জমে উঠেছে ইসলামী বইমেলা : বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩
॥ সাইদুর রহমান রুমী॥
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গত ২২ অক্টোবর থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ইসলামী বইমেলা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে চলছে নতুনরূপে ইসলামী বইমেলা। দিন যতই যাচ্ছে, বইমেলায় বাড়ছে লেখক পাঠক ও দর্শনার্থীর ভিড়। তবে বরাবরের মতো প্রচারণার যথেষ্ট অভাব রয়েছে নতুন আঙ্গিকের এ ইসলামী বইমেলার। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দলবেঁধে অনেকেই গল্প করছেন, বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলে ঘুরে বই দেখছেন। অনেকেই বই নেড়েচেড়ে দেখে চলে যাচ্ছেন। পাঠক-দর্শনার্থীর আনাগোনা ও ভিড় বাড়লেও বই বেচাকেনা এখনো আশানুরূপ নয় বলে জানান স্টল মালিকরা। বিশেষ করে বায়তুল মোকাররম পূর্ব গেটের স্টল মালিকগণ জাঁকজমকভাবে স্টল সাজালেও সে তুলনায় ঐ প্রান্তে দর্শনার্থী না পেয়ে কিছুটা হতাশ।
নতুন আঙ্গিকে এবারের এই মেলা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সেক্যুলার হাসিনার পতনের পর এবারের ইসলামী মেলাতেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের পাশাপাশি পূর্ব গেটে এবারই প্রথম বড় পরিসরে ইসলামী বইমেলার স্টল রাখা হয়। প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই পূর্ব গেটেও এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেলা। দক্ষিণ গেটেও থাকছে বইয়ের দোকান। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে এ মেলা। পূর্ব গেটে একুশে বইমেলার মতোই অত্যন্ত সুন্দর ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য স্টলগুলোতে আধুনিক স্টাইলে যথেষ্ট জায়গা রাখা হয়েছে। ফলে মেলার দৃষ্টিনন্দনতা বেড়েছে অনেকগুণ। সঠিক প্রচারণা হলে দর্শকরা এবার ইসলামী বইমেলাটি অনেক উপভোগ করতে পারবেন বলে স্টল মালিক-প্রকাশকরা আশাবাদী। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় মূলধারার ইসলামিক প্রকাশকগণ বায়তুল মোকাররমের বইমেলায় অনেকটাই অবহেলিত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজালে জড়ানো ছিল বইমেলার পরিবেশ। এবার ইসলামিক বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ও আকার বর্ধিত করার পাশাপাশি নকশায়ও আনা হয়েছে নান্দনিকতা। প্রকাশকরাও তাদের স্টলগুলো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে সাজসজ্জায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। নতুন আঙ্গিকে, বৈচিত্র্যময় সাজে সাজানো হয়েছে এবারের বইমেলা। মেলাকে নান্দনিক ও উৎসবমুখর করতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। থাকছে লেখক কর্নার, শিশু কর্নার, নারীদের বিশেষ ব্যবস্থা, ঘোষণা মঞ্চ, তথ্যকেন্দ্র এবং নানা আয়োজন। এছাড়া ২০ দিনব্যাপী ইসলামী বইমেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে নিয়মিত সিরাত, ফিলিস্তিন, জুলাই অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং জ্ঞানভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন থাকছে। বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলা ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে সোজা পূর্বপ্রান্তের চত্বরে পা রেখেই দর্শকের নজরে পড়বে ডানদিকে দৃষ্টিনন্দন লেখক মঞ্চ। সামনে সারি সারি সাজানো স্টল। স্টলের সংখ্যা ও আকার বর্ধিত করার পাশাপাশি নকশায় আনা হয়েছে নান্দনিকতা। প্রকাশকরাও তাদের স্টলগুলো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে সাজসজ্জায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।
লেখক-পাঠক-শিশু-নারী কর্নার
বায়তুল মোকাররম ইসলামী বইমেলায় এবারই প্রথম একুশে বইমেলার আদলে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নান্দনিক ডিজাইনে স্থাপন করা হয়েছে লেখক মঞ্চ। মেলার নিয়মিত প্রচার কার্যক্রমের জন্য থাকছে তথ্য ও মিডিয়াকেন্দ্র। লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং দায়িত্বশীল নাগরিকদের আলাপচারিতা ও বসার জন্য থাকছে বিশেষ স্থান। আগে মেলা সীমিত ছিল কেবল দক্ষিণ গেটের সীমিত অংশে। সেখানে ছিল না লেখক-পাঠকদের কথা বলার বিশেষ ব্যবস্থা। মেলায় নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্যও ছিল না কোনো আয়োজন। এবার মেলায় লেখকরা স্টেজে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন এবং সামনে প্রশস্ত জায়গায় চেয়ার টেনে বসে শুনবেন পছন্দের লেখকের কথা ও অভিব্যক্তি। সুযোগ পাবেন প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ সংগ্রহের। এসব আয়োজনে এবারের মেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকবান্ধব হয়ে উঠছে। শিশু কর্নারকে দৃষ্টিনন্দন অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তাদের জন্য থাকছে শিক্ষামূলক আয়োজন। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণের শোভা বাড়বে অনেকটাই। এবারই প্রথম ইসলামী বইমেলা ঘিরে এমন সব আয়োজন করা হয়েছে। যেকোনো বয়সী শিশু-কিশোরদের নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকগণ। সন্তানের মেধা ও মনন বিকাশে সহায়তা করবে বিশেষ এ আয়োজন। আগে শিশুদের নিয়ে অভিভাকদের আলাদা চিন্তা করতে হতো। এবার শিশুদের সামলানোর পাশাপাশি পাওয়া যাবে তাদের মানসিক বিকাশের বিশেষ সুযোগ। এছাড়া নারীদের জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদে আলাদা নামাজের ঘরতো রয়েছেই। বয়স্কদের জন্য হুইলচেয়ার সেবা দেওয়া হচ্ছে। মেলায় হাঁটতে হাঁটতে যারা ক্লান্ত হয়ে যাবেন তাদের জন্য থাকছে মসজিদের পূর্ব দিকে খানিকটা বিশ্রাম নেওয়ার বন্দোবস্ত। আগের তুলনায় বেশি সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবী মেলার সব আয়োজন সহায়তা ও শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রকাশকদের কথা
নতুন আঙ্গিকে, বৈচিত্র্যময় সাজে সাজানো হয়েছে এবারের বইমেলা নিয়ে অনেক আশাবাদী প্রকাশক-স্টল মালিকরা। মেলা উপলক্ষে দারুল হিকমাহ পাবলিকেশন্স লি. এবং প্রিন্সিপাল পাবলিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সোনার বাংলাকে বলেন, মেলাটির আরো প্রচারণা দরকার ছিল। মেলার পাশাপাশি ইসলামী বই প্রকাশকদের নানা সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। রাহনুমা প্রকাশনীর প্রকাশক দেওয়ান মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আশা করি লেখক-প্রকাশক ও লেখক সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় এবার মেলাটি হয়ে উঠবে প্রকৃত ইসলামী বইমেলা। এছাড়া মাকতাবাতুল ইসলামের কর্ণধার আহমাদ গালিব জানান, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে এবারের ইসলামী বইমেলাটি বর্ণাঢ্যভাবে দর্শকপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করা যায়। একই আশাবাদ ব্যক্ত করেন নাশাত প্রকাশনীর কর্ণধার মাওলানা আহসান ইলিয়াস। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে আধুনিক প্রকাশনীর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাকিব সোনার বাংলাকে জানান, তাদের বই কেনাবেচা ভালো। দর্শকরা নানা ধরনের বইয়ের খোঁজ নিচ্ছেন। স্টলে সব বই না থাকলেও আমরা আমাদের মগবাজার, কাঁটাবন, বায়তুল মোকাররম স্টল থেকে সংগ্রহ করে দিচ্ছি। দক্ষিণ গেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে কথা হয় কর্মকর্তা মো. ইয়াকুবের সাথে। তিনি জানান, পাঠকরা বিভিন্ন বই খুঁজছেন। বেচাকেনা ভালো। আমাদের বইগুলোয় বইভেদে ৩৫-৪০ শতাংশ ডিসকাউন্ট রয়েছে।
দর্শনার্র্থীদের বক্তব্য
রামপুরা থেকে হতে আগত একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এসেছেন সপরিবারে। তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামী বইমেলার খবরটি দেখলাম। তাই অফিস শেষ করে বউ-বাচ্চাকে নিয়ে মেলায় আসলাম। আগে স্টুডেন্ট লাইফে মাঝে মাঝে আসতাম। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বায়তুল মোকাররম মসজিদে দেশ বরেণ্য আলেমদের তত্ত্বাবধানে সিরাত মাহফিল হতো। সে উপলক্ষে নবীজির সিরাত এবং ইসলামী বইয়ের পসরা সাজিয়ে প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হতো। নব্বই দশকেও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বছরে তিনটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হতো পবিত্র রমজান, রবিউল আউয়াল ও ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু বিগত আওয়ামী সরকার ইসলামী বইমেলার সেই জৌলুস নষ্ট করে দেয়।
মেলা উদ্বোধনে ধর্ম উপদেষ্টা
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেটে গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার ইসলামী বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইসলামের আদর্শ ও চেতনা বিকাশে ইসলামী বইয়ের বিকল্প নেই। বই মানুষের চরিত্র ও জীবন গঠনে ভূমিকা রাখে। একটি আদর্শিক জীবন গঠনে ইসলামী বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। সেক্যুলার আবহ থেকে ইসলামী জীবনধারায় যাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে এ বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং অনুবাদ সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এ বইমেলা নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করে উপদেষ্টা বলেন, আগেকার পাঠ্যবইয়ে স্বল্পপরিসরে সাহাবায়ে কেরামদের জীবনাদর্শ সংযোজিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সৃজনশীল প্রকাশক ও সৃষ্টিশীল অনুবাদকের মাধ্যমে বৃহৎ কলেবরে এ জাতীয় বই প্রকাশিত হয়েছে এবং পাঠক সেগুলো সংগ্রহ করে জ্ঞানান্বেষণের সুযোগ পাচ্ছে। এতে ইসলামী ও বাংলা অনুবাদ সাহিত্য সমৃদ্ধ হচ্ছে। তিনি আগামীতে বৃহৎ পরিসরে ইসলামী বইমেলা আয়োজনের বিষয়ে প্রকাশকদের আশ্বস্ত করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার। বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানী, তামিরুল মিল্লাতের অধ্যক্ষ ড. আবু ইউসুফ খান, আধুনিক প্রকাশনীর মো. হাফিজুর রহমান, রাহনুমা প্রকাশনীর মাহমুদুল হাসান তুষার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেলায় স্টল পেয়েছেন যারা
এবারের ইসলামী বইমেলায় অংশ নিয়েছে দেশের মূল ধারার ৮৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। যথা-আধুনিক প্রকাশনী, দারুল হিকমাহ পাবলিকেশান্স, বিন্দু প্রকাশ, মাকতাবাতুল ফুরকান, কানন, সীরাত পাবলিকেশন, বুকমার্ক পাবলিকেশন, কালান্তর প্রকাশনী, হুদহুদ প্রকাশন, প্রত্যাশা প্রকাশন, মাকতাবাতুল খিদমাহ, পুনরায় প্রকাশন, আরিশ প্রকাশন, মক্তব প্রকাশন, তারুণ্য প্রকাশন, রাইয়ান প্রকাশন, বইঘর, ইলহাম, আহসান, মক্কা, নাশাত পাবলিকেশন, প্রচ্ছদ প্রকাশন, মাকতাবাতুল হুদা, মাকতাবাতুল আশরাফ, মাকতাবাতুল আযহার, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন, মিরর পাবলিকেশন, পথিক প্রকাশন, সাবিল পাবলিকেশন, প্রয়াস প্রকাশন, মুহাম্মদ পাবলিকেশন, ইসলামীয়া কুতুবখানা, পেনফিল্ড পাবলিকেশন, দাওয়া পাবলিকেশন, মাদানী কুতুবখানা, সত্যায়ন প্রকাশন, ইলমহাউস পাবলিকেশন, মাকতাবাতুল বায়ান, ইসলাম হাউস, দারুল ইলম, রাহনুমা প্রকাশনী, রংধনু পাবলিকেশন, রুহামা পাবলিকেশন, মাকতাবাতুত ত্বহা, মাকতাবাতুল হেরা, আলোকিত প্রকাশনী, নবপ্রকাশ, সোজলার পাবলিকেশন, শিশুকানন, ফিউচার উম্মাহ, ফাউন্টেশন পাবলিকেশন, ইলান নুর, বইপল্লী, তালবিয়া, মাকতাবাতুল হাসান, স্বরবর্ণ প্রকাশন, সন্দীপন প্রকাশন, আতফাল, হসন্ত প্রকাশন, আইসিএস, ওয়াফি পাবলিকেশন, ফুলদানী, দারুল আরকাম, ওয়াহিদিয়া, উমেদ প্রকাশ, আর রিহাব পাবলিকেশন, পড় প্রকাশ, সাবাহ পাবলিকেশন, হাসানাহ পাবলিকেশন, মাকতাবাতুস সালাফ, সিয়ান পাবলিকেশন, টুনটুন বুকস, মাকতাবাতুন নূর, আশরাফিয়া বুক হাউস, ইত্তিহাদ পাবলিকেশন, সমকালীন প্রকাশন, লিটল উম্মাহ, চেতনা প্রকাশন, ইসলামীক ল রিসার্চ, মাকতাবাতুল আসলাফ ইত্যাদি। এবারের মেলায় বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেট এবং দক্ষিণ গেট মিলে মোট ১৫১টি স্টল অংশ নিয়েছে।
মেলায় বিশেষ ছাড়
বইমেলায় পাঠক তার পছন্দের বই কিনতে পারবেন বিশেষ ছাড়কৃত মূল্যে। একাধিক প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর যেসব বইয়ে ২০-২৫% ছাড় থাকে এবার মেলা উপলক্ষে তারা দিচ্ছেন ৩৫-৪০% বা আরও বেশি ছাড়, সঙ্গে নির্ধারিত মূল্যের বইতেও পাওয়া যাবে ১০% ডিসকাউন্ট। আর প্রতি শুক্রবারে অধিকাংশ প্রকাশনীতে থাকবে বিশেষ অফার। অনেক প্রকাশনী নির্ধারিত মূল্যের বই কিনলে দেবেন বিশেষ গিফট। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বইয়ে দেওয়া হবে ৩৫ শতাংশ কমিশন।
মেলার সময় বাড়ানোর দাবি
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলা চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে যেহেতু শীত সমাগত এবং প্রচারণা কমÑ তাই প্রকাশকরা মেলা আরো কিছুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিবর্তিত বাংলাদেশে এবারের ইসলামী বইমেলা হয়ে উঠেছে গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার সার্থক রূপ। লেখক-প্রকাশকরা আশা করছেন, আগামীতে ইসলামী বইমেলা আরো বর্ণাঢ্য কলেবরে সজ্জিত হয়ে সবার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।