বিরোধীদল নির্মূলের চক্রান্ত আ’লীগের জন্য বুমেরাং হয়েছে


১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪০

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এমন কিছু নেই, যা করেনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। নেতৃত্বশূন্য করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর ওপর চালানো হয় সীমাহীন জুলুম। দলটির তৎকালীন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ অনেক শীর্ষনেতাকে বিচারের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিচারের নামে শীর্ষনেতাদের হত্যা করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীকে প্রকাশ্যে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। কয়েকজন মিলে ঘরোয়া বৈঠক করলেও সেখান থেকে ধরে নিয়ে কথিত নাশকতার মামলা ঠুকে দিয়ে বছরের পর বছর বন্দি করে রাখা হয় কেন্দ্র থেকে শুরু করে হাজার হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীকে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়া হয়। দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা কেড়ে নেওয়া হয়। এত কিছুর পরও যখন কোনোভাবে দলটির অগ্রযাত্রা থামানো যাচ্ছিল না, তখন একপর্যায়ে এসে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ওপর জুলুম চালায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দলীয় কর্মসূচিতে যেতে বাধা প্রধান করা হয়। বন্দি করা হয় খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে দলটির অনেক শীর্ষনেতাকে। জুডিশিয়াল কিলিং-এ হত্যা করেছে বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন চৌধুরীকে। একাধিকবার বিএনপিকে তার রাজনৈতিক মিত্রদের কাছ থেকে দূরে রাখার নানা ষড়যন্ত্র করে হাসিনা সরকার। বিএনপিকে ভাঙতে বহু চেষ্টাও করে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার।
বিচারিক কিলিং চালিয়ে জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয় : কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচারের নামে হত্যার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সেই বিচারের সব রায় দেয়া হয়েছে সরকারের ইচ্ছামাফিক। সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচারের নামে কীভাব হত্যা করেছে, তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ হয় প্রায় এক যুগ আগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সরকার গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়’ শিরোমামে প্রকাশিত রিপোর্ট। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপি কথোপকথনে ফাঁস হওয়া ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের ভাষ্য ছিল এটি। ওই সময় প্রায় তিন মাসে মোট ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে জানা যায়, কোন কেসটা কীভাবে এগোবে, কোনটার রায় কখন দিলে ভালো হবে, কতজন সাক্ষী নিলে সুবিধা, সবকিছু নিয়ে সংলাপ হয়। এছাড়া যাদের সঙ্গে কথোপকথন হয়, তাদের একজন রায় ও আদেশের স্ট্রাকচার লিখে পাঠান বলে ঐ স্কাইপি আলোচনায় উঠে আসে। ওই সময় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপি কথোপকথনে জানান, সরকার রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। সরকার শুধু একটা রায় চায়। আর এ সরকারি চাপেই জামায়াতের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়। সরকারপক্ষের অনেক সাক্ষীকে কীভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে হবে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গুম করা হয়, অনেক পরে তাকে ভারতে পাওয়া যায়। বিচারের নামে কীভাবে অবিচার করা হয়েছে, তার অনেক উদাহরণ রয়েছে জাতির সামনে।
জামায়াতকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি
আওয়ামী লীগ আমলে এক দশকের বেশি সময় ধরে জামায়াতে ইসলামীকে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। ঘরোয়া বৈঠক করতে গেলে দলটির নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছেÑ এমন অভিযোগে। একাধিকবার জামায়াতের আমীরসহ শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী। এর দুদিন পর ১২ ডিসেম্বর দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট। আমীরের গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করার পরপরই আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। মূলত জনগণের ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই আমীরে জামায়াতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, এ গ্রেফতার, হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য চলমান এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
নিবন্ধন বাতিল ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা হয়
কি করা হয়নি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে? সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে শেখ মুজিব সরকার। পরে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ পায় জামায়াত। এরপর বিভিন্ন সময় জামায়াতে ইসলামী সরকারের রোষানলে পড়ে একপর্যায়ে চলতি বছরের গত ১ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল।
ওইসময় চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত ও এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন হাসিনা সরকারের মন্ত্রীরা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন ওই জোটের শীর্ষনেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সেই বৈঠক হয়। জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলো। নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে বিবৃতি দিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায় জামায়াত, দলটি ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানায়। এর আগে হাসিনার ইচ্ছামাফিক আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত তখন বহাল থাকে।
এদিকে গত ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ২৮৬ দিন দেরি মার্জনা করে আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ ২২ অক্টোবর এ আদেশ দেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন বিরোধীদলের হরতালের কারণে কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। এরপর ২৮৬ দিন দেরি মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন দেরি মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
একাধিকবার ভাঙার চেষ্টা করা হয় বিএনপিকে
প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অংশ হিসেবে একাধিকবার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার। এতে তারা খুব একটা সফল হয়নি। ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে ভাগিয়ে নিতে চেয়েছিল হাসিনা সরকার। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির অনেকে ভোটে আসবে এমন তথ্য দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। কিন্তু জেলখানায় থাকা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ছাড়া আর কাউকে বাধ্য করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। জেলে থাকা তৎকালীন বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর কথিত নির্বাচনে নৌকার টিকিটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ বিএনপিতে বড় ধরনের বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকে কারাবন্দি করে এবং বিএনএম ও বিএসপির মতো নতুন দল গঠন করে সরকার বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল। দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অনেকের মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর হামলাও করা হয়েছে। কিন্তু নিপীড়নের মুখে ও সংসদ সদস্য হওয়ার প্রলোভন উপেক্ষা করে বিএনপি নেতারা দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছিল। ‘এটা বিএনপির জন্য বড় জয়’।
গত নির্বাচনে জেল থেকে বের হয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর। জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শাহজাহান ওমরের এ ঘোষণা আসে। ক্ষমতাসীন দল থেকে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ক্ষমতাসীন দলের তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সবই হয়েছে খুব দ্রুত। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘শাহজাহান ওমরের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, সরকার কীভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমে বিএনপিকে বিভক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়টিও উন্মোচিত হয়েছে।’ তাছাড়া ওই সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই বলতেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাদের এ দাবি এখন ফাঁকা বুলি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি দেওয়া তথ্য বলছে, গতবছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর ১৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং পাঁচ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচিতে বিএনপি ও গৃহবন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া
বড় কর্মসূচি ঘোষণা করলেই বিএনপির শীর্ষনেতাদের একটি বড় অংশকে গ্রেফতার করা সরকারের নিয়মে পরিণত হয়েছিল। ২০১৩ সালের শেষ দিকে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ওই কর্মসূচিটি ছিল তৎকালীন ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচি। কর্মসূচি পালনে সারা দেশ থেকে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসতে বলা হয়। কিন্তু সরকার কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি অতীতের সব রেকর্ড ভাঙে। সব ধরনের পরিবহন ঢাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ (গোপনে) করে দেয়। টানা তিন দিন কার্যত সারা দেশ থেকে ঢাকা ছিল বিচ্ছিন্ন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ও পেশাজাবীরা সমাবেশ করে, আর উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও বিক্ষোভ দেখায় আইনজীবীরা। এ স্থানেও হামলা চালায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা। গুলশানের বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খালেদা জিয়াকে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। বালুর ট্রাক দিয়ে তার বাসার সামনের পথ বন্ধ করে রাখা হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়, গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর তিনি মুক্তি পান।
পরিশেষে সব অত্যাচার-নির্যাতন বুমেরাং হয়ে আওয়ামী লীগের দিকে ফিরে গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে হাসিনা।