সংবাদ শিরোনামঃ

নির্বাচনী বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে ** ত্রুটিপূর্ণ আইনে জামায়াত নেতাদের বিচার করা হচ্ছে ** রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিন ** সরকার দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ** দেশ আজ গভীর সঙ্কটে॥ প্রয়োজন দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ** জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নয় উৎপাদন বাড়ান ** আরো এক কাপুরুষ জেনারেলের কাহিনী ** দুঃস্থ সাংবাদিকতা ** নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ** সিলেট বগুড়া ও রাজশাহীতে শিবিরের মিছিলে পুলিশের গুলি ** কবি ফররুখ আহমদ এক দুঃসাহসী সিন্দাবাদ **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২১, ২৭ মহররম ১৪৩৬, ২১ নভেম্বর ২০১৪

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কারসাজি

৭০ ভাগ পোলট্রি ফার্ম বন্ধ

কামরুজ্জামান, চরফ্যাশন (ভোলা) : মুরগির বাচ্চা, খাদ্য, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা, চরআইচা ও চরশশীভুষণ থানার কয়েকশত পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েক হাজার খামারি ও শ্রমিক-কর্মচারী। খামারিদের অভিযোগ, বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে অধিক মুনাফার আশায় এ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এবং তারা বলছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাচ্চার দাম তিন গুণ বৃদ্ধি করে ফেলেছে।

 à¦ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ নজরদারি না থাকায় সম্ভাবনাময় এ শিল্পটি ধ্বংস হতে বসেছে। খামারিরা জানান, একদিন বয়সী একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ হয় ২২-২৫ টাকা, কিন্তু তা বিক্রি করা হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। অথচ ২০০৯ সালের শুরুতেও একদিন বয়সের বাচ্চা ৩০ টাকায় পাওয়া যেত। এত উচ্চমূল্যে মুরগির বাচ্চা কিনে বিক্রির সময় লোকসান দিতে হচ্ছে। আর ক্রমাগত লোকসান দিতে গিয়ে মুরগির খামারগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া বেড়েছে খাদ্য ও ওষুধের দাম। মুরগির খাদ্যে ৬৫ শতাংশ ভুট্টা, ১৫ শতাংশ সয়ামিল, ১০ শতাংশ মিটবুন, তিলের খৈল ও মেডিসিন থাকে। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে এসব উপাদানের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে খাদ্যের দাম তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাড়ানো হয়েছে বলে খামারিদের অভিযোগ।

সূত্র জানায়, দেশের পোলট্রি শিল্পে বাচ্চার চাহিদার ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে মেটানো হয়। বাকি ২০ শতাংশ আসে পাশের দেশ ভারত থেকে। ভারত হঠাৎ করে মুরগির বাচ্চার দাম বৃদ্বি করে দেয়ায় বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি বাচ্চা উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের। দেশে বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬০টির মতো। তারা প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ লাখ বাচ্চা উৎপাদন করে। আর ভারত থেকে আসে প্রায় ২০ লাখ মুরগির বাচ্চা।

চরফ্যাশনের পোলট্রির মালিক সিরাজ, মন্নান, হাদী, আলমগীর জানান, আগের ১৪-১৫ টাকা দামের ফিড (মুরগির খাদ্য) এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪৫ টাকা দরে। বাচ্চা ও খাদ্যের দাম ক্রমাগত বাড়লেও সেই অনুপাতে মুরগির দাম বাড়েনি বা এত বেশি বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ক্রমাগত লোকসান দিতে গিয়ে খামারগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তারা বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদনকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে যেমন ইচ্ছা তেমন দাম নির্ধারণ করছে।

ভোলার একাধিক মুরগি বাচ্চা উৎপাদনকারীর সাথে আলাপে তারা জানান, বর্তমানে একটি বাচ্চার উৎপাদন খরচ পড়ে ৪৫-৫০ টাকা। বাচ্চা উৎপাদনের ২০-২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি করতে হয়। খামার মালিকরা জানান, মুরগী বাচ্চা উৎপাদনকারীরা একদিনের একটি বাচ্চার দাম ৭৭-৮০ টাকা করে বিক্রি করে। একদিনের একটি বাচ্চার দাম ৭৭-৮০ টাকা হতে পারে না বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। হ্যাচারিদের হিসাবে উৎপাদন খরচের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে নিলেও হয় ৫০ টাকা।

 à¦†à¦° খামারিদের হিসাবে সব মিলিয়ে একটি মুরগির বাচ্চা ২২-২৭ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সে তুলনায় একদিন বয়সের বাচ্চার মূল্য অনেক বেশি নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন খামারিরা।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।