সংবাদ শিরোনামঃ

আল্লাহর সান্নিধ্যে শহীদ কামারুজ্জামান ** কামারুজ্জামানের সংগ্রামী জীবন ** শহীদের প্রতিফোঁটা রক্ত ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করবে ** শহীদ কামারুজ্জামান ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ ** বাংলাদেশে এখন বড় দুঃসময় ** মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত ** বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে লুটপাট ও সেøাগানের রাজনীতি সৃষ্টি হয়েছে ** যাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিলো একটি কল্যাণমূলক বাংলাদেশ ** বিরোধী দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কাক্সিক্ষত বিজয় আসবেই ** হাইড্রোজেন গ্যাসে গাড়ি চলবে ** কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডে জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্র ইইউসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ ** প্রশ্নবিদ্ধ দেশীয় গণমাধ্যম ** ‘ দুশমনরা এ দেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করতে চায়’ ** জামায়াতের ডাকে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত ** বাজিতখিলায় সূর্য উঠতেই অন্যরকম দৃশ্য ** আল্লাহর পথে আহ্বান কারিণীদের প্রয়োজনীয় গুণাবলী **

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪২২, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৬, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

সোনার বাংলা রিপোর্ট : স্বাগতম বঙ্গাব্দ ১৪২২। বিদায় ১৪২১।  রাজনৈতিক অস্থিরতা, হত্যা, সন্ত্রাস, খুন-গুম, অত্যাচার নির্যাতন, হরতাল, অবরোধ, পুলিশের গুলি আর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমায় নিহতদের পোড়াগন্ধ, আহতদের আর্ত চিৎকার স্বজন হারাদের আহাজারির আরো নানান নেতিবাচক ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করলো বিদায়ী বছর ১৪২১। দেশবাসী আজ সুশাসন আর সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে ১৪২২ সালের সময়ের ভেলার নতুন অভিযাত্রার যাত্রী।

প্রতিবছরই নতুন বছরকে বরণ করার জন্য থাকে নানান আয়োজন। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষেরা তাদের যার যার বিশ্বাসের আলোকে নতুন বছরকে বরণ করবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও হুজুকে মেতে দেশের মানুষ হারিয়ে ফেলে সেই নীতির বন্ধন। বাংলাদেশে ঈসায়ী বর্ষপঞ্জিকার ১৪ এপ্রিল বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালিত হয়। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বাঙালিরা নববর্ষ উদযাপন করেন আমাদের একদিন পর। পাকিস্তান আমলেই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে সত্তর দশকে বাংলা সন সংস্কার ও নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন করা হয়। জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি এ ক্ষেত্রে পালন করে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সনে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাধ্যমে বাংলা সন প্রবর্তনের নতুন সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রস্তাবিত সংস্কার করা সন পুনরায় চাপা পড়ে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সন বিষয়ে নতুন করে তৎপরতা চালায়। ১৯৮৮ (১৩৯৫) সালে সরকার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সুপারিশকৃত সনের আংশিক সংশোধনী এনে রাষ্ট্রীয়ভাবে অফিস আদালতে বাংলা সন ব্যবহারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সর্বশেষ সংস্কারকৃত এ সন পালনে বাধ্যবাধকতাও আরোপ করা হয়। বর্তমানে এটি সর্বত্র গৃহীত ও পালিত হচ্ছে। যদিও কলকাতার পঞ্জিকার দোহাই দিয়ে কোনো কোনো মহল একটি বিতর্কের সৃষ্টি অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কলকাতায় ব্যবহৃত বাংলা সনও আমাদের মতোই সংস্কার করা। ফলে আদি ও আসলের দোহাই দেয়ার সুযোগ তাদেরও নেই।

প্রত্যেক জাতি নিজস্ব সমাজ-সংস্কৃতি-লোকজীবনাচারকে অনুষঙ্গ করে তারা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। আমাদের বাংলা নববর্ষের উৎসব অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে প্রখ্যাত গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘কিন্তু বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে ফসলি সন। মুঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য এই সনের প্রবর্তন করেন। তার সাম্রাজ্যের রাজা-জমিদাররা এই কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের হতদরিদ্র কৃষককে পীড়ন করে খাজনা আদায় করত। পরবর্তী পর্যায়ে এই  শোষণে যোগ দেয় বড় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। হালখাতা নামে উৎসব করে কৃষকের বাকি-বকেয়া আদায় করা হতো এই সময়ে। এই উৎসবও ছিল এক ফাঁদ। কারণ কোনো দ্রব্যের নগদ মূল্য ও বাকি মূল্য এক হতো না। ফলে এই উৎসব মূলত ছিল সম্রাটের অনুকূলে খাজনা আদায়কারী রাজা-জমিদার এবং নিজস্ব লাভের জন্য ব্যবসায়ীদের। দেশের সাধারণ জনগণ, বিশেষত কৃষক-শ্রমিক-মজুরের নয়। তবুও খাতক হিসেবে হলেও এই দেশের দুর্ভাগ্য সাধারণ মানুষের সংযোগ ছিল এই উৎসবের সঙ্গে। পক্ষান্তরে বর্তমানে, এই দিনটিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বেশকিছু শহরে  যেভাবে খুব ঘটা করে উদযাপন করা হচ্ছে, তার সঙ্গে গ্রামীণ জনগণের, কৃষক-শ্রমিক-মজুরের বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে আরোপিত এবং বিলাসী একটি উৎসব, যার উৎপত্তি ঘটেছিল ১৯ শতকের শেষদিকে, কলকাতাকেন্দ্রিক ‘বাবু কালচার’-এর ক্লেদ বা বর্জ্য হিসেবে। অথচ একেই সর্বজনীন উৎসব হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গণবিচ্ছিন্ন একটি মহল। ‘ইসলামে মানুষকে বলা হয়েছে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’। তার জন্য বিভিন্ন পশুর মুখোশ ধারণ করে নিজের অবস্থানের অবনমন ইসলামের চোখে সিদ্ধ নয়। ইসলামে পশু পূজনেরও কোনো অনুমোদন নেই। আমার দৃষ্টিতে, এই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেয়ে, অনেক বড় হলো এর উৎপত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রেণী-চরিত্র। এই পূর্ব বাংলার শোষিত কালো মানুষদের উত্তরসূরি হিসেবে আমি এই উৎসবকে দেখি আমার শত্রুপক্ষ তথাকথিত আর্য নামক বাবুদের উপহাস হিসেবে। সে কারণে আমরা আর্য ভারতের সঙ্গে থাকতে পারিনি এবং পাকিস্তানকেও মেরে তাড়িয়েছি সেই কারণেই আমার স্বাধীন সত্তা এই উৎসবকে একটা দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র হিসেবে গণ্য করে। পশুর মুখোশ, জন্তু শোভাযাত্রার সঙ্গে আদিতে পশুপালক আর্যদের সংযোগ এবং আর্য সংস্কৃতিকে ধর্মে রূপান্তরিত করার পর্যায়ে মঙ্গলামঙ্গল প্রতীক নির্ধারণের বিষয়টিও তথাকথিত ব্রাহ্মণ্য ধারণা থেকে উদ্ভূত। এর সঙ্গে এই পূর্ববঙ্গের কালো মানুষদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আবার কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে অচ্ছ্যুৎ-শূদ্র-দাস হতে চাই না। এই উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে তুলে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার এই চক্রান্ত মহাভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা ও তাদের এদেশী দালালদের। এ উৎসব আমাদের নয়। আমাদের নববর্ষ উদযাপনের জন্য, কারও অনুকরণে নয়, একেবারেই আমাদের নিজস্ব জীবনাচরণ থেকে উপাদান নিয়ে উৎসবের প্রকার নির্ধারণ করতে হবে আমাদের নিজেদের। যে উৎসবের আয়নায় বাংলাদেশের গণমানুষের অবয়ব ফুটে ওঠে। ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গ নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন অবয়ব। এটি শুধু বর্ষবরণের জন্য নয়, স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখার জন্যও আবশ্যক।’ শুধু নববর্ষ নয় আমাদের জীবনাচরণ তথা সংস্কৃতি চর্চার প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বকীয়তাকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।