করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট

মুহাম্মদ শওকত আলী, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ডেপুটেশনে থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ম্যনিজিং কমিটির সভাপতি ডেপুটেশনে থাকা দুই শিক্ষককে পুনরায় বিদ্যালয়ে পিরিয়ে আনার জন্য গত ৮ নভেম্বর মহা-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। এদের পাঠদানের জন্য সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু গত বছরে শিক্ষক পরিপূর্ণ ছিলো। অপরদিকে তাদের নিজেদের সুবিধার্থে গেল বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক মিতা রায় ও অন্না দাশ ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে যান।

 à¦—ত ২ মাস আগে শিক্ষিকা মিতা রায়কে উনার বাসার পাশে শিবপাশা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। মূল বিদ্যালয় করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফেরৎ পাঠানে হয়নি। অপরদিকে অন্না দাশ এর বাড়ি কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে হওয়ায় সে সিদ্দিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন নিয়ে বেশ আরামেই রয়েছেন।   

এতে করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ২ শিক্ষকের ডেপুটেশন বাতিল করে কিংবা নতুন শিক্ষক যোগদানের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর আলী।

এ ঘটনায় এলাকার সমাজ সচেতন মানুষ ও অভিভাবকগণ খুবই উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠায় আছেন। আগামী ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নবীগঞ্জে বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধনে আসবেন। এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি অবহিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।