সাতীরায় হামলা ভাঙচুর ও গ্রেফতারের নিন্দা

স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম-নির্যাতন থেকে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরাও রেহাই পাচ্ছেন না : ডা. শফিকুর রহমান

সাতীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাতীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল বারীর বাড়িতে এবং উপজেলা পরিষদ কার্যালয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে রাখা এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গত ১৬ আগস্ট শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুল বারী তিন বার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্ত করার জন্য তার বাড়িতে ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তারা একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদ অফিসে বসে কাজ করার ব্যাপারেও বাধা দিচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম-নির্যাতন থেকে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরাও রেহাই পাচ্ছেন না। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। সরকারের দুঃশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতার অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। মাওলানা আবদুল বারীর বাড়িতে এবং শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনার সাথে জড়িত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।