সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ আড়াল করতে নতুন ‘চমক’! ** ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা থাকবে না : নাজির আহমদ ** আওয়ামী বলয়ে অদৃশ্যমান তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ** বিচারের নামে জামায়াত নেতাদের সাথে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে ** খোশ আমদেদ মাহে রমজান ** তরুণ প্রজন্মের সুযোগ হয়েছে আওয়ামী লীগকে চেনার ** সৈয়দ আলী আহসান : চেনা কন্ঠস্বরÑঅচেনা জ্যোতিষ্ক ** ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে দেশকে বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে ** ইলিশের দেখা নেই ** দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১২, ৫ শ্রাবণ ১৪১৯, ২৯ শাবান ১৪৩

সোনার বাংলা রিপোর্ট : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম সাী হামিদুল হক নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি মুজিব বাহিনীর সদস্য।  মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম নেই।

তিনি জেরাতে আরো জানান, ১৯৯২ সাল থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকলেও গণআদালত কিংবা গণকমিশন ছাড়াও এর আগে কোথাও তিনি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। এমনকি এই মামলার আসামী কামারুজ্জামান ৭১ সালে কোথায় অবস্থান করেছেন তাও তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি। ইতঃপুর্বে যুদ্ধকালে ময়মনসিংহে আল বদর বাহিনীর নানা তৎপরতার বিষয়ে বিস্তর জবানবন্দী দিলেও ঐ সময়ে  ময়মনসিংহে কে এই  আল বদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন সে বিষয়টিও তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানাতে পারেননি।

গত ১৬ জুলাই  সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ২ এ তিনি প্রথম সাী হিসেবে  দ্বিতীয় দিনের মতো স্যা দিয়েছেন হামিদুল হক।  গতকালও তাকে জেরা করেন ডিফেন্স পরে আইনজীবী এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ২ এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবির এবং অপর দুই সদস্য ওবাইদুল হাসান ও শাহিনুর ইসলাম সাীর  জেরা গ্রহণ করেন।  গত রোববার সাী হামিদুল হক তার জবানবন্দীতে বৃহত্তর ময়মনসিংহে আল বদর বাহিনীর সদস্য হিসেবে  কামারুজ্জামানসহ যাদেরকে তিনি চিহ্নিত করেছেন তার স্বপে তিনি কোনো তথ্য প্রমাণ দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া  এই সাী নিজে ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকায়  স্থায়ীভাবে থাকলেও ৯২ সালে গঠিত গণআদালত কিংবা ৯৪ সালের গণকমিশনে তিনি কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। এমনকি ৭১ সালের পরে তিনি নিজে কামারুজ্জামান বা অন্য কারো বিরুদ্ধেও কোনো মামলা দায়ের করেননি।

প্রশ্ন : আপনি তো এলজিআরডি’র প্রথম শ্রেণীর তালিকাভুক্ত ঠিকাদার?

উত্তর : না। আমি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার নই।

প্রশ্ন : ডা. সিরাজউদ্দিনের ঢাকায় বাসা কোথায়?

উত্তর : বাসা কোথায় জানি না। গত ২ বছর আগে আমার সাথে তার দেখা হয়েছিল।

প্রশ্ন : গুল্ফিবাড়ির টুনুর পিতার নাম কি?

উত্তর : টুনুর পিতার নাম জানি না। গুল্ফিবাড়িতে  আমাকে খুঁজতে গিয়ে টুনুকে হত্যা করা হয়।

প্রশ্ন : টুনুদের বাড়িতে কখনো গিয়েছেন?

উত্তর : হ্যাঁ। গিয়েছি।

প্রশ্ন : আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর কতদিন পরে টুনুকে হত্যা করা হয়।

উত্তর : সম্ভবত কয়েকদিন পরে তাকে হত্যা করা হয়।

প্রশ্ন : টুনুর মৃত্যু দিবস কবে?

উত্তর : এই মুহূর্তে মনে নেই। তবে আমি তার পরিবারের কাছ থেকে জেনেছিলাম সম্ভবত জুলাই মাসেই হবে।

প্রশ্ন : টেপা মিয়ার ছেলে দারা কবে মারা যায়?

উত্তর : তারিখ ও মাস মনে নেই।

প্রশ্ন : আপনি ডাকবাংলোয় বন্দী থাকা অবস্থায় কি দারাকে হত্যা করা হয়?

উত্তর : এটাও মনে নেই।

প্রশ্ন : স্বাধীনতার পরে কী আপনি দারাদের বাড়িতে গিয়েছেন?

উত্তর : হ্যাঁ গিয়েছি।

প্রশ্ন : আপনি তো ৬ দফার পে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। সেগুলো কি ছিল?

উত্তর : হ্যাঁ ৬ দফার পে আমি বক্তব্য দিয়েছি। এগুলো আমি জানি।

প্রশ্ন : ঐ ৬ দফাতে পাকিস্তানকে বিভক্তির কোনো কথা কী ছিল?

উত্তর : না। বিভক্তির কথা ছিল না।

প্রশ্ন : ৬ দফার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের কথা বলেছেন। বিভক্তির কোনো কথা নেই। এটা কী সত্য?

উত্তর : না, সত্য নয়।

প্রশ্ন : যুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত বিএনএফ বা মুজিব বাহিনী তৎকালীন অস্থায়ী সরকার বা মুক্তি বাহিনী কর্তৃক স্বীকৃত ছিল না।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা সীমান্ত এলাকায় ঐ মুজিব বাহিনীর কোনো ক্যাম্প ছিল না।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : এই মুজিব বাহিনী যুদ্ধের জন্য গঠন করা হয়নি। এটা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা র' এর অর্থায়নে পরিচালিত হতো।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : এই সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে  বামঘেঁষা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে এবং অস্ত্র কেড়ে নেয়।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : আপনাদের এই সংস্থার সদস্যরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে হত্যার চেষ্টা করে।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : মুজিব বাহিনীর সদস্যরা অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : অবস্থাটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করতে বাধ্য হয়।

উত্তর : ইহা সত্য নয়।

প্রশ্ন : আপনি কী মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান একে খন্দকার সাহেবকে চিনেন?

উত্তর : হ্যাঁ, চিনি।

প্রশ্ন : যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সহকারী মইদুল হাসানকে চিনেন?

উত্তর : তাকে আমি নামে চিনি।

প্রশ্ন : মইদুল হাসান একটি বই লিখেছেন। নাম ‘মূলধারা একাত্তর' জানেন এটা?

উত্তর : আমি শুনেছি।

প্রশ্ন : যুদ্ধকালে যুবশিবির নামের একটি সংগঠনের মহাপরিচালক ছিলেন এসআর মির্জা।

উত্তর : যুব শিবির ছিল তবে মহাপরিচালক কে ছিলেন জানি না। তবে কেউ ছিল কিনা  তাও শুনিনি।

প্রশ্ন : ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন' বইটি ২০০৯ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রকাশ করেছে। এই বইটিতে একে খন্দকার, মইদুল হাসান ও এসআর মির্জার কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে মুজিব বাহিনী বিষয়ে লিখিত বক্তব্য থাকায় আপনি বইটি পড়েও না পড়ার কথা বলেছেন?

উত্তর : ইহা সত্য নয়।

প্রশ্ন : ’৭১ সালে কামারুজ্জামান কোন বর্ষের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর : আমি জানি না।

প্রশ্ন : ব্রিগেডিয়ার কাদের খাঁনের অধীনে অন্য কোন সেনা কর্মকর্তার নাম জানেন কী?

উত্তর : জানি না।

প্রশ্ন : আপনি শহরে রেকি করতে এসে সেনাবাহিনীর কোন কোন রেজিমেন্ট ছিল তা কি জেনেছিলেন?

উত্তর : আমরা শুধু অবস্থান জেনেছি। কোন কোন রেজিমেন্ট ছিল তা জানি না।

প্রশ্ন : রফিক হাসনাতের বাসায় কখন এসেছেন?

উত্তর : দুপুরের খাবারের পর ২টার দিকে।

প্রশ্ন : কবে সেখানে এসেছেন?

উত্তর : ধরা পড়ার দু’দিন আগে।

প্রশ্ন : আপনারা কী রাস্তায় বেরিয়েছেন?

উত্তর : ছদ্মবেশে রাস্তায় বেরিয়েছি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না।

প্রশ্ন : তাহেরের বাড়ি কোথায় ছিল?

উত্তর : ত্রিশাল থানার কাঁঠাল গ্রামে।

প্রশ্ন : তাহের কী যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন।

উত্তর : তাহের দেশের ভেতরে ছিল ট্রেনিং নিয়েছেন দেশেই।

প্রশ্ন : আপনার বা তাহেরের নাম কী মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় ছিল?

উত্তর : আমার নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নেই। তবে মুজিব বাহিনীতে নাম আছে। তাহেরের বিষয়ে আমি জানি না।

প্রশ্ন : তারেক মোহন কোন বর্ষের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর : জানি না।

প্রশ্ন : তারেক মোহন ও সারোয়ার কাদের বাসায় ছিল?

উত্তর : ভাড়া বাসায় ছিল তবে বাড়ির মালিকের নাম জানতাম না।

প্রশ্ন : তাদের নাম কিভাবে জানতেন?

উত্তর : আমি পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের নাম জানি।

প্রশ্ন : যুদ্ধের পর তারেক মোহন ও সারোয়ারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেছেন?

উত্তর : না। তবে মামলা অন্যরা করেছিল?

প্রশ্ন : তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলার কাগজপত্র দেখাতে পারবেন?

উত্তর : না। কোন কাগজ আমার কাছে নেই।

প্রশ্ন : তাদের মামলার বিষয়ে আপনি অসত্য কথা বলছেন।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : তারেক মোহন ও সারোয়ার ছাত্রসংঘ করতো বা আলবদর ছিল এ বিষয়ে প্রমাণের কোনো কাগজপত্র বা তথ্য কি আছে?

উত্তর : না আমার কাছে কোন কাগজপত্র নেই।

প্রশ্ন : কামারুজ্জামান যাদের সাথে কাজ করেছেন সেই আলতাফ মাওলানা, ফয়জুর রহমান, সুরুজ উদ্দিন তাদের বয়স তখন কত ছিল?

উত্তর : কামারুজ্জামান ছাড়া সবার বয়স ৫০ বছরের উপর। কামারুজ্জামানের বয়স ছিল ২২/২৩ বছর।

প্রশ্ন : ঐ সময়ে ময়মনসিংহের জেলা জামায়াতের আমীর কে ছিলেন?

উত্তর : জেলা আমীর বা অন্যান্য নেতার নাম আমার জানা ছিল না। শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ জেলার জামায়াতের কারো নাম জানতাম না। শুধু কিশোরগঞ্জের অধ্যাপক মাহতাবের নাম জানতাম।

প্রশ্ন : ময়মনসিংহের রাজাকারের কারো নাম জানা ছিল কি?

উত্তর : না। জানতাম না।

প্রশ্ন : বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলবদর কমান্ডার কে ছিলেন?

উত্তর : আমি জানি না। তবে পাবলিক বলতো কামারুজ্জামান ছিলেন।

প্রশ্ন : ময়মনসিংহ শহরের কমান্ডার কে ছিলেন?

উত্তর : এটাও জানি না। তবে শেরপুরে কামরান ছিল। জামালপুরে কে ছিল জানি না।

প্রশ্ন : জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর ক্যাম্পে কতজন আলবদর ছিল?

উত্তর : কখনো ২০/৩০ বা ৪০ থাকতো। তবে কমবেশি হতো।

প্রশ্ন : আপনার সাথে ক্যাম্পে আর কতজন বন্দী ছিল।

উত্তর : আর কেউ ছিল কি না জানি না। তবে আমার সাথে দবির ভূঁইয়া ছিল।

প্রশ্ন : কামারুজ্জামান কবে কোথায় কার নিকট থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন আপনি কি তা জানেন?

উত্তর : না, জানি না।

প্রশ্ন : জামায়াতের রাজনীতির নিয়মানুবর্তীতা বা শৃঙ্খলার বিষয়ে আপনার ধারণা আছে?

উত্তর : না। আমার কোনো ধারণা নেই।

প্রশ্ন : বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এককভাবে কামারুজ্জামানের কাছে দেয়া হয়েছিল?

উত্তর : না। এককভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। যতটুকু জানি ছাত্রসংঘের দায়িত্ব এককভাবে কামারুজ্জামানকে দেয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন : জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ডিঙ্গিয়ে কামারুজ্জামান অন্য দলের সাথে রাজনৈতিক বৈঠকে বসেছেন?

উত্তর  : হ্যাঁ, অপারেশন নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।

প্রশ্ন : হান্নান সাহেব, আলতাফ মাওলানা, সুরুজ উকিল তারা কি কমান্ডার ছিলেন?

উত্তর : না, কমান্ডার ছিলনা তবে তারা দলের পরিচালক ছিলেন।

প্রশ্ন : তাদের টিমে কতজন সদস্য ছিলেন?

উত্তর : বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : আশরাফ সাহেব কামারুজ্জামান সাহেবের সিনিয়র নাকি জুনিয়র?

উত্তর : এটা বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : আশরাফ সাহেবের আলবদরের পদবী কি ছিল?

উত্তর : জানি না।

প্রশ্ন : তিনি কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন?

উত্তর : শুনেছি তিনি জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র ছিলেন।

প্রশ্ন : ময়মনসিংহ থেকে ঐ কলেজের দূরেত্ব কত?

উত্তর : দূরত্ব কত বলতে পারবো না। তবে ট্রেনে যেতে সময় লাগবে দেড় বা দু’ঘণ্টা।

প্রশ্ন : শেরপুরের কামরান কামারুজ্জামান সাহেবের ছোট হবে নাকি বড়?

উত্তর : সমবয়সীই হবে। আমরাও সমসাময়িক হব। আমার জানাশুনা ছিল কামরান।

প্রশ্ন : ’৭১ সালে কামরান কোন কলেজের ছাত্র ছিল?

উত্তর : সম্ভবত শেরপুর কলেজের ছাত্র ছিল তবে কোন বর্ষের জানি না।

প্রশ্ন : কামরান ছাত্রসংঘের ও বদর বাহিনীর কোন পদে ছিলেন?

উত্তর : পদের নাম বলতে পারবো না। আলবদর বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন। তবে তার পদের নাম বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : দিদার কোন পদে ছিলেন?

উত্তর : দিদার কামারুজ্জামানের ছোট ছিলেন। তার পদের নাম জানি না।

প্রশ্ন : শেলীর পূর্ণ নাম কি?

উত্তর : এটা তার ডাক নাম। আমি তার পূর্ণ নাম বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : শেলী কোন ধর্মের?

উত্তর : ইসলাম ধর্মের।

প্রশ্ন : কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন শেলী?

উত্তর : কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন বলতে পারবো না। তবে তিনি কামারুজ্জামান সাহেবের বয়সে ছোট ছিলেন।

প্রশ্ন : আপনার বক্তব্য অনুযায়ী চিহ্নিত ও পরিচিত এইসব আলবদর নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করেছেন কি?

উত্তর : না, কামারুজ্জামানসহ অন্য কারো বিরুদ্ধেই কোন মামলা অদ্যাবধি দায়ের করি নাই।

প্রশ্ন : কতদিন থেকে ঢাকায় থাকেন?

উত্তর : আমি ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকায় থাকি।

প্রশ্ন : ’৯২ সালে ঢাকায় একটি গণআদালত গঠন করা হয়েছিল। ঐ আদালতে আপনি কোনো লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন?

উত্তর : না, কোন অভিযোগ দেইনি তবে পয়েন্ট আকারে কিছু তথ্য দিয়েছিলাম আহমেদ শরীফের জিজ্ঞাসার জবাবে।

প্রশ্ন : গণআদালতে আপনি কোনো সাী দিয়েছেন?

উত্তর : না, কোনো স্যা দেয়নি।

প্রশ্ন : আহমেদ শরীফ সাহেবের কাছে আপনি কোন তথ্য দেননি?

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : ১৯৯৪ সালে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশনে কী আপনি কোনো অভিযোগ বা বক্তব্য দিয়েছেন?

উত্তর : না, কোন অভিযোগ বা বক্তব্য দেইনি।

প্রশ্ন : ঐ তদন্ত কমিশন ময়মনসিংহ সফর করেছিল কি?

উত্তর : আমার জানা নেই।

প্রশ্ন : আপনি সুলতান নামের যে আলবদরকে যুদ্ধের পে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তার বাড়ি কোথায়?

উত্তর : সুলতানের বাড়ি ছিল গফরগাঁওয়ে।

প্রশ্ন : তার নাম কি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাকি আলবদর তালিকায় ছিল?

উত্তর : স্বাধীনতার পরে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ছিল।

প্রশ্ন : যুদ্ধের সময়ে আপনি কোন তারিখে গ্রেফতার হয়েছিলেন?

উত্তর : দিন ও তারিখ মনে নেই। যদিও এটা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। পালিয়ে যাওয়ার তারিখও আমার মনে নেই।

প্রশ্ন : আপনি বন্দীদশা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরে ও আশপাশে এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক প্রহরায় ছিল কি?

উত্তর : হ্যাঁ। সতর্ক অবস্থায় ছিল।

প্রশ্ন : তাহলে আপনি কিভাবে পালালেন?

উত্তর: শহরটা আমার পরিচিত ছিল রিকশাওয়ালাও পরিচিত ছিল। এছাড়া আমার সাথে একজন আল বদর সদস্য ছিল।

প্রশ্ন : যে নৌকায় আপনি পালালেন ঐ মাঝির নাম কি?

উত্তর : সম্ভবত কবির। তার বাড়ি ছিল খরিচার চরে।

প্রশ্ন : নৌকাযোগে শম্ভুগঞ্জে পালিয়ে যেতে কত সময় লেগেছিল?

উত্তর : ঘণ্ট দেড়েক সময় লাগে। আমি যে বাড়িতে উঠেছিলাম সেই বাড়ি ছিল হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগরের গ্রামের বাড়ি।

প্রশ্ন : আব্দুস শাকুর সাহেবকে চিনেন?

উত্তর : হ্যাঁ চিনি। যতদূর জানি তিনি মন্ত্রী আশরাফ সাহেবের বোনের শ্বশুর।

প্রশ্ন : আ আ ম আব্দস শাকুর সাহেব ময়মনসিংহ ৭১' নামে একটি বই লিখেছেন জানেন?

উত্তর : না; এই সম্পর্কে আমি জানি না।

প্রশ্ন : এই বইটিতে আপনার বর্ণনার ঘটনার কোন কিছুই লেখা হয়নি এবং এই বইয়ে কামারুজ্জামানকে নিয়ে কোন ঘটনা নেই তাই আপনি এই বইটি পড়েননি বলে অস্বীকার করছেন?

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : এই শাকুর সাহেবের সাথে আপনার কবে দেখা হয়েছে?

উত্তর : আনন্দমোহন কলেজের শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল।

প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসানকে আপনি চিনতেন?

উত্তর : হ্যাঁ চিনতাম। তিনি শহীদ হয়েছিলেন।

প্রশ্ন : আব্দুর রহমান তালুকদারকে চিনতেন?

উত্তর : না চিনি না।

প্রশ্ন : আব্দুর রহমান তালুকদার ‘মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ি' নামে একটি বই লিখেছেন?

উত্তর : এটাও আমি জানি না।

প্রশ্ন : আপনি কি কখনো সোহাগপুরে গিয়েছেন?

উত্তর : না কখনো সোহাগপুরে যাইনি।

প্রশ্ন : সাংবাদিক মামুনুর রশিদ নামে কাউকে চিনেন?

উত্তর : না, চিনি না।

প্রশ্ন : এই সাংবাদিক সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা ’৭১ শিরোনামে বই লিখেছেন?

উত্তর : জানি না।

প্রশ্ন : এই বইটিতে তিগ্রস্তদের বর্ণনা মতে কামারুজ্জামানের নাম না থাকায় এবং আপনার বর্ণনা মতো ঘটনা না থাকায় আপনি বইটি পড়েও না পড়ার কথা বলছেন?

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : ক্যাম্প থেকে আপনার পালানোর বিষয়ে বাইরে অনেক কথা চালু আছে। আপনি কাউকে বলেছেন, নামাজ পড়তে গিয়ে পালিয়েছেন, কাউকে বলেছেন ক্যাম্প থেকে কাগজপত্র নিয়ে পালিয়েছেন আবার অনেকে বলেছে আপনি নিজের ইচ্ছায় নিরাপদে ক্যাম্পে অবস্থান করেছেন?

উত্তর : ইহা সত্য নয়। আমি নামাজ পড়তে গিয়ে পালিয়েছি।

প্রশ্ন : এলাকায় ব্যাপক প্রচার আছে যে জেলা ডাক বাংলোয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছিলেন আপনার নিজের স্বার্থের জন্য এবং নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেই সেখানে আপনি গিয়েছেন একই সাথে ক্যাম্প থেকে আপনি বুঝাপড়ার মাধ্যমেই বের হন?

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : আপনার এই অবস্থান পরিবর্তন করার কারণেই মুক্তিযোদ্ধারা আপনাকে পরে আর গ্রহণ করেনি?

উত্তর : ইহা সত্য নয়।

প্রশ্ন : আপনাকে গ্রেফতার করা বা পালানোর কোন ঘটনাই ঘটেনি তাই আপনি কোন তারিখ দিন বলতে পারছেন না?

উত্তর : ইহা সত্য নয়।

প্রশ্ন : ৭২ সালে নাসিরাবাদ কলেজে কামারুজ্জামান সাহেব লেখাপড়া করেছেন কি?

উত্তর : না, ৭২ সালে কামারুজ্জামান সেখানে ছিলেন না তিনি পলাতক ছিলেন।

প্রশ্ন : ৭২ সালের মে মাসে কামারুজ্জামান নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীা দিয়েছেন এবং পাস করেছেন?

উত্তর : আমার জানা নেই।

প্রশ্ন : ৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে কামারুজ্জামান তার নিজ বাড়িতে শেরপুরের বাজিতখিলাতে চলে আসেন এবং ৭১ সালে আগস্ট মাসের পরীা দিতেও ময়মনসিংহ শহরে যাননি?

উত্তর : আমার জানা নেই।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।