অবিলম্বে জামায়াতের নিবন্ধন দিতে ইসিকে আপিল বিভাগের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১ জুন ২০২৫ ১১:৪৫

সুপ্রিম কোর্ট

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি বলে জানিয়েছেন আদালত। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগ এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করেছেন এবং হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধনসহ অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিশির মনির বলেন, আমরা আদালতের কাছে সংক্ষিপ্ত কপি চেয়েছি, আশা করছি আগামীকালের মধ্যে এটি পাওয়া যাবে, এটা পেলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিষয়টি আজকের সংক্ষিপ্ত রায়ে বুঝা না গেলেও আদালত নির্বাচন কমিশনকে অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধান করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন এর মাধ্যমে প্রতীকের বিষয়টি বুঝানো হয়েছে। তবে আগামীকাল রায়ের সংক্ষিপ্ত কপিটি পেলে এটি আরো পরিষ্কার হবে।
এর আগে গত ১৪ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছিল। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।