সংবাদ শিরোনামঃ

মুজাহিদ ও সালাউদ্দিনের শাহাদাত ** মুজাহিদের বিরুদ্ধে সরকারের করা মামলার ইতিহাস ** দুই জাতীয় নেতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ** অপরাজিত শহীদ মুজাহিদ পরাজিত সরকার ** শহীদ মুজাহিদের কবরের পাশে অশ্রুভেজা জনতার ঢল ** প্রতিহিংসা চরিতার্থে মুজাহিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সরকার ** মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন মার্সি পিটিশন করেননি ** মুজাহিদকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত ** বিরোধী নেতাদের ফাঁসি রাজনৈতিক বিভাজন বাড়াবে ** আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ** একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যার বিচার আল্লাহ করবেন ** দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে ** ধাওয়া-খাওয়াদের খবর ** নতুন উদ্যোক্তা গড়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ** শহীদ মুজাহিদের রক্ত এদেশের মাটিকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য উর্বর করবে ** প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন মুজাহিদ ** শাহাদাতের মৃত্যু গৌরবের **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪২২, ১৪ সফর ১৪৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

হরতালে গত ২৩ নভেম্বর সোমবার জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর থানা রাজধানীতে মিছিল বের করে

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের গ্রেফতার, জেল-জুলুম, হত্যা, অত্যাচার নির্যাতন উপেক্ষা করে গত ২৩ নভেম্বর সোমবার জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে।  জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে সরকারি ষড়যন্ত্রে হত্যার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে হরতালে চিরচেনা যানজটের নগরী রাজধানীর চিত্র পাল্টে গিয়েছিল।

হরতালে স্থবির হয়ে পড়ে গোটা দেশ, চলেনি দূরপাল্লার যানবাহন। বিপণি বিতানও খুলেছে সীমিত আকারে। হরতাল চলাকালে গত সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন থানাসহ সারাদেশেই মিছিল পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে ২৫ জনসহ সারাদেশে গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক নেতাকর্মী। সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী। গত ২১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ। হরতালে ব্যাংকপাড়া মতিঝিলের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল কম। অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। বৈদেশিক লেনদেন হয়েছে যথারীতি। তবে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি দেশের দুই পুঁজিবাজারে। এখানে লেনদেন হয়েছে যথারীতি। ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার পোস্তগোলা। হরতালের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে কোনো ধরনের যান প্রবেশ করেনি এ পথে। একইভাবে এখান থেকে কোনো যান বাইরে যেতেও দেখা যায়নি। দূরপাল্লার কোন যাত্রীকে অপোও করতে দেখা যায়নি। সব মিলে এখানে ছিল এক ধরনের নীরবতা। এ নীরবতা দেখলেই বুঝতে কষ্ট হয় না হরতাল কতটা সফল হয়েছে। নৌ-টার্মিনাল সদরঘাট থেকে গত ২৩ নভেম্বর সোমবার কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। তবে ঢাকার অদূরের জেলাগুলোতে এখান থেকে ছোট ছোট ফেরিলঞ্চ চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দূরপাল্লার কোন নৌ-যাত্রীদের অপো করতে দেখা যায়নি। এখানে হকারের সংখ্যাও ছিল কম। পুরান ঢাকার পাইকারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত ইসলামপুর এলাকার অধিকাংশ দোকানই ছিল বন্ধ। এছাড়াও মিটফোর্ড, নয়াবাজার, বাদামতলি, চকবাজার, বেগমবাজার এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। এদিকে হরতালের বিপক্ষে গুলিস্তান, পল্টন, হাইকোর্ট ও মতিঝিল এলাকায় মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। গত সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে কোনো ধরনের যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপর থাকতে দেখা গেছে। সকাল থেকে তারা বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে। এসব এলাকায় শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। কোথাও কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে সকাল থেকেই কর্মমুখী মানুষ হেঁটে অনেকে রিকশায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছে। এখানে যাত্রীবাহী বাস তেমন একটা দেখা না গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী আর পুলিশ খালি বাস নিয়ে একাধিক বার আসা যাওয়া করেছে। যাত্রীরা ভয়ে এসব গাড়িতে উঠেনি। দূরপাল্লার কোনো যান প্রবেশ করেনি। একইভাবে দূরপাল্লার কোনো যান এখান থেকে ছেড়ে যায়নি। এদিকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শত শত গাড়ি দীর্ঘ লাইনে অপেমাণ ছিল। পুরো টার্মিনাল এলাকা ছিল যাত্রীশূন্য। কর্মব্যস্ত এলাকায় ছিল এক ধরনের নীরবতা।

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হলো বাড্ডা। এখানে ঘণ্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ জ্যামে পড়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু গত ২৩ নভেম্বর এখানে ছিল একেবারেই ভিন্ন চিত্র। যা চোখে না দেখলে বিশ^াস করা যায় না। এখানে কোনো ধরনের যানজট ছিল না। তবে রাস্তায় রিকশার জট ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে পুরান ঢাকাতে কোন ধরনের যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হলেও কেউ বাসে উঠতে সাহস পায়নি। অনেকে হেঁটে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে এসব এলাকার অধিকাংশ দোকান পাট ছিল বন্ধ। স্কুল কলেজ মাদরাসাসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। তবে অলিগলির দোকানপাট খোলা ছিল। বড় বড় সব মার্কেট ছিল বন্ধ। দু-একটি দোকান খোলা থাকলেও তাতে তেমন কোন বেচাকেনা ছিল না। বিক্রেতারা অলস সময় কাটিয়েছে। সকাল সাড়ে দশটায় ফার্মগেইট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যেখানে অন্য সময়ে যানজট নিত্যসময়ের সঙ্গী সেখানে মাঝে মাঝে কিছু সিএনজি চালিত অটোরিকশার দেখা মিলেছে। পাবলিক পরিবহনের দেখা না পেয়ে মানুষ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে। আর কাছের দূরত্বের লোকজন রিকশা করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কাওরান বাজার থেকে ফার্মগেইটের দিকে যেতে বাম দিকে একটি মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায় কিছু সাদা রঙের খালি চেয়ার সারি সারি পড়ে আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল সেখানে সরকারি দলের লোকজন হরতাল বিরোধী সমাবেশ ডেকেছে। বেলা এগারটার দিকেও লোকজনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় ছিল না বললেই চলে। বেলা বারোটার দিকে মিরপুর-১০ গোলচত্বর গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের অফিসের সামনে এক প্লাটুন পুলিশ বসে আছে।

এদিকে মিরপুরের আশপাশের মার্কেট এবং রাস্তার পাশের সব দোকানপাট বন্ধ রাখে ব্যবসায়ীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছিল একেবারে শূন্য। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সুনশান নীরবতা। লোকজন নেই। সারাদিন দূর গন্তব্যের কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। যাত্রী আসেনি বলে হকাররা দোকান পাট খুলেনি। যেসব গাড়ি ঢাকার বাইরে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলো রাস্তার পাশে সারি সারি করে দাঁড় করানো আছে। লোকজন জানিয়েছেন, হরতালে নিরপত্তার অভাবে আশঙ্কায় গাড়ি ছেড়ে যায়নি। সরকারের প থেকে নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বিশ্বাস করতে পারছি না। সরকারের প থেকে গাড়ি নষ্ট হলে ভর্তুকি দেয়ার কথা বলা হলেও কিছুই পাওয়া যায় না। টাকার চেয়ে জীবন বড় বলেও মন্তব্য করেন বাসের হেলপার খালেক।  গাবতলী মাজার রোডের উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন হক এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ রাজু জানান, উত্তরবঙ্গে তাদের কোনো গাড়ি ঢাকা ছেড়ে যায়নি। দেশ ট্র্যাভেলসের গাবতলী শাখার ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, এখনো দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে রাত থেকে যাবে। এ ছাড়া কল্যাণপুরে অবস্থিত দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ দেখা গেছে। রাজধানীর আরেক আন্তঃবাস টার্মিনাল মহাখালী থেকেও দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি। ঢাকা-টঙ্গি ডাইভারশন রোডের দুইপাশে শতশত গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিপদে দু-একজন যাত্রী আসলেও গাড়ি না ছাড়ায় ফিরে যেতে হয়েছে। অথবা বিকল্প পথে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে হয়েছে।

রাজধানীতে মিছিল ও পিকেটিং : জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেছেন, সরকার জামায়াত নির্মূলের নীলনকশার অংশ হিসাবেই শীর্ষ নেতাদের একের পর এক হত্যার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সে ষড়যন্ত্রে অংশ হিসেবেই সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সফল মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে সরকার। কিন্তু শোকার্ত জনতা হরতাল সফল করে খুনি সরকারকে গণধিক্কার দিয়েছে। তিনি হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় সর্বস্তরের জনতার প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনে সরকারের যে কোনো গণবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। রাজধানীতে সর্বাত্মক হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ট্যানারী মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শূরা সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদার, হাজারিবাগ থানা সেক্রেটারি আব্দুল বারি আকন্দ, ধানমন্ডি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, জামায়াত নেতা আবু নাইম, সাইফুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সেক্রেটারি সালমান সালেক, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাকিবুল হাসান ও রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করে।

পল্টন-ফকিরাপুল : সকাল থেকে পল্টন ও ফকিরারপুল এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানা। ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্টন থানা সেক্রেটারি আমিনুর রহমান, শিবির নেতা সোহেল রানা মিঠু, ওমর ফারুক প্রমুখ।

মগবাজার : মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী রমনা থানা। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন রমনা থানা সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, জামায়াত নেতা আতাউর রহমান সরকার, শিবির নেতা রেদওয়ান উল্লাহ প্রমুখ।

যাত্রাবাড়ী : মেডিকেল রোড থেকে আ. লতিফ ভূইয়া কলেজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী (পূর্ব) থানা। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা মো. শাহজাহান, আশরাফ আলী, মোহাম্মদ আলী, গোলাম মস্তফা, ঢাকা মহানগরী (দণি) শিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজ উদ্দিন, শিহাবউদ্দিন, মিজানুর রহমান, গিয়াশ উদ্দিন, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

মালিবাগ : সকাল থেকে মালিবাগ মোড় থেকে শান্তিবাগ বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর থানা। ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর থানা আমীর মো. শামসুর রহমানের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মো. সাঈদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান লাবু, শহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল মহসিন, শিবির নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহফুজ প্রমুখ।

শেরেবাংলা নগর এলাকা : শেরেবাংলা নগর এলাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানা সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল আজম, জামায়াত নেতা জাহিদুর রহমান প্রমুখ।

কল্যাণপুর : সকাল থেকে কল্যাণপুর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও মিরপুর (পশ্চিম) থানা আমীর নূরুল ইসলাম আকন্দ।

মুগদা-মাণ্ডা : মুগদায় মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। মুগদা থানা সেক্রেটারি বনি ইয়ামীনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবু ইসহাক, মুগদা থানা শিবির সভাপতি এম এ আফসান, খলিলুর রহমান প্রমুখ। মিছিলটি মুগদা সড়ক থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে মাণ্ডা কাবের সামনে সমাবেশ ও পিকেটিংয়ের মাধ্যমে শেষ হয়।

সদরঘাট ও পাটুয়াটুলি এলাকা : সকাল থেকেই পাটুয়াটুলি ও সদরঘাট এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী কোতোয়ালী থানার নেতাকর্মীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন একে গিয়াসউদ্দিন, আহাদুল্লাহ, আবুল কালাম, নূরুজ্জামান, জামাল হোসেন প্রমুখ।

বাবুবাজার ও নয়াবাজার এলাকা  : সকাল থেকে বাবুবাজার ও নয়াবাজার এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য আবু আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা একে গিয়াসউদ্দিন, আহাদ উল্লাহ, ডা আবু নাসের, মো. নূরে আলম, আবুবকর সিদ্দিক, শিবির নেতা মো. দুলাল হোসেন, ইয়াসিন আহমেদ, আ. মান্নান, মো. জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।

মহাখালী ওয়ারলেসগেট এলাকা : মহাখালী ওয়ারলেসগেট এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী বনানী থানা। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বনানী থানা আমীর মো. সাইফুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন রোড : রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন রোডে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। শেখ রেয়ামুল করিমের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফরিদ হোসাইন, কাওসার আহমেদ প্রমুখ।

দণিখান : সকাল থেকে দণিখান এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন থানা সেক্রেটারি মনিরুল হক, জামায়াত নেতা আশরাফ হোসাইন, রফিকুল ইসলাম, শিবির নেতা হাসানুর রহমান, ডা. কেরামত আলী, রফিকুল ইসলাম শ্রাবণ, শাকিল মাহমুদ, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

ভাটারা : সকাল থেকে দিনব্যাপী রাজধানীর ভাটারা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী ভাটারা থানা সেক্রেটারি আবু আম্মার ও ইসলামী ছাত্রশিবির ভাটারা থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি নাঈমূল ইসলাম প্রমুখ।

আদাবর : আদাবরের নবোদয় বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। মোহাম্মদপুর থানা সেক্রেটারি ডা. শফিয়ার রাহমান ও আদাবর থানা সেক্রেটারি আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে এতে উপস্থিতি ছিলেন জামায়াত নেতা ইমরান হাসান তারিফ, সাকিবুল হাসান, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, শিবির নেতা মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

মিরপুর ১১ নম্বর : মিরপুর ১১ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। পল্লবী থানা আমীর আশরাফুল আলম ও রূপনগর থানা আমীর মো. নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মো. জামালউদ্দিন, গাজী মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

খিলগাঁও : খিলগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। মিছিলটি গোড়ান টেম্পুস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করে হাজি মসজিদে গিয়ে পিকেটিংয়ে মিলিত হয়। ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য মো. আল আমীনের নেতৃত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের মহানগরী পূর্বের সেক্রেটারি শরিফ হোসেন, জামায়াত নেতা মজিবুর রহমান প্রমুখ।

মিরপুর ১৪ নম্বর : মিরপুর ১৪ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। মিছিলটি মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করে। ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য কাফরুল অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ভাসানটেক থানা সেক্রেটারি আলাউদ্দিন মোল্লা, খান হাবিব মোস্তফা, আহাদ জিহাদী, সেলিম খলিফা, ইকবাল হোসেন খান, শাহআলম, শিবির নেতা শামিম হোসেন, আহসান হাবিব প্রমুখ।

ডেমরা : ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আরিফ হোসাইন, এ.আহমেদ, আবুল কাশেম, আব্দুর রহমান, মো. মাসুম, গালিব আবদুল্লাহ প্রমুখ।

দনিয়া : সকাল পৌনে ৭টায় রাজধানীর দনিয়া এলাকা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী কদমতলী (পূর্ব) থানা। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত নেতা মনির হোসেন, দলিলুর রহমান, মাওলানা কামাল উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, আতিকুর রহমান, শিবির নেতা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

শ্যামপুর :  শ্যামপুর আউটার সার্কুলার রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত নেতা প্রফেসর এন. আহম্মদ, প্রফেসর রহিম উল্লাহ, মহিউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা মো. সেলিম, ডা. আতিকুর রহমান, শিবির নেতা সোহাগ হোসেন প্রমুখ।

ধোলাইপাড় : ধোলাইপাড় এলাকা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত নেতা প্রফেসর আবু হুযাইফা, মো. মোক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন, বেলায়েত হোসাইন শিবির নেতা তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

শনির আখড়া : শনির আখড়ায় পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী।

চকবাজার : ইসলামবাগ ও চকবাজার এলাকা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। চকবাজার থানা আমীর মো. আল আমিনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হুমায়ুন কবির, মো. জাকারিয়া, মোজাম্মেল হক, আল-ইসলাম, শিবির নেতা আশরাফ হোসেন, আসলাম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

উত্তরা সোনারগাঁও জনপদ : উত্তরা সোনারগাঁও জনপদ এলাকা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। পুলিশ এখান থেকে ৩ জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে। তারা হলেন, মনির হোসেন, আশরাফ হোসেন ও ওমর ফারুক।

কলাবাগান : সকাল থেকেই কলাবাগানের বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে নেতৃত্ব দেন কলাবাগান থানা সেক্রেটারি শাহেদ আলম।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।