ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত নির্মূল হয়নি, রুখতে হবে
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
ফ্যাসিবাদ সহজে নির্মূল হয় না। নানা অপকৌশলে ফিরতে চায়। কিন্তু জনগণের ওপর চেপে বসা এ ফ্যাসিস্টরা যাতে আর ফিরতে না পারে, সে লক্ষ্যে সতর্ক ও সক্রিয় থাকার বিকল্প নেই। বিশ্লেষকদের ভাষ্য, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা দেশে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তারা ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে। দেশে আবারও খুন, ধর্ষণ ও অর্থ পাচারের স্বর্গরাজ্য বানাতে তারা মরিয়া। কিন্তু না, দেশের মানুষ আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা দূরে থাক, হাসিনা সরকারের আদলে অন্য কোনো সরকারও চান না। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানের আর কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশে।
দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল ফ্যাসিবাদ। এ ফ্যাসিবাদের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল, এরা (ফ্যাসিস্টরা) গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে প্রতিষ্ঠা করেছিল ফ্যাসিবাদ। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের মুখপাত্র ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তো প্রকাশ্যেই সীমিত গণতন্ত্রের সবক দিয়েছিলেন। তার ভাষায়, উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্র চেয়েছিল তারা। কিন্তু বাস্তবে কী দেখলেন দেশবাসী? উন্নয়নের নামে নিজেদের আখের গুছিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতারা। বিশেষ করে শেখ পরিবার শত শত কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য বলছে, ৮৭টি পদ্মা সেতু করার সমপরিমাণ টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কারো কথা বলার অধিকারও ছিল না। কথা বললেই মামলার শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানের অনিয়ম নিয়ে দেশের গণমাধ্যম কোনো সংবাদ প্রকাশও করতে পারেনি। শেখ হাসিনার অধীনস্থ জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ে অপকর্মের তথ্য পাওয়ায় জীবন দিতে হয় সাংবাদিক সাগর-রুনিকে। ওই খুনের ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছিলে, কিন্তু তিনিও জানতেন না এর পেছনেও অন্য রহস্য রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় ওই খুনের ঘটনায় চার্জশিট দেওয়ার তারিখ সেঞ্চুরি পার হয়েছে, কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেননি। এমন হাজারো ঘটনা রয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়কার। অবশেষে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে দেশের ফ্যাসিবাদের মূল হোতা শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি দেশ ছেড়ে পালালেও তার অনুসারী বা দোসররা দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, সরকার পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, বিশৃঙ্খলা বাধিয়ে রাখতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদের অপতৎপরতা দেখতে চান না। তারা চান সমূলে নিপাত যাক ফ্যাসিবাদ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট তা কিন্তু নয়, তাদের ক্ষমতায় রাখার মূল সিঁড়ি ছিল এরশাদের জাতীয় পার্টি। আর কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ব্যানারে ছিল রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারীর তরীকত ফেডারেশনসহ ১৪টি দল। এছাড়া সর্বশেষ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ (ডামি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলভুক্ত ছাড়াও বেশকিছু অখ্যাত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিতর্কিত ও একতরফা ওই ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল, এরাও ফ্যাসিস্ট। এসব দলের সমর্থকরা হচ্ছেন ফ্যাসিবাদের দোসর বা সহায়ক।
তথ্য বলছে, ফ্যাসিবাদের মূল স্লোগান হলো একরাষ্ট্র, একনায়ক ও এক রাজনৈতিক দল। সেখানে গণতন্ত্রের কোনো স্থান নেই। কারণ ফ্যাসিস্টদের ধারণা, সারা দেশের মানুষের পক্ষে দেশের ভালো-মন্দ বোঝার সক্ষমতা বা যথেষ্ট জ্ঞান নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি, ইতালি ও জাপানের পরাজয়ের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদী মতবাদের পতন ঘটে। ফ্যাসিবাদী মতবাদের উৎপত্তি বিংশ শতাব্দীর ইতালির একনায়ক বেনিতো মুসোলিনির (১৮৮২-১৯৪৩) ফ্যাসিস্ট পার্টির হাত ধরে। মূলত ইতালিতে জাতীয়তাবাদী মতবাদকে পুঁজি করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই ছিল বেনিতো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী মতবাদের মূলমন্ত্র, যার ফলে তিনি ১৯২২ সালে ইতালির রাজা দ্বিতীয় ভিক্টর ইমানুয়েলকে এক প্রকার জোর করে উৎখাত করেই ইতালির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে এমনিভাবে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়।
আমেরিকার জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত শিক্ষক ও গবেষক আসিফ বিন আলী তার এক লেখায় ‘ফ্যাসিবাদ কী? আমাদের সমাজে কি ফ্যাসিবাদ রয়েছে? বাংলাদেশের সমাজে ফ্যাসিবাদ কি ভবিষ্যতের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে? কেমন করে ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ করা যায়? এ প্রশ্নগুলো সামনে রেখে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার উপস্থিতি নিয়ে’ নানা বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। সেখানে তিনি বলেন, একজন ফ্যাসিস্ট বা ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদে বিশ্বাস করেন। নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী’ বলে বলে দাবি করেন। একনায়কতন্ত্রের প্রতি সমর্থন দেন। তিনি সামরিক শক্তির প্রতি অতিরিক্ত শ্রদ্ধা দেখান এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করেন। একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় সাধারণত একনায়ক বা একক দলের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিস্ট সরকার দেশে বিক্ষোভ দমন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক বিরোধিতার অধিকার দমন করার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফ্যাসিবাদের মূল লক্ষ্য হলো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে রাষ্ট্রের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা হয়। এখানে রাষ্ট্রের স্বার্থ মানেই কিন্তু জনগণের স্বার্থ নয়। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রের স্বার্থ বলতে ক্ষমতায় থাকা একনায়ক ও তার সমর্থক দলের সুবিধাভোগী অংশের স্বার্থকে বোঝানো হয়।
১৯২০ সালে মুসোলিনি ইতালিতে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময়কে আধুনিক ফ্যাসিবাদের সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয়। যুদ্ধ-পরবর্তী ইতালির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে মুসোলিনি জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন ও তার ফ্যাসিস্ট আদর্শ প্রচার করেন। ১৯২২ সালে মুসোলিনি নিজেকে একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা যায় জার্মানিতে। ১৯৩৩ সালে জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলার ক্ষমতায় আসেন। হিটলারের নাৎসি পার্টি ফ্যাসিস্ট নীতিগুলো বাস্তবায়ন করতে থাকে। হিটলারের ফ্যাসিবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল ইহুদিবিদ্বেষ।
হিটলার সমাজে চরম জাতিগত ঘৃণা প্রচার করে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে পাঠিয়ে হত্যা করতে থাকে। আমরা পরে দেখতে পাই, হিটলার ও মুসোলিনির চরমপন্থী আদর্শ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্ম দেয়। ফ্যাসিবাদের শিকড় শুধু ইতালি এবং জার্মানিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। স্পেনের জেনারেল ফ্রাঙ্কো এবং আরও কিছু ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকান দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা পায়।
ফ্যাসিবাদী আচরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সফল। শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিল। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অন্য কোনো দলকে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদের মূল ভিত্তি ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদ, কর্তৃত্ববাদ (শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত সরকার), রাজনৈতিক বিরোধিতা দমন এবং অন্য জাতি বা গোষ্ঠীর প্রতি শত্রুতা। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মাধ্যমে ব্যবহার করেন। নিজেকে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার হিসেবে উপস্থাপন করেন; যা তার জনপ্রিয়তার অন্যতম হাতিয়ার ছিল। পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছিলেন তার ক্ষমতা ও আদর্শ প্রচার করতে এবং জনগণের মনে উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনা উসকে দিতে। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাসিনা সরকার ১৫ বছর ধরে দেশে এক কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। অবশেষে ৫ আগস্ট বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগ কখনোই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারত না, যদি না জনগণের এক অংশের মধ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন থাকত। এখনো আওয়ামী এর সমর্থকরা হারিয়ে যায়নি। তবে চুপ মেরে বসে আছে। তারা সুযোগ পেলে গর্জে উঠতেও ভয় পাবে না। ফলে তাদের উত্থান যাতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছে; কিন্তু জনগণের মধ্যে থেকে কি ফ্যাসিবাদ চলে গেছে? না, যায়নি। ফ্যাসিবাদ এত সহজে যায় না। ফ্যাসিবাদ যেমন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তেমনি সমাজ থেকে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতেও দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ দূর করার মাধ্যম হলো উদারনৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন; যা সবাইকে সম্পৃক্ত করে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেয় এবং সহমর্মিতা দেখায়। দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার উপায় সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করলে ফ্যাসিবাদ দুর্বল হয়ে যায়। ফ্যাসিবাদ তখনই সফল হয়, যখন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে বা ভেঙে যায়। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, শক্তিশালী সংসদীয় ব্যবস্থা এবং সংবিধানগত অধিকারগুলোর সুরক্ষা প্রয়োজন। স্বচ্ছ নির্বাচন এবং জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান ভূমিকা রাখে।
দেশে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, হত্যা, লুণ্ঠন, খুন, গুম করেছেন তাদের ক্ষমা করা হবে নাÑ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, যারা আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল, জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। স্বৈরাচারের পতনের সাথে সাথে দেশ থেকে সব জুলুম-নির্যাতনের অবসান হয়েছে। সম্প্রতি যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শার্শা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াত আমীর বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে এমন একটি বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই যেখানে কোনো সুদ-ঘুষ জাতপাত-দল-ধর্মের ব্যবধান থাকবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক দল ছিল না। তারা ফ্যাসিবাদী দল। ১৯৭২-১৯৭৫ সালে ফ্যাসিবাদের জন্ম দেন শেখ মুজিব। এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা টাউন হল ময়দানে বিএনপির এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৬ বছরে কোথাও কুপিয়ে-গুলি করে হত্যা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশকে ব্যবহার করেও তারা হত্যা করেছে। গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সম্ভব নয়। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনরোষে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে। তাই এখন এসব থেকে আল্লাহর রহমতে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ এখনো যায়নি। কেবল ফ্যাসিবাদের একজন নেতা ভারতে পালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।