স্বৈরাচার পালিয়েছে, প্রেতাত্মা রেখে গেছে, শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১০
৫৪তম বিজয় দিবস চলে গেল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পূর্ণতা পেল ২০২৪ সালে। এবার মানুষ স্বস্তির সাথে বিজয় দিবস পালন করেছে। আমরাও সকালে নাতির স্কুলে পিঠা উৎসব, দুপুরে বাদশাহ ফয়সালে বিজয় দিবসের খাওয়ার দাওয়াত, বিকালে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পিঠা উৎসব আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কলেজের ক্রিকেট মাঠে প্রিন্সিপালের উদ্বোধন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমিও প্রায় ৫০ বছর পর কলেজ মাঠে গিয়ে কলেজ জীবনের স্মৃতি আবার স্মরণ করলাম। ১৯৬৯ সালে এ কলেজে ভর্তি হওয়ার আমার সুযোগ হয়েছিল। প্রিন্সিপাল ছিলেন জালাল আহমদ সাহেব। অত্যন্ত দৃঢ়চিত্ত প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দক্ষ আমাদের কলেজকে মানসম্পন্নভাবে চালিয়ে গেছেন।
এবারের বিজয় দিবসে জামায়াতে ইসলামীর পল্টনে আমীরে জামায়াতের নেতৃত্বে রাজধানীর পল্টন থেকে শুরু বিজয় মিছিল দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ছাত্রশিবিরের মিছিলও বাংলাদেশকে জানান দিলÑ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ছাত্ররা সৎ, যোগ্য নাগরিক উপহার দিতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।
স্বৈরশাসক হাসিনা তার কর্মফলের কারণে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের কাছে হার মেনে সেনাপ্রধানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রিয় মোদির দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যায় হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুরে। ছাত্র-জনতা খবর পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দেশের আপামর জনতা শহর-বন্দরে, মাঠে-ঘাটে, রাজধানীসহ গোটা দেশে ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে বিক্ষোভে মাঠে নেমে পড়েছিল। দেশের গণভবন, এমপি-মন্ত্রীর বাড়িঘর জনতার ক্ষোভে ভাঙচুর করে সব নিয়ে যায় ছাত্র-জনতা। এভাবেই স্বৈরশাসক হাসিনার লজ্জাজনক পরাজয় ঘটে। শুধু তাই নয়, হাসিনা তার বাপের চৌদ্দগোষ্ঠীর অর্জনও ধূলিসাৎ করে যায়। আগামী দিনে তাদের বংশের নাম নেয়ার লোক পাওয়া যাবে না, হাসিনার দুঃশাসনের কারণে। খুন, গুম, হত্যা, জেল-জুলুম, আয়নাঘরের নির্যাতন মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। আজকে সবই বেরিয়ে আসছে সব কৃতকর্মের ঘটনাসমূহের। ইতোমধ্যে হাসিনা পরিবারের ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ পেয়েছে। দুদক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে।
আয়নাঘরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সবই সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ নির্যাতনের ঘটনা-কায়কারবার দেখার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসন, স্থানীয় সরকারে বসে আছে। অনতিবিলম্বে তাদের অপসারণ আগস্ট বিপ্লবের কাক্সিক্ষত দাবি। তাদের এখনই অপসরণ না করলে তারা যেকোনো সময় দেশের ক্ষতির কারণ হতে পারে। যারা সুযোগ পেয়েছে, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কেউবা অপেক্ষা করছে। আবার ঘাপটি মেরে বসে থেকে সুযোগের সন্ধান করছে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে থেকেও হাঁকডাক মারছে দেশে ঢোকার জন্য। এসবই অলীক কল্পনা। দেশে আসা তো দূরে থাক, সে মারা গেলে এ স্বাধীন দেশে তার কবর হওয়ার সম্ভাবনাও কম। অতীতের অনেক স্বৈরশাসকের এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল নয়।
দেশের প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই সাধারণ নির্বাচনের সময়ক্ষণ ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও ওই নির্বাচনের অনেক বাধা পেরোতে হবে। সবচেয়ে বড় বাধা সঠিক ভোটার লিস্ট করা। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছেÑ এটাকেই ভোটার কার্ড হিসেবে বিবেচিত করতে হবে। যাদের এনআইডি নেই, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জালভোট ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত জরুরি। জালভোট ঠেকাতেই হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। কোনোভাবেই জালভোটের কোনো দরজা খোলা রাখা যাবে না।
যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মনমানসিকতাও সৎ হওয়া দরকার হবে। সৎ, যোগ্য অফিসার না হলে সুষ্ঠু-ভালো নির্বাচন করা যাবে না। আগেই বলেছি, হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনো বসে আছে ভালো ভোট যাতে না হয়, ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তারা পরপর ৩টি নির্বাচন ভুয়াভাবে করেছে। দিনের ভোট রাতে করেছে। বিনাভোটে ১৫৪ জন এমপি নির্বাচিত করেছে। ডামি নির্বাচন করেছে। আমরা এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা সৎ, যোগ্য, জনদরদি প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চায়। আমাদের সার্বিকভাবে ছাত্র-জনতার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তদান বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। এখনো অনেক আহত হাসপাতাল ও বাড়িতে কাতরাচ্ছে। এর মূল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে। কারও চোখ নেই, হাত নেই, পা নেই, ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাদের চোখে আলো দিতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে, সৎ লোক, জনদরদি মানুষকে এমপি-মন্ত্রী বানিয়ে। দেশের শাসনক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। বৈষম্যমূলক আচরণ দেশের আনাচে-কানাচে বিদ্যমান তার অবসান ঘটাতে হবে। সৎ লোকের শাসন কায়েম করতে পারলেই ছাত্র-জনতার দাবি পূরণ সম্ভব।
আমরা দেখেছি, জোট সরকারের দুজন মন্ত্রী শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী থাকাকালে তাদের দুর্নীতিমুক্ত দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা। তাই দুজন ৫ বছর ৩ মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন সততার সাথে, যোগ্যতার সাথে, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে। তাদের ফাঁসি দিয়েছে এ হাসিনা স্বৈরাচার। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কাজের কোনো দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি, অসততা প্রমাণ করতে পারেনি।
মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের আখিরাতে সর্বোচ্চ প্রতিদান দেবেন এবং আমাদের এবং বর্তমানের আগস্ট বিপ্লবের শহীদ আহতদের তাদের সাথে জান্নাতে মিলিত হওয়ার তাওফিক দান করুন।
স্বৈরাচার হাসিনা যে তার প্রেতাত্মাদের রেখে গেছেন, তার প্রমাণ বিপ্লবের পর ৭ দিনের মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। আগের চাঁদাবাজি, দখলবাজি, পূর্বের মতোই বহাল হয়েছে। শুধুমাত্র হাতবদল হয়েছে। প্রেতাত্মারা হাত বদলে সাহায্য-সহযোগিতা করছে। নতুন চাঁদাবাজ, দখলবাজরা আগের লোকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে। পালাতে সাহায্য-সহযোগিতা করছে। জনগণ হতাশায় ভুগছে। কার জন্য শহীদ হলো শত শত ছেলেমেয়ে। কার জন্য আহত হলো হাজার হাজার লোক। আমরা এর প্রতিকার চাই।
স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা ও বর্তমানে তাদের সহযোগীদের মূলোৎপাটন করা এখনই জরুরি। ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে গ্রাম থেকে শহর, বন্দর, রাজধানী সব জায়গায় চাঁদাবাজি-দখলবাজির বিরুদ্ধে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে সব জায়গায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মতো নতুনভাবে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে সব চাঁদাবাজ-দখলবাজ জনগণের শত্রু, সবাইকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাদের স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বৈষম্যমূলক সব কাজের মূলোৎপাটন করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবেÑ যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ জনগণকে কষ্ট দিতে না পারে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি আর কেউ যাতে করতে না পারে। মানুষ ডাক দিলেই ভালো লোকেরা, সমাজের সৎ লোকেরা ডাকের অপেক্ষায় আছে। আমরা যদি সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু লোকদের এমপি, স্থানীয় প্রশাসনের লোক নির্বাচন করাতে পারি, তবে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে।
জনগণ গত ৫৩ বছরের সব দলের শাসন দেখেছে। তারা এখন সৎ, যোগ্য লোককে নেতা দেখতে চায়। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন কতগুণ বেড়েছে, তার প্রমাণ জামায়াতের আমীরের গোটা দেশের জনসভাগুলো দেখলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বাঁধ ভেঙে জনতার ঢল নামছে প্রতিটি জনসভায়। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিলে লাখো জনতা জামায়াত ও শিবিরের মিছিলে যোগ দিয়ে জানান দিয়েছেÑ তারা সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন চায়। জনতার ঐক্যে ইতোমধ্যেই প্রমাণ হয়েছেÑ এরাই ভালোভাবে সততার সাথে দেশ চালাতে পারবে। সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে। কারো রক্তচক্ষুর কাছে মাথানত করবে না। কোনো দেশবিরোধী কাজের প্রশ্রয় দেবে না।
দেশের মানুষ খেয়ে পরে চিকিৎসা নিয়ে শান্তির সাথে বসবাস করতে পারবে জামায়াতের লোকেরা ক্ষমতায় এলে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণ অপেক্ষায় আছে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ নেতাদের প্রত্যাখ্যান করার জন্য। আমরা দেশের সচেতন মানুষ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে আগস্ট দিনের আদর্শ রাষ্ট্র কায়েমের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করে যাব। মহান আল্লাহ ৫ আগস্ট বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। তিনিই আমাদের দেশটাকে সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার সব সহযোগিতা করবেন। আমাদের শুধু মাঠে-ময়দানে সক্রিয় থাকতে হবে। বরকত দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা।
নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে কিছু দল তড়িঘড়ি করছে। কারণ তাদের লোকেরা ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে পূর্বের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতির বেড়াজালের অন্তর্ভুক্ত হয়ে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। তাদের ভোট বাড়ার চেয়ে ভোট কমতে শুরু করেছে। উপরের দু-একজন নেতা এ চাঁদাবাজ, দখলবাজ বন্ধ করতে বললেও তারা শুনছে না। তাদের বহিষ্কার করা হলেও তাদের কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ নেতার অবসান চাই। আমরা যেমন বলি হাসিনার বাপের দেশ নয়, অন্যদিকে বাংলাদেশ আবার কোনো চাঁদাবাজদের হাতে ছাত্র-জনতা দিতে নারাজ।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সংস্কার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের কাছে সংস্কারের প্রস্তাব জমা পড়ছে। অন্যগুলোও জমা হবে। সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা সজ্জন বলে মানুষের ধারণা আছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, সব সংস্কারের প্রস্তাব নিয়েই সামনে এগোতে হবে। বিশেষ করে পুলিশ বিভাগের সংস্কার, আইন বিভাগের সংস্কার, নির্বাচন বিভাগের সংস্কার, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক ব্যবস্থার সংস্কার, বিদেশে টাকা পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা এসবই নির্বাচনের পূর্বেই শুরু করতে হবে। রাজনৈতিক সরকার যেমন আমাদের জরুরি, সাথে সাথে দীর্ঘ ৫৩ বছরের আগাছার মূলোৎপাটনও জরুরি। দেশের জন্য যা ভালো সবই আমাদের করতে হবে।
ইদানীং তদবির পার্টির ছড়াছড়ি। টাকা দিয়ে হোক, ফলফলাদি দিয়ে হোক আর পরিচিতির কারণে হোক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাক্ষাৎ এবং টেলিফোন চলছেই। ভালো কাজে তদবির করা ভালো। অন্যায় কাজে তদবির করা মোটেই ভালো নয়। যার জন্য তদবির করবেন তার সাথে আপনার ভালো পরিচয় থাকতে হবে অথবা যার জন্য তদবির করবেন তার সম্পর্কে পূর্বে আপনার জানা জরুরি। কারণ যিনি আপনাকে তদবির করার কথা বলছেন, তিনি আপনার কাছে পরিচিত হলেও যার জন্য তদবির করবে সেই কাজে সে উপযুক্ত নাও হতে পারে আমার এ ব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে বলেই কথাটা এখানে আনলাম।
হাইকোর্ট থেকে ইতোমধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। সিইসি জানিয়েছেন, ভোট ব্যালটেই হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের বাংলাদেশের সীমানায় জন্ম দিয়েছেন। তাই এদেশের মাটি ও মানুষের উপযোগী কথা ও কাজ আমাদের করতে হবে। কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। সরকারের উচ্চপদ থেকে পিয়ন পর্যন্ত এবং দেশের রিকশাওয়ালা-ফেরিওয়ালা, ইমাম, মুসল্লি থেকে শুরু করে আমরা সবার কল্যাণ চাই। ভালো চাই। মহান আল্লাহর সাহায্য চাই।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।