সর্বাধিক পঠিত
- বিয়ে মুসলিম সমাজে অপরিহার্য কর্তব্য, ইবাদত সমতুল্য
- রমযানে দিন রাতের আমল
- দেশজ শক্তিনির্ভর কৌশল বিরোধীদের
- তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচন ও এরদোগানের বিদায় বার্তা
- ভারতের মুসলিম বিতাড়ন আইন : সিএএ
- জনগণের মুখোমুখি আ’লীগ
- দাওয়াহ-এর গুরুত্ব
- স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কারো সাথে আপস নয়
- জাতির পচন যখন শুরু হয় মাথা থেকে
- সাংবাদিক লেখক মুহাম্মদ নূরে আলমের বই ‘ঋণমুক্ত দুনিয়া ও পাপমুক্ত পরকাল’
বহিঃশক্তির সাথে সমসম্পর্ক : ইস্যুভিত্তিক সমঝোতা : দ্রব্যমূল্য-অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার
দেশজ শক্তিনির্ভর কৌশল বিরোধীদের
॥ ফারাহ মাসুম ॥
নিজস্ব শক্তি নির্ভর আন্দোলন গড়ে তোলার কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশের বিরোধীদলগুলো। এ উদ্দেশ্যে দল পুনর্গঠন, সামাজিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক ভোগান্তির মতো জনগণের মৌলিক সংকটের ওপর ফোকাস করার কৌশল নিয়েছে তারা। এতে দ্রুত সাফল্যের আশা না করে একটি মধ্যমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের বিষয়কে সামনে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও জামায়াতের কারাবন্দি শীর্ষনেতারা এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। নতুন নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করার আগে একতরফা নির্বাচনের আগে গণগ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীকে মুক্ত করাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। দলীয় নেতাকর্মীর মুক্তির পর এখন নতুন করে কৌশল নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্য দল ও জোটগুলো।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে টানা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির পরিবর্তে গণসংযোগ ও দল গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হবে বছর দুয়েকের মধ্যে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে নির্বাচনের দাবি আদায় করা। এজন্য আন্দোলনের পরিবেশ তৈরির জন্য জনসংযোগমূলক কর্মসূচি দেয়ার পাশাপাশি দলকে নতুন করে গোছানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দলের সব ফোরামকে গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দলটির শীর্ষনেতারা বলছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা আন্দোলনে আছেন এবং থাকবেন। তারা এ দাবি সামনে রেখেই আন্দোলনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। দলের নেতারা আরো বলছেন, অবাধ নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে সাময়িক ব্যর্থতা আদৌ কোনো ব্যর্থতা নয়। আন্দোলনের দুর্বলতাগুলো ....বিস্তারিত
ভারতের মুসলিম বিতাড়ন আইন : সিএএ
॥ প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম ॥
বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক মুসলিমবিরোধী কার্যক্রম, আইন ও ইস্যু তৈরি করে আসছেন। চরম হিন্দুত্ববাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষকে সম্বল করে ১৯৪৭ সালের পর থেকে ভারতের রাজনীতিকদের একাংশ নানা নামে-ধামে দীর্ঘকাল তাদের নেতিবাচক প্রচার অব্যাহত রেখেছে। ১৯৯২ সালে অযোধ্যার তথাকথিত রাম জন্মভূমি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা মোগল বংশের প্রথম পুরুষ জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবরের প্রতিষ্ঠিত মসজিদকে ধ্বংস করে। সেদিন সমগ্র ভারতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মসজিদ ধ্বংস হয় বা শাহাদাত বরণ করে। কংগ্রেস রাখঢাক করে মুসলিমবিদ্বেষ লালন করলেও বিজেপি ভদ্রতা-সভ্যতা-সৌজন্যের তোয়াক্কা করেনি। ১৯৮৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ ....বিস্তারিত
বিয়ে মুসলিম সমাজে অপরিহার্য কর্তব্য, ইবাদত সমতুল্য
॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
আদম আ. থেকে শুরু করে শেষ নবী মুহাম্মদ সা. পর্যন্ত কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী-রাসূলই বিবাহ করেছেন, সংসার করেছেন, স্বামী-স্ত্রী, শ^শুরবাড়ির দায়িত্ব পালন করেছেন। সমাজে-রাষ্ট্রে এর প্রভাবে আত্মীয়তার বন্ধন মজবুত হয়েছে। বংশবিস্তার হয়েছে। যুগ যুগ ধরে দেশ থেকে দেশান্তরে মানবগোষ্ঠীর বিস্তার হয়েছে। আমরা বাংলাদেশিরা নবীর সাহাবীদের সংস্পর্শে আল্লাহর বাণী এবং নবীদের দেখানো পথে ও মতে আল্লাহর দীনের কাজ বুঝে তা আমল করার চেষ্টা করছি। এ চেষ্টার সফলতার জন্য আমরা নিয়ামতভরা সীমাহীন জান্নাত আর যারা বিরোধিতা করবে, তাদের জন্যও রয়েছে সীমাহীন আগুনে ভরা জাহান্নাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ সৃষ্টি করেছেন এমনভাবে যে, নারী-পুরুষের সমন্বয়েই ....বিস্তারিত
সম্পাদকীয়
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কারো সাথে আপস নয়
মার্চ স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালের মার্চের দিনগুলো অধিকার আদায়ের দাবিতে দেশ ছিল উত্তাল। রাজপথের প্রতিবাদ মিছিল পরিণত হয়েছিল প্রতিরোধ যুদ্ধের দুর্ভেদ্য মুক্তি বাহিনীতে। পোস্টার-ব্যানারের বদলে হাতে গর্জে উঠেছিল বারুদভরা রাইফেল। মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্ত একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের জন্য হাসিমুখে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন অকুতোভয় মুক্তিপাগল জনতা। তারা ৯ মাসের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ, কিন্তু যুদ্ধ আজো শেষ হয়নি। লক্ষ্য থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে। মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্তির সংগ্রাম চলছে ৫৩ বছর ধরে। ....বিস্তারিত
জনগণের মুখোমুখি আ’লীগ
দিন দিন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দলটি
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
দেশটা চলছে। আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছে। বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার-অনুগত নির্বাচন কমিশনের ভোটের হিসাবই বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। বিরোধীদলের দাবি, শতকরা মাত্র ৫ জন ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও বিগত ডামি নির্বাচনে ভোট দেয়নি। তাই এ সরকারকে জনগণের সরকার বলা যায় না। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। জনগণের অধিকারই শুধু হরণ করেনি, স্বস্তির জায়গাটাও কেড়ে নিয়েছে। তাই সর্বত্র একটা গুমোট দমবন্ধ হওয়া অবস্থা বিরাজ করছে। জনমতের ....বিস্তারিত
অ ব লো ক ন
তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচন ও এরদোগানের বিদায় বার্তা
॥ মাসুম খলিলী ॥ তুরস্কে এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে জল্পনা বেশ জমে উঠেছে; বিশেষ করে বৃহত্তম নগরী ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার মেয়র কে হবেন, সেটি নিয়ে। তবে এর চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দেশটির দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা রজব তৈয়ব এরদোগানের রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার বার্তা নিয়ে। এমন কথাও অনেকেই বলছেন, তিনি কি সত্যিই তুর্কি রাজনীতি ও ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন? এরদোগানের ভক্তরা জানেন যে, তাদের প্রেসিডেন্ট মিথ্যা বলেন না। তবে কথা বলা ও বাস্তব কাজে তিনি বেশ কৌশলীও। বর্তমান সংবিধান অনুসারে এরদোগান তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্তু এ সংবিধান পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট থাকার ক্ষেত্রে দুইয়ের ....বিস্তারিত