বিপক্ষে ভোট দেয়নি কেউ, বিরত ভারতসহ ৪৪ দেশ
সোনার বাংলা ডেস্ক : ইসলামভীতি মোকাবিলায় একটি প্রস্তাব জাতিসংঘ সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেছে। ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবসে ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ইসলামফোবিয়া মোকাবিলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ১১৫ দেশ ভোট দিয়েছে। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্যসহ ৪৪টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো দেশ ভোট দেয়নি। খবর আনদলু ও এনডিটিভির।
সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে ইসলামফোবিয়া মোকাবিলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ভারত নীতিগতভাবে এমন বিশেষ দূত নিয়োগের বিষয়ে বিরোধিতা করেছে।
প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে; বিশেষ করে ইসলামফোবিয়াকে টার্গেট করে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপন করা এ খসড়া প্রস্তাবে সহযোগী দেশ হিসেবে ছিল চীন।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ‘মেজার টু কমব্যাট ইসলামফোবিয়া’ (ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ) শীর্ষক ওই খসড়া প্রস্তাব গ্রহণ করে।
এদিকে প্রস্তাব নিয়ে নিজের অবস্থানের পক্ষে ভারত জোর দিয়ে বলেছে, সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারেও ‘ধর্মভীতি’ বিরাজমান। তাই শুধু একটি ধর্মের মধ্যে একে সীমাবদ্ধ না রেখে তা অবশ্যই ওইসব ধর্মের পরিপ্রেক্ষিতেও বিবেচনা করতে হবে।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ ইহুদিবিদ্বেষ, খ্রিষ্টান ও ইসলামভীতি দিয়ে অনুপ্রাণিত সব ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান। তবে জোর দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের ভীতি আব্রাহামিক ধর্মের (হযরত ইবরাহিম আ.-এর অনুসারী এবং এক স্রষ্টায় বিশ্বাসী ধর্ম) বাইরেও বিস্তৃত থাকার বিষয়টিকে স্বীকার করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। দশকের পর দশক নন-আব্রাহামিক ধর্মের মানুষও যে ‘ধর্মভীতির’ শিকার হয়ে আসছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এটি সমসাময়িক ঘরানার ধর্মভীতি; বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখবিরোধী অনুভূতি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
ভারত এ বিষয়েও জোর দিয়েছে যে, ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে এমন নজির স্থাপন করা উচিত হবে নাÑ যাতে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের ভীতিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য প্রস্তাব তোলা যায় ও বিভিন্ন ধর্মীয় শিবিরে জাতিসঙ্ঘের বিভক্ত হয়ে পড়ার শঙ্কার সৃষ্টি হয়। এরকম ধর্মীয় বিষয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে নিজের অবস্থান বজায় রাখা জাতিসংঘের জন্য জরুরি। সেটি না হলে তা বিশ্ববাসীকে একটি পরিবার হিসেবে থাকা এবং শান্তি ও সম্প্রীতির ব্যানারে আমাদের একত্র করার পরিবর্তে বিভক্ত করে ফেলতে পারে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, নিঃসন্দেহে ইসলামভীতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, অন্যান্য ধর্মের মানুষও বৈষম্য সহিংসতার সম্মুখীন। শুধু ইসলামভীতি মোকাবিলায় মনোযোগ নিবদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসের সাথে যুক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উপেক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ‘বর্জন ও অসমতার’ অনুভূতি অজান্তেই স্থায়ী হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে ইসলামভীতি নিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল সাধারণ পরিষদ। সেখানে ইসলামভীতি মোকাবিলায় ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- দেশজ শক্তিনির্ভর কৌশল বিরোধীদের
- আলামত শুভ মনে হয় না
- সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে হাসপাতালে আমীরে জামায়াত
- প্রতিবাদে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ-ইফতার
- বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়লো
- বেঁধে দেওয়া মূল্যে পণ্য মিলছে না
- নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা
- ১৭ রমযান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- ৪ মে উপজেলা নির্বাচনের ১ম ধাপ
- আইআইইউসিতে ফটকের বাইরে প্রতিবাদী ইফতার
- ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় জুলুম চলছে : গোলাম পরওয়ার
- বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহতের ঘটনায় বিএনপির নিন্দা