জার্মানির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম স্পিকার

জার্মানির একটি প্রদেশের পার্লামেন্টে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন একজন মুসলিম। দেশটির  ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুসলিম একটি প্রদেশের পার্লামেন্টের স্পীকার নির্বাচিত হলেন। নির্বাচিত স্পিকারের নাম মুহতেরেম আরাস। তিনি জার্মানির গ্রিন পার্টির সদস্য। গত ১১ মে বুধবার জার্মানির জনপ্রিয় একটি অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) হটিয়ে বাডেন উটেমবার্গ প্রদেশে তিনি পার্লামেন্ট স্পিকার নির্বাচিত হন। খবর ইন্ডিপেডেন্ট ও পাকিস্তান টুডের।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় আরাস বলেন, ‘আমরা আজ ইতিহাস লিখেছি।’ ৪০ বছর বয়সী নতুন এ স্পিকার আরও বলেন, এ বিজয় উন্মুক্ততা, সহনশীলতা এবং ঐক্যেরই ইঙ্গিত দেয়।

তুরস্কে জন্মগ্রহণকারী আরাস ছোটবেলায় তার বাবা-মার সঙ্গে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের কাছাকাছি একটি এলাকায় বসবাস করেন। এরপর অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা শেষে নিজে একটি ট্যাক্স পরামর্শক প্রতিষ্ঠান খোলেন। ১৯৯২ সালে শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবন। স্থানীয় কাউন্সিলে গ্রিন পার্টির পক্ষ থেকে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন তিনি। ক্রমেই দলকে তিনি জনপ্রিয় করে তোলেন এবং বাডেন উটেমবার্গ প্রদেশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধিত্ব করার পর্যায়ে নিয়ে যান। এবার তিনি ৯৬ জন স্থানীয় এমপির ভোটে প্রথম মুসলিম নারী স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

এমন এক পরিস্থিতিতে আরাস স্পিকার নির্বাচিত হলেন যখন গত ১০ মে মঙ্গলবারও জার্মানিতে রেলস্টেশনে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চারজনকে ছুরিকাহত করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এএফডি ‘ইসলাম দেশের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং মিনার ও বোরকা নিষিদ্ধ’ করার ইশতেহার নিয়ে স্থানীয় নির্বাচনে রেকর্ড সাফল্য অর্জন করেছে।