সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন॥
মার্কিন মুখ্য উপ-সহকারী মন্ত্রী উইলিয়াম টডের সঙ্গে ১৬ মে সকালে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটের বাসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের মূল এজেণ্ডাগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হলেও একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই বৈঠকটির মূল বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশ। এখানকার জনগণের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সরকারের নিষ্ঠুর পদক্ষেপগুলোও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। মন্ত্রী উইলিয়াম টডের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিরোধীমতের ওপর সরকারের জুলুম নির্যাতনের একটি স্পষ্ট ধারনা নেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির এই বৈঠকটি যখন চলছিল তখন হত্যা, গুপ্তহত্যা, ধর্ষণ, ব্যাংক লুটসহ রাষ্ট্রপরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার ফের বিরোধীদলগুলোর ওপর জুলুম-নির্যাতন বাড়িয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করতে হীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একদিকে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকর অব্যাহত রাখছে। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আটকানো ও শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। কারণ, হচ্ছে চাপে থাকায় সরকার মনে করছে রাজপথের বিরোধীদের আরো চাপে না রাখতে পারলে যেকোনো সময় তারা সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে পারে। এ আশঙ্কা থেকেই সরকার বিরোধী দলগুলোকে কোণঠাসা করে রাখতে চাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন সরকার এখন অনেকটা দিশেহারা। ক্ষমতা হারানো আতঙ্কে বিরোধীদের ওপর চড়াও হয়েছে। কারণ, একটি অবাধ ও সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের সাহস পাচ্ছে না সরকার। একটি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সময় নিচ্ছে সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন দিতে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হলে সরকারের বিরোধিতাকারীদের আরো দুর্বল করা জরুরি মনে করছে  সরকার। এ কারণেই সরকার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এপ্রিলে দেশে ঘটে যাওয়া আকস্মিক হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাধারণ জনগণ যখন সরকারের সমালোচনায় মুখোর তখন ব্যাংক লুট, তনু, জুলহাস মান্নান, তনয়, নিখিল হত্যাসহ সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো চাপা দিতে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রায় কার্যকরের ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। নির্বাচনে বাধ্য হতে পারে এমন ইঙ্গিত থেকেই সরকার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ইতোমধ্যে কার্যকর করেছে সরকার। দলটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর বিষয়টিকে চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুস সোবহান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জেলে আটকে রাখা হয়েছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় এসব নেতাদের ফাঁসি দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার সব অপচেষ্টাই চালাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির ৫১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আন্দাজ অনুমান নির্ভর অভিযোগে আটক করা হয়েছে দলটির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন কাউন্সিল পরবর্তী বিভিন্ন কমিটিগুলো গঠন নিয়ে ব্যস্ত এবং আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নিদের্শ দিয়েছে তখনই নতুন করে সরকার জুলুম নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে কর্মীরা ভয় পায় এবং সম্ভাব্য আন্দোলনে মাঠে না নামেন।   

তবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান মনে করেন কোন ফাঁদই সরকারের পতন ঠেকাতে পারবে না। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকারে নানা কৌশলে বিএনপিকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এখন প্রশাসনকে ব্যবহার ও শক্তিপ্রয়োগ করছে। তিনি মনে করেন, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় বিরোধীদের দাবির সঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো যখন একমত হয়ে সরকারকে বলা শুরু করছে তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার জন্য সরকার সব ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে প্রকাশ্যেই বলে আসছি দেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে। একটি অর্থবহ সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারলে এরই মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে এবং কোন ধরনের সংঘাত ছাড়াই সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। বিএনপি মনে করেন, দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরাতে হলে সংলাপই মুখ্য হাতিয়ার। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে সরকার ব্যর্থ হলে রাজপথেই এর সমাধান করা ছাড়া বিরোধীদের সামনে আর কিছুই করার থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি দল গুছাচ্ছে। কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বুঝে শুনে নির্দেশনা দেবেন। দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধীদের মধ্যে যাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায়ই তারা মুক্ত হবেন। কারণ এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি নানা দিক থেকে চাপ থাকলেও সরকার সিদ্ধান্ত হীনতায় রয়েছে। কারণ, নির্বাচনের ঘোষণা ও পরবর্তী পরিস্থিতি সমালানো নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে টেনশন রয়েছে। গত ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত এমনকি বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও হতাশায় ছিলেন। বিএনপি নির্বাচনে আসলে এবং পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়ে হতাশায় ছিলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না যাওয়ায় তারা আবার নিজেদের সামলিয়ে নিতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। রাজপথে উত্তেজনাকর কোন কর্মসূচি ছাড়াই সরকারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনায় ব্যর্থতায় সরকারকে পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার যখনই চরম বেকায়দায় পড়ে তখনই বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের সামলানোর চেষ্টা করে। বিএনপি আরেক সিনিয়র নেতা মনে করেন, সরকারের সামনে এখন দু’টি পথ খোলা আছে। এক. সব দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। দুই. অন্যথায় আন্দোলন মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকা। সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে না চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। 

এদিকে গত ১৬ মে সোমবার ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৫১ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো সরকারকে সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারের অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে সব মতের মানুষকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে, তাই ক্ষমতায় যেতে কারও সঙ্গে হাত মেলায় না। আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাই রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে উনার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে। তারা মনে করে, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে জনগণের কাছে যাবেন। সেক্ষেত্রে তারা (আওয়ামী লীগ) জোর করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া মামলা এবং জেলখানা ভয় পায় না। তিনি বহুবার জেলে গেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আজ তারাই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে। যে কারণে দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ জন্য আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এখন তারা মনে করে বিএনপি টিকে থাকলে এবার ২১ বছর নয়, ৪২ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই জালেম ও স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই বিএনপিকে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রে করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। শাসকদলকে বাধ্য করতে হবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে।

এদিকে ১৬ মে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জুনেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি। তিনি বলেন, ‘আগামী ১ জুন আমাদের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। সেই অধিবেশনে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নে আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় ছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সেই সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গেই মাঠে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জামায়াতের সঙ্গেই মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ। সেই জামায়াতে ইসালামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দলটির নেতাদের ফাঁসি দিচ্ছে। দলটিকেও নিষিদ্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে। যা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।