সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

॥ কামরুল হাসান॥
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে বড় দুই রাজনৈতিক দলে চলছে ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’। তৃণমূল পর্যায়ের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় পর্যায়ের এ ভোট উৎসবে প্রার্থী মনোনয়নে এ ধরনের বাণিজ্যের ফলে নিলামে উঠেছে তাদের প্রাণপ্রিয় দলের নির্বাচনী প্রতীক। এ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগে বিব্রত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা। তারা যে অসহায়, এ কথা মৃদুকণ্ঠে অনেকেই বলছেন। এ অবস্থা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়। দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় এমন ভয়াবহ ‘বাণিজ্য’ চললে মুখ থুবড়ে পড়বে গণতন্ত্র।

গত ১৭ মে মঙ্গলবার রাতে সময় টিভিতে সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহম্মেদ এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যে গা ভাসিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতা। দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা অবলীলায় তুলে দিচ্ছেন তারা ভোল পাল্টে দলে আসা হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের হাতেও। সংখ্যায় তুলনামূলক কম হলেও এ বাণিজ্যে পিছিয়ে নেই সরকারবিরোধী প্রধান দল বিএনপিও। তারাও দলের নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ ‘বিক্রি’ করে দিচ্ছে সুবিধাবাদী ও ধনীদের কাছে। ফলে টাকার কাছে হার মানতে হচ্ছে দুই দলের ত্যাগী ও দক্ষ নেতাদের, এলাকায় জনপ্রিয় ও বারবার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের।

বিএনপি ফিলিস্তিনের পাশে আছে : বিএনপি ইসরাইল নয়, বরং সব সময় ফিলিস্তিনের পাশেই ছিল, আছে, থাকবে। গত বছর ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের ওপর যখন ইসরাইল হামলা চালিয়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাল, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছেন। তার দলের কেউ সেই ইসরাইলিদের সঙ্গে সখ্য গড়বে- এটা আমরা মানতে রাজি নই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আর একজন নেতা ইসরাইলি কারো সঙ্গে সখ্য করলে বা ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব গড়লে তাকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ভাবা যাবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে, নিতান্ত ব্যক্তিগত কারণেই হয়তো বিএনপির ওই নেতার সঙ্গে ইসরাইলিদের পরিচয় হয়েছিল।

গত ১৪ মে শনিবার রাতে বাংলাভিশন চ্যানেলের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন। সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ দারা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ইসরাইলি এক নেতার সঙ্গে বৈঠক স¤à¦ªà¦°à§à¦•à§‡ আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমিও একবার ভারতে একটি কাজে গিয়েছিলাম। তখন দেখি, হোটেলে একদল লোক আমাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিল। জানতে চাইলে তারা জানাল, এটা তাদের দেশের রেওয়াজ। তাই আমি দেখেছি, আসলামের গলায় যে মালা, সেটা হয়তো ভারতের কোনো অনুষ্ঠানে হতে পারে। আর মনে হলো, নিশ্চয়ই কেউ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে হাসিমুখে থাকবে না। হাসিমুখ নিয়ে কি সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করা যায়?’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও খুব সিরিয়াসলি আলোচনা হয়েছে। দলীয়ভাবে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ থাকতে পারে। আসলাম চৌধুরীর বৈঠক দলের খারাপ সময়ে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিলে দলের দায় এসে যায় কি না এ বিষয়টি যেমন বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে, তেমনি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা কী ধরনের তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করে তা-ও দেখতে চায় দলটির হাইকমান্ড।

আবদুল ওয়াদুদ দারা এমপি বলেন, আসলামের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরও যদি বিএনপি পদক্ষেপ নিতে দেরি করে, তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলটির ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণœ হবে। কারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে এমন বৈঠক করলেও দলীয় দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। তাই হয় দলের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, না হয় আসলাম চৌধুরীর নিজে থেকেই পদত্যাগ করা উচিত।

 

সরকার ভারতের ওই সব লোককে জিজ্ঞেস না করেই আসলামকে গ্রেফতার করেছে

আসলাম চৌধুরী দলীয় কোনো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ভারতে যাননি। সরকার ভারতের ওই সব লোককে জিজ্ঞেস না করেই আসলামকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া ভারতের মাটিতে বসে তিনি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করবেন এটা দেশের জনগণ বিশ্বাস করবে না। মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে আসলামের কথিত  বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে খবব এসেছে। তবে বিএনপি দলীয়ভাবে আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। আসলাম চৌধুরী তার দলকে জানিয়েছেন, তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেভাবে খবরটি প্রচার হচ্ছে, সেভাবে তিনি জড়িত নন। এর পরও তার বিষয়ে কোনো দলীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলে সবাই জানতে পারবেন।

গত ১৭ মে মঙ্গলবার রাতে এটিএন বাংলার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টকশোতে আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন। সাংবাদিক জ ই মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান বলেছেন, প্রথমে আমরা বিস্মিত হলেও বিএনপি মহাসচিবের কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল যদি ইসরাইলের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি, দল কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে তা হবে তাদের রাজনৈতিক আত্মহত্যা।

ড. আমেনা মহসিন বলেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল এবং কথাও হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন ইসরাইলি রাজনীতিক মেন্দি এন সাফাদি। তবে তাদের মধ্যে কোনো গোপন বিষয়ে কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। ইসরাইল থেকে সাফাদি টেলিফোনে বিবিসিকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা- এগুলো সবাই জানেন। আমরা দুজন সেসব নিয়েই কথা বলেছি, তাও সেটা একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। আমরা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিলাম বা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলাম- এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতেই পারে না।’ যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, সরকার পতনের চক্রান্ত একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে করা হচ্ছে- তারপর আবার চক্রান্তকারীরা হাসিমুখে তাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- এ জিনিস কোথাও আবার হয় নাকি?

সাফাদি আগ্রায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি ভারতে আসেন। ওই অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করেন সাফাদি। আর এসব ছবির ওপর ভিত্তি করেই মূলত বিএনপি নেতার সঙ্গে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশ করা হয়। সাফাদি ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা এবং একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তাকে মোসাদের গোয়েন্দা হিসেবে গণমাধ্যমে উল্লেখ করায় তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। ভারতের আগ্রার ওই অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব শাখা। সাফাদি বলেছেন, প্রতিবেশী  দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসলাম চৌধুরীও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। দুজনের আগে থেকে কোনো পরিচয়ও ছিল না। একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই অতিথি হিসেবে তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ হয়েছিল মাত্র।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।