সংবাদ শিরোনামঃ

মুজাহিদ ও সালাউদ্দিনের শাহাদাত ** মুজাহিদের বিরুদ্ধে সরকারের করা মামলার ইতিহাস ** দুই জাতীয় নেতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ** অপরাজিত শহীদ মুজাহিদ পরাজিত সরকার ** শহীদ মুজাহিদের কবরের পাশে অশ্রুভেজা জনতার ঢল ** প্রতিহিংসা চরিতার্থে মুজাহিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সরকার ** মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন মার্সি পিটিশন করেননি ** মুজাহিদকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত ** বিরোধী নেতাদের ফাঁসি রাজনৈতিক বিভাজন বাড়াবে ** আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ** একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যার বিচার আল্লাহ করবেন ** দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে ** ধাওয়া-খাওয়াদের খবর ** নতুন উদ্যোক্তা গড়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ** শহীদ মুজাহিদের রক্ত এদেশের মাটিকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য উর্বর করবে ** প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন মুজাহিদ ** শাহাদাতের মৃত্যু গৌরবের **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪২২, ১৪ সফর ১৪৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

মার্কিন আইন প্রণেতারা এমন মতই প্রকাশ করেছেন : এপি

যুদ্ধাপরাধের বিচার অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক

সোনার বাংলা ডেস্ক : প্রভাবশালী দুই বিরোধী নেতার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পর বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল নিয়ে সমালোচনা আরও তীè করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রনীতি দেখভাল করে থাকেন এমন কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতা ট্রাইব্যুন্যালকে ‘অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ’ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যম বলে আখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বার্তায় তুলনামূলক কম তীè ছিল। গত ২০ নভেম্বর শুক্রবার মন্ত্রণালয় বলেছে, বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা উচিত নয়। ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে দণ্ড দিয়েছে পৃথক দুই ট্রাইব্যুন্যাল। এদের বেশিরভাগই বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতা। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ট্রাইব্যুন্যাল গঠন করেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলোর প্রাপ্য ন্যায়বিচার পেতে ইতোমধ্যে অনেক বিলম্ব হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বলছে, যুদ্ধের সময় স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তানী সেনারা ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করে। ধর্ষণ করে ২ লাখ নারীকে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে। আর এসবের জবাবদিহিতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে, বিচারের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় বাড়ছে। গত ৮ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তাদের দণ্ডিত করা হয় ২০১৩ সালে। আগস্ট মাস পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্টিফেন র‌্যাপ বলেছেন, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না- এ সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীদের ডাকার অধিকার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক। ওই সাক্ষীদের মধ্যে সাবেক একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ট্রাইব্যুন্যাল প্রসিকিউশনকে ৪১ জন সাক্ষী ডাকার সুযোগ দিয়েছে। পান্তরে সালাউদ্দিনের আইনজীবীদের ৪ জন সাক্ষী ডাকতে সীমিত করে দেয়া হয়।

 à¦¨à¦¿à¦‰ ইয়র্ক ভিত্তিক ওই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, অধঃস্তনদের অপরাধ সংঘটনে উস্কে দেয়ার অভিযোগে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তবে, কোনো অধঃস্তন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা বা তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। ট্রাইব্যুন্যালের কর্মপ্রক্রিয়া দেশের বিভক্ত রাজনীতি দিয়ে প্রভাবিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ দলের নেতা শেখ হাসিনা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, সহিংসতা, ভীতি আর সেলফ-সেন্সরশিপের এক পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দণি এশিয়ার শীর্ষ এক মার্কিন কূটনীতিককে মঙ্গলবার লেখা এক চিঠিতে আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশের নেতাদেরও সমালোচনা করেছেন যারা এ বছর কট্টরপন্থীদের হাতে ধর্মনিরপক্ষে লেখক-ব্লগার সিরিজ হত্যার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেন। হত্যার শিকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান-বাংলাদেশী লেখক অভিজিত রায়। ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে ঢাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এক সময় বাংলাদেশে এমন কট্টরপন্থী সহিংসতা ছিল বিরল। প্রধানত মুসলিম দেশ হলেও দেশটিতে ধর্মনিরপে বলিষ্ঠ এক সংস্কৃতি রয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের পূর্ব অংশ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানভিত্তিক আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। রক্তাক্ত অভিযানের মাধ্যমে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখায় পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক নেতারা। এরপরই জেগে ওঠে পূর্ব পাকিস্তান। রক্তয়ী যুদ্ধে জন্ম হয় বাংলাদেশের। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কৃতকর্ম মা করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন টানাপোড়েনের ইতিহাস সত্ত্বে¡à¦“ বাংলাদেশ কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য দ্বিপীয় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম একটি দাতা রাষ্ট্র এবং রফতানি বাজার। তবে, হাসিনার শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিপ এবং সুশীল সমাজ কর্মীদের প্রতি তার আচরণ সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।