মাওলানা সাঈদী মুসলিম উম্মাহর সম্পদ : ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

জমিয়াতুল মুফাসসিরীন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা মরহুম রাফীক বিন সাঈদীর স্মরণে গত ১৬ জুলাই জাতীয় প্রেস কাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জমিয়াতুল মুফাসসিরীন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা কে এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সৈয়দ কামাল উদ্দিন জাফরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বক্তব্য রাখেন দারুস সুন্নাহ ইসলামী কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান হাফেজ মফিজুর রহমান (অন্ধ হুজুর), জমিয়াতুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শামীম বিন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল ছারছীনার ছোট হুজুর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আলাউদ্দীন খান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয় সমগ্র মুসলিম উম্মাহের সম্পদ। সুযোগ্য সন্তান হিসেবে তার বাবার ওপর অবিচার ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হয়তো বা এই অকাল মৃত্যুর কোলে তাকে ঢলে পড়তে হয়েছে। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান এবং আল্লামা সাঈদীর মুক্তি কামনা করেন।

প্রধান আলোচক সৈয়দ কামালুদ্দীন জাফরী বলেন, আমি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি কিন্তু আমি কাউকে উপদেশ দিতে ভুল করি না। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাঈদী সাহেব কোনো খারাপ লোক নন তার কথায় কেউ চুরি ডাকাতি করে না তাকে বন্দী রেখে আপনাদের কোনো লাভ হবে না বরং ক্ষতি হবে, অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মাহমুদুর রহমান বলেন, এ দেশের আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ ঐক্যবদ্ধ হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাঈদী সাহেবকে মুক্ত করা সম্ভব। তার মুক্তি না হওয়ার জন্য আলেমরাই দায়ী, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আল্লামা সাঈদী সাহেবের মুক্তি সময়ের দাবি। তিনি বলেন, আমি সরকারের অবিচারের মুখোমুখি হয়েছিলাম, আমাকে অন্যায়ভাবে কারাবরণ করতে হয়েছে। কারাবন্দীকালীন সাঈদী সাহেবের সাথে আমার কিছু সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে, তখন আমি দেখেছি সত্যিকার আলেমদের গভীরতা কত বেশি, তিনি যে কত বড় আল্লাহর ওলী তার প্রমাণ আমি নিজেই।

হাফেজ মফিজুর রহমান বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে, তাকে ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় তার ভক্তবৃন্দরা শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কে এম আবদুস সোবহান বলেন, রাফীক বিন সাঈদী তার বাবার একজন যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে কুরআনের কাজ করতেন। আল্লাহ হয়তো বা চূড়ান্ত পরীক্ষা করার জন্য রাফীক বিন সাঈদীকে উঠিয়ে নিয়েছেন। আমরা আল্লাহর দরবারে তার সর্বোচ্চ জান্নাতের দোয়া কামনা করছি। সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, স্বজন হারানোর কোনো ব্যথা আপনারা যদি ব্যথিত হয়ে থাকেন তবে বুঝবেন সাঈদী সাহেব কত ব্যথায় ব্যথিত, অনতিবিলম্বে আল্লামা সাঈদীকে মুক্তি দিন এবং আলেমদের সাথে বেয়াদবী বন্ধ করুন। তিনি কুরআন প্রচারের এই অরাজনৈতিক সংগঠনকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।