শিবিরের ৩৩তম শহীদ খোরশেদ আলমের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

শিবিরের ৩৩তম শহীদ খোরশেদ আলমের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল হক

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৩তম শহীদ খোরশেদ আলমের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বোয়ালখালী উপজেলা শিবিরের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পূর্ব সাথী শাখার সভাপতি সাজ্জাদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শিবিরের সেক্রেটারি আসাদ উল্লাহ আদিল। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি ইমরানুল হক, শওকত হোসেন ও রাসেল প্রমুখ। সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল হক বলেন, আদর্শিক সংগঠনের সকল নেতাকর্মী নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। সরকার ও বিরোধীদের শত সহস্র নির্যাতন এ সংগঠনের কর্মীদের দমাতে পারে না। শহীদ খোরশেদ আলম তার উদাহরণ মাত্র। তাঁর শাহাদাত এ অঞ্চলের সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বিপ্লবের সঞ্চার যুগিয়েছেন। কোনো আদর্শিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর জেল জুলুম, হত্যা ও অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে তাদের অব্যাহত আন্দোলনকে রুদ্ধ করা যাবে না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ১৯৮৯ সালের ১৭ অক্টোবর। ঐতিহাসিক এ দিনে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রথম জীবন দিলেন শহীদ খোরশেদ আলম। প্রিয় জম্মভূমিকে রক্তসিক্ত করে আন্দোলনকে এগিযে নেয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন। কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ তাঁর মৃত্যুর কারণ নয়। একটি আদর্শিক সংগঠনকে দেশে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তার আত্মত্যাগে উপলব্ধি করা যায়, বাতিলের চিরচেনা ছাত্রলীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী মনসুরের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন নরপিশাচ শহীদ খোরশেদ আলমের বাড়িতে আকস্মিক হামলা চালায়। রক্তপিপাসু সন্ত্রাসীরা সেদিন শহীদ খোরশেদকে সামনে পাওয়ার সাথে সাথেই গুলি করে। ফলে স্পটেই শাহাদাত বরণ করেন প্রিয় ভাইটি। শহীদ খোরশেদ আজ বেঁচে নেই। কিন্তু তাঁর প্রিয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে শপথ গ্রহণে এগিয়ে এসেছে। শহীদ খোরশেদ আলমের উত্তরসূরীদের দীপ্ত পথচলা এদেশে ইসলামের বিজয় কেতন উড্ডীন হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।