ডামুড্যা বন্দরের প্রধান গলিতে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা

ডামুড্যা সংবাদদাতা : ডামুড্যা উপজেলার অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র ডামুড্যা বন্দর। এ বন্দরের সাথে যোগাযোগ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের সাথে। এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল নদীপথে ঢাকা, চাঁদপুর থেকে আনা হয়। আর অধিকাংশ কাঁচামাল সড়ক পথে আমদানি করা হয় দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ব্যবসায়ীরা এ বন্দরে আসেন তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল খুচরা ও পাইকারি ক্রয়-বিক্রয় করতে। যুগযুগ ধরে ডামুড্যা বন্দরে একটি মাত্র প্রধান গলি।

এই কারণেই সাপ্তাহিক হাটের দুইদিন মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করে। জরুরি প্রয়োজনে বন্দরে গাড়ি ঢোকালে যানজট এত প্রকট হয় তখন জনগণের দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।

তাই ডামুড্যা বন্দরের যানজট নিরসনের জন্য প্রয়োজন মুন্সী রাইস মিল্স বড় ব্রিজ থেকে শুরু করে নদীর পাড় হয়ে খাদ্য গুদামের সামনের রাস্তার সাথে একটি সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা। যাতে করে ডামুড্যা গার্লস স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ এবং হাসপাতাল, ডামুড্যা থানা ও উপজেলার বিভিন্ন অফিসে লোকজন সহজে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে।

দ্বিতীয়ত: ডামুড্যা বন্দরের স্বর্ণকারপট্টি থেকে শুরু করে তহশিল অফিসের পিছন দিয়ে হাইস্কুল রোডের সাথে সংযোগ রাস্তাটি পাকা করা যাতে এ রাস্তা দিয়ে সহজে গাড়ী চলাচল করতে পারে। তখন এ রাস্তা দিয়ে ডামুড্যা হাইস্কুল, মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুল, এ সামাদ ইসলামী একাডেমি, শামীম খান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ, ডামুড্যা পৌরসভা অফিস ও বাসস্ট্যান্ডে লোকজন সহজে যেতে পারবে। এর ফলে ডামুড্যা বন্দরের প্রধান গলিতে লোকের চাপ কমবে আর তখন যানজটও নিরসন হবে।

তাই নবনির্বাচিত পৌর মেয়র ও বন্দর কমিটির সভাপতির জনগণের প্রত্যাশা, তারা যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সংযোগ সড়ক দু’টি নির্মাণের জন্য বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।