করবে, তার বিপরীতে একাধিক রাজনৈতিক দল ও জোট বিরোধীদল হিসেবে সরকারের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল রাষ্ট্র ও সরকারের অংশ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে। রাষ্ট্র বিরোধীদলকে সাংবিধানিকভাবেই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর প্রতিটি পার্লামেন্টেই সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদল থাকে এবং প্রায় সমান মর্যাদা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেও বিরোধীদল আছে, বিরোধীদলের নেতা আছে, নেতার জন্য সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয় আছে। যদিও সুষ্ঠু নির্বাচন ও ....বিস্তারিত
দেশের কল্যাণে নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব দরকার
॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে তৈরি করে তাঁর পথে চলার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী-রাসূলের তালিকা পাওয়া যায়। তাঁরা সবাই বিয়ে-শাদী করে সংসার জীবন ও সমাজ জীবন গড়ে তুলেছিলেন। তাঁরা তাদের সময়ের লোকদের আল্লাহর পথে ডেকেছেন। শিরকমুক্ত থেকে দুনিয়ার জীবন অতিবাহিত করেছেন, ভালো কাজের আদেশ দিয়েছেন আবার মন্দ কাজের জন্য দুনিয়া-আখিরাতে বদনসিবের খবর দিয়েছেন। প্রত্যেক নবী ও রাসূল একই দায়িত্ব পালন করেছেন। নবী মুহাম্মদ সা. আল্লাহর শেষ নবী ও রাসূল।
নবী মুহাম্মদ সা. ২৩ বছরে তাঁর নবুয়্যতের সময় আল কুরআন নাজিল হয়েছে এবং পূর্ণ বাস্তবায়নও এ সময়ে পুরোপুরি হয়েছে। ঐ সময়ে মুহাম্মদ সা. তাঁর সাথে পেয়েছিলেন নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন সাহাবী আবু বকর রা., ওমর, ওসমান, আলী রা.সহ ঈমানের বলে বলীয়ান আরো বহু সাহাবীকে। শেষ নবী মুহাম্মদ সা.-কে নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করেই সৃষ্টি করেছিলেন। শিশু বয়সে দুধ মায়ের দুধ পানের সময়ও তাঁর দুধ মায়ের আরেক ছেলের অধিকার সংরক্ষণ করে এক স্তন থেকেই দুধ পান করে অন্যের অধিকার দেয়ার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন।
যুবক বয়সে চাচা আবু তালেবের সাথে সিরিয়ায় ব্যবসা করার সময়ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে আরব দেশে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ঐ সময়ের ধনাঢ্য বিধবা মহিলা বিবি খাদিজার কাছেও তাঁর ব্যবসায়িক যোগ্যতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার খ্যাতি জানান দেয়। ফলে বিবি খাদিজা তার ব্যবসায়িক কাজে শেষ নবী মুহাম্মদ সা.কে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। অল্পসময়ের মধ্যেই নবী ....বিস্তারিত