সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ আড়াল করতে নতুন ‘চমক’! ** ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা থাকবে না : নাজির আহমদ ** আওয়ামী বলয়ে অদৃশ্যমান তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ** বিচারের নামে জামায়াত নেতাদের সাথে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে ** খোশ আমদেদ মাহে রমজান ** তরুণ প্রজন্মের সুযোগ হয়েছে আওয়ামী লীগকে চেনার ** সৈয়দ আলী আহসান : চেনা কন্ঠস্বরÑঅচেনা জ্যোতিষ্ক ** ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে দেশকে বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে ** ইলিশের দেখা নেই ** দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১২, ৫ শ্রাবণ ১৪১৯, ২৯ শাবান ১৪৩

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলনে ড. অলি আহমদ

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে দেশকে বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে

গত ১৪ জুলাই জাতীয় প্রেস কাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম

সোনার বাংলা রিপোর্ট : লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত  থেকে দেশকে বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে। কোনো দল যদি মনে করে তারাই এককভাবে ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, আর কেউ করেনি তা ঠিক নয়। দলমত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এ দেশের অনেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রত্যভাবে আবার কেউ পরো শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতাদের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে সম্মুখে যুদ্ধ করেছেন এমন নাম বের করা কষ্ট হবে। তিনি বলেন, কোনো দলের সবাই তো আর মুক্তিযুদ্ধ প্রতিহত করতে যায়নি। তাই ঢালাওভাবে কোনো দলকে যুদ্ধাপরাধের দোষ দেয়া ঠিক নয়। বর্তমানে জামায়াতের ৯০ ভাগ সদস্যের বয়স ’৭১ সালে ১৪ বছরের নিচে ছিল। তাদের তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার দোষ দেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ এ সত্য উপলব্ধি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গত ১৪ জুলাই জাতীয় প্রেস কাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার  মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট হান্নান হোসাইন, আবু তাহের খান, আব্দুল ওয়ারেছ, ঢাকা মহানগরী সহকারী মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম খান প্রমুখ।

অলি আহমদ বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বহু মিটিং করেছেন। তাহলে জামায়াতের মিটিংয়ে আমার যেতে দোষ কোথায়? আওয়ামী লীগের লোকেরা মনে করেন না যে, আল্লাহর কাছে তাদের ফিরে যেতে হবে। তাহলে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিতেন না। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলে এ দেশ আরও ১০০ বছর এগিয়ে যেত। বর্তমান সরকারের সর্বত্র দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা, গুম, রাহাজানি করে মতায় থাকার চিন্তা করলে বোকার স্বর্গে বাস করছে। শেখ মুজিবও জোর করে মতায় থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনা সরকারও থাকতে পারবে না। নমরুদের মতোই এ সরকারের পতন হবে। ।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ’৭১ সালে অবশ্যই প-বিপ শক্তি ছিল। কিন্তু বর্তমান জনসংখ্যার ৭০ ভাগ মানুষের বয়স ৪০ বছরের নিচে। তারা কোন পরে? তাদের যারা প-বিপ করতে চায় তারা দেশ বিভক্তকারী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মানে ইসলামবিরোধিতা এটা বলা হয়নি। তাহলে এখন কেন বিরোধিতা করা হচ্ছে? এই অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষ এবং দ্বীনের প্রতি যাদের মায়া আছে, সেই তরুণদের বাংলাদেশ রার দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের নেতৃত্বে এগিয়ে নেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমানে ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুখোমুখি করা হয়েছে। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা মুছে ফেলা হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এটা ছিল না। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরাও এ বিচার চাই। তবে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার আগে করতে হবে।

 à¦¹à¦¾à¦®à¦¿à¦¦ আযাদ এমপি বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমানে তারা বিচারের নামে প্রহসন ও জাতিকে বিভক্তির ষড়যন্ত্র করছে। তাদের দেশপ্রেম নেই।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে। কিন্তু ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধী বিচারের নামে নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ’৯৬ সালে শেখ হাসিনা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেদিন নিজামী সাহেব যুদ্ধাপরাধী না হলে আজ তাকে কেন বলা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন আমি ন্যায়বিচার করতে বসিনি। তাহলে তিনি কি জোর করে ফাঁসিতে ঝোলাতে চান? তিনি বলেন, সরকার চিরদিন মতায় থাকতে চায়, এজন্য কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।

ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল বলেন, '৭১ সালে শেখ হাসিনা পাকিস্তানিদের রেশন খেয়েছেন আর বেগম খালেদা জিয়া ৯ মাস বন্দী ছিলেন। তিনি বলেন, '৭১ সালে যারা আমাদের সাহায্য করতে এসেছিলো তাদেরকে সে সময় আমরা চিনতে পারিনি। এখন ভারতকে আমরা চিনতে পারছি। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের জন্য রাজনীতি করে। মুক্তিযুদ্ধেও প-বিপ এখন মীমাংসিত বিষয়। শেখ মুজিব নিজেই এটি মীমাংসা করে গেছেন। অথচ এখন শেখ হাসিনা তার পিতার চেতনার বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তরুণদের দেশের স্বাধীনতা রায় আর একটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলনে পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইকবাল ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। এগুলো হলো-১. টিপাইমুখ বাঁধসহ আন্তর্জাতিক ৫৪টি অভিন্ন নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে ২. স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটি এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। এ দাবি মেনে নিতে হবে ৩. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে ৪. সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধাপরাধের আইনে বিচার আন্তর্জাতিক আইন সিদ্ধ নয়, এ আইন সংবিধান পরিপন্থী। এ আইনে সাধারণ নাগরিকদের বিচার বন্ধ করতে হবে ৫. অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করছি ৬. সীমান্ত হত্যা, সীমান্ত বাণিজ্য ও ফেনসিডিলের অবাধ প্রবেশ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ৭. পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারির হোতাদের বিচার করতে হবে ৮. অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ সম্মানী ভাতা ৫ হাজার টাকা করতে হবে এবং ৯. মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অবৈতনিক উচ্চতর শিার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।