রাজধানীর ফুটপাতে ফুটন্ত কড়াই : বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা


৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ফুটপাত ও মূল সড়কে ফটন্ত কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে জিলাপি, সিঙ্গাড়া, পুরি, মোগলাই, পিঁয়াজু, চপসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। ভাজা-পোড়া এসব খাবারে বিক্রেতাদের কারো কারো দোকান থাকলেও অধিকাংশেরই দোকান নেই। যাদের দোকান রয়েছে, তারাও দোকানের সামনের অংশে ফুটপাত বা মূল সড়কের ওপর চুলা বসিয়েছেন, তাতে তেলের কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে এসব খাবার। ফলে পথচারী ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
ঢাকার রাস্তায় শিশুরা চলেন, বৃদ্ধরাও চলেন, যারা অনেক সময় সতর্ক থাকতে পারেন না। খেয়াল থাকে না। কিন্তু সড়কগুলোয় চলার পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে কোথাও ফুটপাত দখল করে বিশাল কড়াই পেতে ফুটন্ত তেলে সিঙ্গাড়া ও মোগলাই ভাজা হচ্ছে। ফুটপাতের অনেকটা দখল করে আছে ছোট ছোট চা-দোকানি। এরপরও ভাজা-পোড়া দোকানেরও অভাব নেই। পথচারীরা হয় ভয়ে ভয়ে পাশ দিয়ে কোনো মতে হাঁটাচলা করছেন, নয়তো গরম কড়াই এড়াতে নেমে যাচ্ছেন গাড়ি চলার রাস্তায়।
পথচারী অনেকেরই প্রশ্ন, ফুটপাত আটকে কড়াই পেতে ব্যবসা চলবে কেন? সামনে গরম তেলের কড়াই রাস্তায় বসিয়ে কীভাবে নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য প্রস্তুত করা সম্ভব? ভুক্তভোগীরা বলছেন, শহরজুড়েই যাতায়াতের রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে খাবারের ব্যবসা চলে। চলে কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ব্যবসাও। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় না।
ঢাকা রাজধানীর যে সড়কেই চোখ রাখবেন, সে সড়কেই দেখা যাবে চুলা জ¦লছে। সেখানে নানা ধরনের রান্না হচ্ছে। বিশেষ করে ভাজা-পোড়া হচ্ছে। কেউ কোনো নিয়ম মানছেন না। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে বসে আছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ভাষ্য, তারা দেখেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থে প্রভাবশালীরাই ফুটপাতের আকার বদলে ফেলেন। তারা সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা তোয়াক্কা করেন না। এটি বন্ধ করতে বললে নানা দিক থেকে তদবির শুরু হয়। অনেক সময় দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ফুটন্ত কড়াই বসিয়ে রান্নার কাজ বন্ধ করতে না পারলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। তারা বলছেন, এখন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই। তাই কোনো রাজনৈতিক দলের তদবির পাত্তা না দিলেও কোনো সমস্যা নেই। তাই রাজধানীসহ দেশজুড়ে যত দখলদারিত্ব রয়েছে, তা এখনই মুক্ত করার সময়।