সিএনসি’র আয়োজনে বহুভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী পালিত

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভিত রচনায় বহু ভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র অবদান অসামান্য পথিকৃৎতর। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে যে বিচিত্র কাজ করেছেন তার কোনো দ্বিতীয় তুলনা হয় না। মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম সৈনিক হিসেবে বাংলা ভাষার পক্ষে তাঁর অবস্থান যতদিন বাংলাভাষা থাকবে ততদিন স্বর্ণাক্ষরে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। বাঙলা ব্যাকারণ ও অভিধান রচনা, বাংলা সন এর এক অমর কৃর্তি। বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ তাঁর এক অমর কৃর্তি। শুধু বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে নয় এমন একজন বিরল প্রতিভার উপমা পৃথিবীর দ্বিতীয়জন খুঁজে পাওয়া যাবে না।

গত ১৬ জুলাই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাতনী গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে একক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন বিমিষ্ট লেখক অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদ। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সিএনসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক। তিনি বলেন, মনীষী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর কর্মময়  জীবনের একটি জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ভাষা নির্মাণে সামাজিক শৃঙ্খলা বিনির্মাণে নিরলস সাধনা করে গেছেন। আজ আমরা সকলেই তার সুমিষ্ট ফল ভোগ করছি। অথচ জাতি ও সরকার তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারিনি। বড় অবহেলার মধ্য দিয়ে তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী চলে যায়। কোথাও কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী তার দাদুর কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্মৃতিময় এক আবেগঘন বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আজ কি হয়েছে জানি না, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর সম্পর্ক কোন আয়োজন প্রত্যক্ষ করি না। তিনি আরো বচলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর অবদান আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে না ধরলে তার সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যাবে যা অকল্যাণ বয়ে আনবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সিরাজউদ্দীন, বিশিস্ট গবেষক শাহ আব্দুল হালিম, বিশিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংগঠক মোহাম্মদ আবদুল  হান্নান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।