খুলনা বিভাগীয় সম্প্রীতি সম্মেলনে বিচারপতি আব্দুর রউফ

সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে

খুলনা : গত ২২ আগস্ট নগরীর হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভায় খুলনা বিভাগ সম্প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ

খুলনা সংবাদদাতা : সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভার কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুুর রউফ বলেছেন, শত্র“ সম্পত্তি আইন দেশে গোলমাল সৃষ্টির আঁধার। অবিলম্বে এ আইন তুলে দিতে হবে। তিনি শৃঙ্খলাবোধের অভাবকে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা অভিহিত করে সমগ্র জাতিকে সুশৃঙ্খল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ দেশের জনসাধারণ গভীরভাবে ধর্মবিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে জানাজানির সুযোগ সৃষ্টি করে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান। ২২ আগস্ট শুক্রবার নগরীর হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভা খুলনা বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে সম্প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক ডা. হামে জামালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এইচ এম আলাউদ্দীনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কবি আসাদ বিন হাফিজ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ বায়েজিদ মাহমুদ ও মহিলা সম্পাদিকা ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা ফ্যাকালল্টির ডিন ও পদার্থবিদ্যা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. হারুনর রশীদ খান। এতে বক্তৃতা দেন সংগঠনের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব আবিদুর রহমান, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম মাসুদ, আচার্য মনোরঞ্জন দাস এডভোকেট, শ্রীমত সাজু বড়–য়া, খুলনা ক্যাথলিক চার্চের আঞ্চলিক প্রধান ফাদার ডমিনিকো পিতানজা মিম্মো, মুর্শিদা আক্তার বনি, শ্রীমত অজিত কুমার হালদার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হুসাইন, যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র রায় ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মো. জাকারিয়া।

বিচারপতি আব্দুর রউফ আরো বলেন, বিশ্বে এখন মানবাধিকারের ভুল কনসেপ্ট চালু করা হয়েছে। এটা  প্রকৃতপক্ষে মানবীয় কর্তব্যবোধের কনসেপ্ট হতে হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে এখন এ কর্তব্যবোধের অভাব। আমরা সেই কর্তব্যবোধ থেকেই সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভা করেছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে তারা আমদেরকে গালি দেবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পৃথিবীব্যাপী অবৈধভাবে অন্যের জমি দখলের কাজটি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে শত্রু সম্পত্তি আইন হওয়ার পর এ প্রক্রিয়া চলছে। এ আইনের কারণে প্রশাসনে একশ্রেণীর মোড়লের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এসব সম্পত্তি বরাদ্দ দিয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ গোলমালের নানা পথ খুলে দেয়।

কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বক্তৃতায় দুনিয়ায় ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সকল ধর্মের মানুষ একই পিতা ও মাতার সন্তান। তাই আমাদের ভাইয়ের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।

ব্যরিস্টার ফাতেমা আনোয়ার বলেন, আমরা নিজের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছ্ইু জানিনা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এ অজ্ঞতা আরও বেশি। ফলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শরীফ বায়েজিদ মাহমুদ তার বক্তৃতায় শত্র“ সম্পত্তি আইন দ্রুত বাতিলের দাবি জানান। তিনি আগামী এক বছরের মধ্যে জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রীতি সভার কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে ডা. হামে জামালকে আহ্বায়ক ও সাংবাদিক এইচএম আলাউদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ১০৭ সদস্য বিশিষ্ট খুলনা বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আচার্য মনোরঞ্জন দাস এডভোকেট, শ্রীমত সাজু বড়–য়া, ফাদার ডমিনিকো পিতানজা মিম্মো ও প্রফেসর ড. হারুনর রশীদ খান, যুগ্ম-সদস্য সচিব শ্রী প্রশান্ত হালদার, অশোক সরকার ও মানস বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেভারেন্ট টমাস জয়, মাইকেল শিশির মিস্ত্রি ও রফিউল ইসলাম টুটুল, অফিস সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানা, সহ-অফিস সম্পাদক শেখ শামসুদ্দিন দোহা ও কামরুল হোসেন মনি, প্রচার সম্পাদক এহতেশামূল হক শাওন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকসুদ আলী ও আহমদ মুসা রঞ্জু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার ও জেসমিন বিশ্বাস। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যরা হলেন, প্রফেসর ড. মো. রকিব উদ্দিন, এডভোকেট এসএম মঞ্জুরুল আলম, প্রমথ চন্দ্র বিশ্বাস, এডভোকেট বজলার রহমান, ডা. শেখ আখতারুজ্জামান, এডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, দিলিপ কুমার দে, মো. আতিয়ার রহমান, সাংবাদিক অরুন সাহা, শেখ মোহাম্মদ আলী, ডা. বেলাল হোসাইন, সাংবাদিক অমিয় কান্তি পাল, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ, সাংবাদিক মো. আনিসুজ্জামান, অজিত কুমার হালদার, প্রশান্ত সরদার, লাবনী দে, ডা. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী, ডা. মোস্তফা কামাল, ওমর ফারুখ রাসেল, সাংবাদিক মো. এরশাদ আলী, শাহাবুদ্দিন, ডমেনিক চিত্ত, সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এস এ মুকুল, কার্তিক চন্দ্র রায়, সঞ্জীব দে, সাংবাদিক সুবীর কুমার রায়, এস আলম, প্রফেসর তৈয়্যেবুর রহমান, সাংবাদিক বিপব চক্রবর্তী, মনিরুল ইসলাম, প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, প্রফেসর সাইদুর রহমান, সাংবাদিক কেএম জিয়াউস সাদাত, সাংবাদিক হারুন অর রশীদ, সাংবাদিক এমএ জলিল, ক্রীড়াবিদ রঘুনাথ মিত্র, চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, আশিষ মানুয়েল পাড়ৈ, জিএম আলী মুনসুর, অশোক সরকার, শ্যামা কর্মকার, অভিজিৎ বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, লুইস প্রকাশ রতœ, এবি সিদ্দিক, সুনির্মল কুমার দাস, দিলিপ টিকাদার, রনজিৎ মণ্ডল, স্বপন কুমার দে, এসএম মুহিত, শামীম আরা হক, ডা. রায়হান, রাসেল খান, মোল্লা আমজাদ হোসেন, সোহেল রানা, মাওলানা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, এডভোকেট রেবেকা সুলতানা, রেভারেন্ট এলডি কীর্ত্তনীয়, বায়োজস বিশ্বাস, বরুন বাড়ৈ, বেবী তেরেজা গোমেজ, ডা. টিকেন্দ্র, আমজাদ মিয়া, সুজয় চন্দ্র মিয়া, মো. বাবুল মিয়া, বিপুল মৃধা, এসএম আকরাম, সোবহান সরদার, অভিজিৎ বিশ্বাস, অরুন মহলী, নিশীর কুমার ঢালী, মো. মাহাবুব বিল্লাহ, মো. মাসুদ চৌধুরী, মিসেস ক্লাবা বানু, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম নূর, শ্রী প্রদীপ কুমার বসু (সন্তু) বাজেশ্বর সরকার, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস ও ডা. শিশির রঞ্জন মলিক।