প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায় দৈনিক যুগান্তর-পত্রিকার সৌজন্যে “২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সাবধান” শিরোনামে লেখা প্রতিবেদনের ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং (আইআইইউসি) প্রতিবাদ জানিয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে: “জানা গেছে, আউটার ক্যাম্পাস বাণিজ্যে আরও যারা লিপ্ত রয়েছে তাদের মধ্যে একটি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং (আইআইইউসি)। এই প্রতিষ্ঠানটি মামলার জোরে ঢাকায় ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এর বাইরে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটেও একটি ক্যাম্পাস তারা খুলেছে বলে জানা গেছে।”

উপরোক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আইআইইউসি’র বক্তব্য হচ্ছে: ১। প্রতিবেদনে আউটার ক্যাম্পাস খুলে বাণিজ্য করা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম হিসেবে আইআইইউসি এর নাম উল্লেখ করা মোটেই সঙ্গত হয়নি। কারণ আইআইইউসি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত পূর্বানুমতি নিয়েই ঢাকায় প্রাথমিকভাবে আউটার ক্যাম্পাস চালু করে। [পত্র নং-শিম/শাঃ ১৪/৮ বেঃ বি-৮/২০০০৬৩১(৪) তারিখ: ৩১/১২.২০০১]। যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আউটার ক্যাম্পাস খোলার জন্য সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত হয় তার মধ্যে আইআইইউসি অন্যতম। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে আউটার ক্যাম্পাস অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তখন আইআইইউসি আদালতের শরণাপন্ন হলেও ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। যা ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল।

২। আইআইইউসি প্রথম গ্রেডের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম যারা উচ্চমানের শিক্ষা নিশ্চিত করায় এবং ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল নিয়মনীতি যথাযথভাবে মেনে চলতে আন্তরিক। কখনও আইআইইউসির বিরুদ্ধে বাণিজ্য পরিচালনার অভিযোগ উঠেনি।

৩। আপনাদের প্রতিবেদনে “চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটেও একটি ক্যাম্পাস তারা খুলেছে” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আইআইইউসি শুরু থেকেই ছাত্রীদের পৃথক পাঠদানের ব্যবস্থা করে আসছে। পৃথক ভবন বা একাডেমিক বিল্ডিং-এ পাঠদান আলাদা ক্যাম্পাসের সংজ্ঞায় পড়ে না। বরং এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরিশেষে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের তাগিদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সর্বমহলে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত হয়েছে। এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা সম্পর্কে ইউজিসি’র ঢালাও মন্তব্যকে উপজীব্য করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদন পুনর্মুদ্রণ করেছে। যাতে আপত্তিকর ‘আউটার ক্যাম্পাস বাণিজ্য’ কথাটি আইআইইউসি’র মতো সরকার স্বীকৃত উচ্চমান সম্পন্ন শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছে। এই অবিবেচনা প্রসূত কাটপেস্ট প্রতিবেদনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণœ করেছে।  এ ধরনের একটি প্রতিবেদন পুনঃপ্রকাশের জন্য সাপ্তাহিক সোনার বাংলার বার্তা বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দেশের উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ছাত্রছাত্রীদেরকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার লক্ষ্যেই ঐ প্রতিবেদনটি পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেদনটিতে আইআইইউসি সম্পর্কে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছিল। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।