পাকিস্তানের সাথে হেরে বাংলাদেশকে টার্গেট করছে ভারত
২২ মে ২০২৫ ১৬:৫৭
॥ এফ শাহজাহান ॥
পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুসের’ দাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ দুমড়েমুচড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে গিয়ে বাংলাদেশের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ভারত। তারপর থেকেই বাংলাদেশের প্রতি চরম বৈরিতা শুরু করে দেয় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। পাকিস্তানের তাড়া খেয়ে লেজগুটানো ভারত এখন গায়ে পড়ে নানা দিক দিয়ে বাংলাদেশকে উত্ত্যক্ত করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে শোচনীয় পরাজয়ের ঝাল ঝাড়তে ভারতের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। তাই বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে একযোগে উসকানি দিচ্ছে ভারতের বিজেপি সরকার ও ‘মোদি মিডিয়া’।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতা হারানো ‘ভারত সমর্থিত হাসিনা’ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নিকটতম এবং চরম শত্রু প্রতিবেশী এ দেশটি।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, জোর করে ভারতীয় বাংলাভাষীদের ধরে ধরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা এবং সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের টিএসসিতে স্থাপিত ‘সালতানা-ই-বাঙ্গালার’ মানচিত্রের প্রসঙ্গ তুলে বার বার বাংলাদেশকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। নির্দিষ্ট কিছু বাংলাদেশি পণ্য ভারতের বাজারে আর ঢুকতে পারবে না বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের যেসব পণ্য ভারতে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, গত ১৭ মে শনিবার সেই তালিকাও প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারতে নিষিদ্ধের তালিকায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য অন্যতম।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) জানিয়েছে, বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ভারতে আমদানি করা যাবে না।
ডিজিএফটি জানিয়েছে, বাংলাদেশি কিছু পণ্য যেমন রেডিমেড পোশাক, খাদ্যসামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ভারতীয় বন্দরগুলো দিয়ে আর এ জাতীয় পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।
ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি দিয়ে তৈরি জিনিস, রঞ্জকের মতো পণ্য প্রতিবেশী দেশ থেকে অসম, মিজোরাম, মেঘালয় কিংবা ত্রিপুরার কোনো শুল্ককেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
গত মাসেই তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। অর্থাৎ ভারতের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রফতানি করতে পারছে না বাংলাদেশ।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভারত জোর করে তাদের দেশের লোকজনকে বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে পাঠানো শুরু হয়েছে। যখনই হাসিনাকে ক্ষমতাছাড়া করা হয়েছে, ভারত তখনই ‘পুশইন অস্ত্র’ প্রয়োগ শুরু করে বাংলাদেশকে উসকানি দিতে শুরু করে।
ভারতের এ ‘পুশইন টেকনিক আজ নতুন নয়। ‘পুশইন’ ভারতের নতুন কোনো নীতিও নয়। বরং এটি ভারতের একটি পুরনো অভ্যাস। বাংলাদেশে যতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিল, ততদিন ভারত পুশইনের অস্ত্র প্রয়োগ করেনি।
বাংলাদেশে যখন আওয়ামী লীগবিরোধী চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল সেই ২০০২-২০০৩ সালে ভারতের পুশইনের ভয়াবহতা রীতিমতো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিলো। সেই সময় নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি ভারতের এ জঘন্য চালের কাছে।
হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে ভারত একবারও ‘পুশইন অস্ত্র’ প্রয়োগ করেনি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সেই হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ৮ মাস না পেরোতেই ভারত আবার সেই পুরনো খেলা শুরু করেছে। বাংলাভাষী ভারতীয় মুসলমানদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে জোর করে ঠেলে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। এভাবে কৌশলে বাংলাদেশকে উসকানি দিচ্ছে ভারত।
গুজরাট, আসাম বা বেঙ্গালুরুতে যাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে আটকানো হচ্ছে, তারা অনেকেই ভারতের মুসলিম নাগরিক। আধার কার্ড বা ভোটার তালিকা সত্ত্বেও তারা হয়ে পড়ছে উদ্বাস্তু, যাদের গন্তব্য বানানো হচ্ছে ত্রিপুরা সীমান্ত। বিবিসি বাংলার তথ্যে, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে আনা এসব মানুষকে বিমানে করে এনে সীমান্তে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। নাগরিকত্ব যাচাই নয়, বরং ধর্মীয় প্রোফাইলিংই হচ্ছে নতুন পরিচয়পত্র।
অথচ কাশ্মীরের পেহেলগাঁওকাণ্ডে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে নীরবে ‘পুশইন’ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত কয়েকদিনে প্রায় ৪৫০ জন মানুষকে বাংলাদেশের সীমানায় ঠেলে দিয়েছে দেশটি।
পুশইনের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। এটি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে ৯ মে এ চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে এখনো ভারতের উল্লেখযোগ্য কোনো সাড়া পায়নি বাংলাদেশ।
ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে লোকজনকে ঠেলে পাঠানোর এ ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ভারতের মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, আদালতের রায় ছাড়া কাউকে ঠেলে পাঠানো বেআইনি।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ধরনের চাপ তৈরি করতেই হঠাৎ করে ভারত পুশইন শুরু করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটা এক ধরনের উসকানি।
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বিএসএফ যাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে, তাদের নির্যাতন এবং রীতিমতো ভয়ভীতি দেখিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। যাদেরকে পুশইন করা হয়েছে, তাদের অনেকেই নির্যাতনের অভিযোগ করছেন। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
ভারতের সংগঠন বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সম্পাদক কিরীটি রায় বলেন, যদি কোনো নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করে, তাহলে তাঁকে আইনিভাবে চিহ্নিত করতে হবে। এখানে ফরেনার্স অ্যাক্ট রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে অবৈধ বিদেশি নাগরিক শনাক্ত হওয়ার আগে তাঁকে জোর করে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে- এটি বেআইনি।
তিনি উল্লেখ করেন, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ধরা হচ্ছে। এরপর কাউকে আবার বিমানে উড়িয়ে সীমান্তে নিয়ে ওপারে ঠেলে পাঠানো হয়। এভাবেই আদালতের কাজ এখন পুলিশ করছে। পুলিশ ও প্রসিকিউশন একই হলে কীভাবে চলবে?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, যাদেরকে পুশইন করা হচ্ছে, তারা যদি ভারতে অবৈধভাবেও বসবাস করে, তাহলেও আইনি কাঠামোয় তাদের পুশইন করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কাউকে আটক করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নিয়ম আছে। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া বসবাস করলে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয়। যদি ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার সাজা হবে। সাজা শেষে যে দেশ থেকে এসেছেন, সেই দেশে তাকে ফেরত পাঠানোর নিয়ম। সীমান্তে এক ধরনের চাপ তৈরি করতে হঠাৎ পুশইন। অশুভ উদ্দেশ্যে এটি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রতিবাদের মুখে তাদের মিজোরামে জড়ো করে সেখান থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং পুশইন চালানোর সঙ্গে সঙ্গে সালতানাত-ই-বাঙ্গালাহ নামে নতুন আরেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ভারতের কূটচালে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটি সংগঠন “সালতানাত-ই-বাঙ্গালাহ”-এর মানচিত্র স্থাপন করে এ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারত বলছে, বাংলাদেশের মৌলবাদীরা এটি স্থাপন করে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের দখলে নেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
বাংলার এ মানচিত্র অখণ্ড পরিচিতি প্রথম চিহ্নিত হয় শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক মুনশী রহমান আলী তায়েশ তার ‘তাওয়ারিখে ঢাকা’ গ্রন্থে ইলিয়াস শাহকে বাংলার প্রথম সার্বভৌম ও স্বাধীন শাসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার সময়কার খচিত মুদ্রায় লেখা থাকত দ্বিতীয় আলেকজান্ডার।
মার্কিন ঐতিহাসিক রিচার্ড ইটনের লেখা ‘দ্য রাইজ অব ইসলাম অ্যান্ড দ্য বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, ১২০৪-১৭৬০’ গ্রন্থের দাবি, আধুনিক বিহার, নেপাল, ওড়িশা ও আসাম অব্দি বিস্তৃত ছিল শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের ‘সালতানাত-ই-বাঙ্গালা’ ।
ইলিয়াস শাহই প্রথম সাতগাঁও, লক্ষেèৗতি ও সোনারগাঁও অধিকার করে স্বাধীন সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। সালতানাতের নাম ‘বাঙ্গালাহ’ এবং অধিবাসীরা সম্বোধিত হয় ‘বাঙালি’ নামে।
‘সালতানাত-ই-বাঙ্গালাহ’ ছিল মধ্যযুগীয় ভারতের একটি স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ মুসলিম শাসনব্যবস্থা, যার শাসনকালের স্থায়িত্ব ছিল ১৩৩৮ থেকে ১৫৩৮ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ।
এ সালতানাতের সূচনা ঘটে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের হাতে, যিনি ১৩৪২ খ্রিস্টাব্দে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং একক নেতৃত্বে বাংলা অঞ্চলকে একত্রিত করেন। তার হাত ধরেই শুরু হয় ইলিয়াস শাহী বংশের শাসন।
টিএসসি মোড়ে এ মানচিত্র স্থাপনকারী জানাচ্ছেন, ইতিহাসের কণ্ঠস্বরকে তরুণ প্রজন্মের সামনে ফের প্রতিষ্ঠা করার এক নবজাগরণ সৃষ্টির জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে আমরা বুঝতে পারি, বাংলা কোনো প্রান্তিক জনপদ নয়, বরং ছিল এক শক্তিশালী ও স্বাধীন সালতানাত।
এটি তরুণদের ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন প্রদর্শন ইতিহাসপিপাসুদের মনোযোগ কেড়ে নেবে বলেও দাবি করছেন এ সালতানাত-ই-বাঙ্গালার মানচিত্র স্থাপনকারীরা। কিন্তু ভারত এটাকে তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
ভারত এ সালতানাত-ই-বাঙ্গালার মানচিত্র স্থাপনকারীদের সঙ্গে ড. ইউনূসের যোগসূত্র স্থাপন করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার ছড়াচ্ছে।
ভারতের মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে যে, ভারতের ভূখণ্ড দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেসবে সালতানাত-ই-বাঙ্গালার মানচিত্র স্থাপনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. ইউনূসের ছোট মেয়ে দিনা আফরোজ।
এ বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ঐসব ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’এর এজেন্টদের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র বাংলা সংস্করণ ‘আজতক বাংলা লাইভ’ গত ১৭ মে শনিবারে বাংলাদেশের শাহিদুল হক নামে এক সাংবাদিকের বাংলাদেশবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে এক ঘোর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। অতীতের ঘনিষ্ঠতা আজ আস্থাহীনতায় পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের অস্থির প্রতিক্রিয়া, অভিবাসন ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা- এসব মিলিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ভিত বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। আর সেজন্য একতরফাভাবে শুধু ভারতই দায়ী। কেননা ভারত একের পর এক বাংলাদেশকে লক্ষ করে বৈরিতা প্রদর্শন করছে।
লেখক : সাংবাদিক, নির্বাহী পরিচালক, স্কুল অব জার্নালিজম।