হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করো

ফরিদপুরে প্রিয় নেতার কবর অভিমুখে শোকার্ত মানুষের মিছিল আর মিছিল

সাধারণ মানুষ কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করছেন শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের জন্য। মুনাজাত পরিচালনা করছেন ঢাকা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হালিম

ফরিদপুর সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কবরকে ঘিরে চলছে শোকের বন্যা। গত ২২ নভেম্বর রোববার প্রশাসনের কড়াকড়ির মধ্যদিয়ে দাফন সম্পন্ন হবার পর জনতার ঢল নামে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুরস্থ মাওলানা আব্দুল আলী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সদ্য দেয়া তার কবর অভিমুখে। গত ২৩ নভেম্বর সোমবার সারাদিন হরতালের মধ্যেও পুরুষ-মহিলারা দলে দলে আসছে কবর জিয়ারতের জন্য। হাজার হাজার জনতার বুক ফাটা দীর্ঘশ্বাস আর কান্নায় ভারী হয়ে যায় এলাকার আকাশ বাতাস। সকলেরই প্রশ্ন এতো ভালো একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফলা হলো। বয়স্ক লোক যারা ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেছেন তারা বলেন, মাওলানা আব্দুল আলী সাহেবের পরিবারকে আমরা জানি তার পুত্র মুজাহিদকে আমরা চিনি। ৪৫ বছর পরে কোথাকার কে কি বললো আর তাতেই তার ফাঁসি দিয়ে দিল সরকার এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সারাদিনই কবরের পাশে রতি শোক বইয়ে লোকজন স্বার করেছে। অনেকেই মনের কষ্টের %ELî•à¦¥à¦¾à¦—ুলো লিখে যাচ্ছেন। এদেরই একজন মো. সেকেন্দার আলী লিখেছেন, মুজাহিদ একজন সৎ ও ধার্মিক মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। হাফিজুর রহমান লিখেছেন, তিনি সত্যবাদী ছিলেন। আবু উবাইদা লিখেছেন, মুজাহিদ নির্ভীক ও সাহসী ছিলেন। আপনাকে হারিয়ে আমরা ফরিদপুরবাসী শোকাহত। দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন, শহীদ মুজাহিদ ন্যায় প্রতিষ্ঠার উজ্জল নত্র। সে আলো জড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে। এভাবেই শোক বইয়ে নিজেদের মনের কথাগুলো লিখে গেছে জিয়ারতে আসা ব্যক্তিরা। সারাদিন এমন কি সন্ধ্যার পর ও অসংখ্য মানুষ তাদের এই প্রিয় ব্যক্তিটির জন্য  দোয়া করতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন এখানে।