ইসলামী ব্যাংকে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের মতো মানুষের অনুপস্থিতি পূরণ হবার নয়

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের গত ২৫ আগস্ট সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের মোহাম্মদ ইউনুছ অডিটোরিয়ামে ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভায় সভাপতির ভাষণ দিচ্ছেন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা ২৫ আগস্ট সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে মোহাম্মদ ইউনুছ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসকান্দার আলী খান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, স্পন্সর জাকিউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুলাহ ও ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ দাউদ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহা. শামসুল হক ও মো. আবুল বাশার, পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই মো. শাহাদাত হোসেন, বড় মেয়ে ফারাহ আনজুম বারি ও জামাতা এস এ বারি। এ সময় তার পরিবারের সদস্যবর্গ এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভায় বক্তারা মরহুম মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রায় তার অবদানের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। তারা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও স্থায়ী করতে তৈরি পোশাক শিল্প ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে তার সুদুরপ্রসারি চিন্তা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মরহুম মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন সফল উদ্যোক্তা,  দরদি মানুষ ও একজন  প্রকৃত বন্ধুত্বের বাস্তব উদাহরণ হতে পারে। গতিশীল, উদ্যোমী ও প্রেরণাদানকারী এ মানুষটি অতি সহজেই অপরকে আপন করে নিতে পারতেন এবং যে কোনো বিষয়ে তড়িৎ ও যথাযথ সমাধান দিতে পারতেন। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে তার কর্মময় জীবনের প্রতিটি বিষয় প্রাধান্য পেত উল্লেখ করে তারা বলেন, এমন গুণী মানুষের অনুপস্থিতি কখনো পূরণ হবার নয়।

বাংলাদেশে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরীআহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মরহুম মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বক্তরা বলেন, তিনি তার মেধা, মনন, দক্ষতা ও দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন, একাধারে উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, সংগঠক, দরদি বন্ধু ও প্রাজ্ঞ মনিষি ষাটের দশকে পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে জ্ঞানের দিক থেকেও অগ্রগ্রামী করতে ভূমিকা পালন করেন। বক্তারা বলেন, কর্মমুখর ও গতিশীল এ মানুষটি জনগণ ও দেশের সেবায় যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা জাতি দীর্ঘদিন তাকে বিনম্রভাবে স্মরণে রাখবে। বক্তারা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।