বিদেশি চাপ ও নিরাপত্তা সংকট : উপজেলা নির্বাচন : রাজপথের আন্দোলন নিয়ে
উৎকণ্ঠা বাড়ছে শাসকশিবিরে
॥ ফারাহ মাসুম ॥
একতরফা নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন এবং উত্তরাধিকার নির্ধারণসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে শাসকদলে তীব্র গৃহদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত এক ধরনের বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এ বিভক্তিতে কোথাও দ্বিধা, কোথাও ত্রিধা আবার কোনো কোনো জায়গায় ৪-৫ ভাগে বিভাজিত হয়ে পড়েছে দল। এ বিভক্তির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে সরকারের হাইকমান্ডে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ কারণে প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন ক্ষমতাসীন দলের এক ধরনের নিয়ন্ত্রণে রেখে এ নির্বাচন করার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। অবশ্য এজন্য প্রথম দফার ফলাফল কেমন হয়, সেটি দেখার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : এদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের বিভক্তি ও কোন্দল ক্রমেই প্রকাশ্য রূপ নিতে শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভক্তির সূচনা হয়েছিল, তা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ১৫২টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগ এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছে। দলের কোন্দল কমানো এবং দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বন্ধের জন্যই আওয়ামী লীগ এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন এ সিদ্ধান্তে বিভক্তি আরো বাড়তে শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় যে ১৫২টি ....বিস্তারিত
বিশেষ সম্পাদকীয়
আমাদের আগামী দিনের পথচলায় আপনাদেরকে পাশে চাই
॥ মো. তাসনীম আলম ॥
সাপ্তাহিক সোনার বাংলার ৬২ বছর পূর্তিতে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এ পর্যায়ে আসা সত্যিই একটি বিরল ঘটনা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ মুহূর্তে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বজনাব মহীউদ্দীন আহমদ, মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক মঞ্জু, কবি সোলায়মান আহসান, মোশাররফ হোসাইন, জয়নুল আবেদীন আব্দুল্লাহসহ অনেক বিদগ্ধ ব্যক্তিকে, যারা সোনার বাংলাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়েছেন। শ্রদ্ধার সাথে আরো স্মরণ করছি প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ, লেখক, অকুতভয় সাংবাদিক, সোনার বাংলার ভূতপূর্ব সাবেক সম্পাদক জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে, যিনি অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। এ দুনিয়া থেকে চলে গেলেও অগণিত মানুষের হৃদয়ে রয়েছে তার স্থান।
সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্রের মাধ্যমেই আমরা সমাজের বাস্তব চিত্র বুঝতে পারি। তাই তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেই সংবাদপত্র না দেখলে সচেতন মানুষের দিনটা যেন ভালো কাটে না। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে কিছুটা ব্যতিক্রম মনে হলেও নির্ভরযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের জন্য মানুষ প্রিন্ট মিডিয়া, অর্থাৎ মুদ্রিত পত্রিকার পাতায় চোখ বোলায়।
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা বহুল প্রচারিত একটি পত্রিকা। বিভিন্ন সময় মার্কেটে অনেক সাপ্তাহিক পত্রিকা এসেছে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাঠকপ্রিয়তা হারিয়ে অথবা ননা কারণে টিকে থাকতে পারেনি। তবে আল্লাহর মেহেরবানিতে অগণিত পাঠক, শুভাকাক্সক্ষী, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, ....বিস্তারিত
ইন্ডিয়া আউট এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন
তৎপর হচ্ছে বিএনপি
॥ জামশেদ মেহ্দী॥
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনসহ সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে কোটি কোটি মানুষের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও কেন সেই আন্দোলন ব্যর্থ হলো, সেটি নিয়ে এখন বিএনপির মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। বিএনপির অত্যন্ত সিনিয়র পর্যায়ের দুই নেতা অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, যে বিজয়টি ছিল অবশ্যম্ভাবী, সেই বিজয়টি আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেল। কেন বেরিয়ে গেল, সেটি নিয়ে নিরপেক্ষ বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধি এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান করেছেন। তার অনুসন্ধানে এ অকাট্য সত্যটি বেরিয়ে এসেছে, বিএনপির একটি অংশের ভেতর এখন ভারতবিরোধী মনোভাব ক্রমান্বয়েই জোরদার হচ্ছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে সিনিয়র পর্যায়ের একটি অংশ মনে করছেন যে, ২০১৪ সালের পর থেকে বিএনপির কার্যক্রম তথা আন্দোলনে অকস্মাৎ ভারত সম্পর্কে কোনো কথা বলা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। অথচ মরহুম জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন, তখন লাখ লাখ মানুষ বিএনপির পেছনে যে কারণে কাতারবন্দি হয়েছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ভারতীয় প্রভুত্ব থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনা। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির এ অবস্থানে আমূল পরিবর্তন আসে।
বিএনপির একশ্রেণির নেতা প্রকাশ্যে না হলেও নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেন যে, ভারতের ভৌগোলিক অবস্থা এমন এবং এখন ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, ক্ষমতায় যেতে হলেও ভারতের বন্ধুত্ব প্রয়োজন। আবার সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যও ভারতের ....বিস্তারিত
উন্নয়নের বয়ান ও স্বাধীনতার স্বপ্ন
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন- স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূূর্তিতে এ সত্য আরো প্রকটভাবে উপলব্ধি করছে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। আবার সংগ্রামী জনতার মুখে বজ্রকঠোর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে, ‘পিন্ডির দাসত্বমুক্ত হয়েছি দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়।’ কেন স্বাধীনতার এত বছর পর এমন বড় করে সামনে আসছে এ শঙ্কা। তবে কি লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি এদেশের মানুষ। এ ব্যর্থতার দায় কার? পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত, ‘নিঃসন্দেহে রাজনীতিবিদদের’। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতা দখলকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাদের তল্পিবাহক বাম এবং ইসলামের নাম ব্যবহারিকারী কতিপয় স্বার্থান্ধ সিল-প্যাড-সাইনবোর্ডসর্বস্ব রাজনীতি ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠু ধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে প্রধান বাধা বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। নিকটতম এবং বৃহত্তম প্রতিবেশী ভারতের দাদাগিরিও এদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার পথে অন্যতম প্রধান বাধা। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশের জন্মের সাথে ইতিবাচকভাবে জড়িয়ে আছে ওপরে উল্লেখিত প্রত্যেকের নাম। ১৯৭০ সালে ভোটের অধিকার এবং স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার গণআন্দোলন পরে মুক্তিযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। সত্যি সেলুকাস! ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধে বিজয়ী দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। এদেশের জনগণকে লড়াই করতে হচ্ছে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। উন্নয়নের বয়ানের আড়ালে ....বিস্তারিত
সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিকের কারখানা বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকার নেতৃত্বশূন্য দেশকে করদরাজ্য বানানোর জন্যই ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। আর সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিকের কারখানা বানানোর গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে কথিত নির্বাচনের নামে চর দখলের মহড়া শুরু করেছে। যারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসেন, এদেশে সুশাসন, ভোটাধিকার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক- যাদের প্রত্যাশা, তারা সকলেই আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই স্বাধীনতার সুফল জনগণের হাতে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে এবং চলবে, ইনশাআল্লাহ।
গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুর রব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, নগর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর এসিস্ট্যান্ট ....বিস্তারিত
আকাশচুম্বী ঋণের বোঝায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। ঋণ বাড়ায় তার সুদের পরিমাণও বাড়ছে। এবারই প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আকাশচুম্বী এই ঋণের বোঝা গোটা অর্থনীতিকে পর্যদস্ত করে দিয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষে সরকারে ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণে স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ১১ ট্রিলিয়ন বা ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকার সমান (ডলার মূল্য ১১০ টাকা ধরে)। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার।
গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ডলার। তার মানে পরের তিন মাসে ৪ বিলিয়ন বা ৪০৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে। এ সময়ে সরকার ৪৪২ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ নিয়েছে। তার বিপরীতে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি কমেছে ৬৪ কোটি ডলারের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। আর গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত আট বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বেড়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ....বিস্তারিত
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত : মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। আজকে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। জনগণ স্বাধীনতার সুফল আজও ভোগ করতে পারেনি। জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রকাশ্যে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রাম করতে পারছে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ইনসাফ, সামাজিক সুবিচারের যে ঘোষণা আছে, তা আজ চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত। বার বার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে দেশে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। স্বাধীনতাকে আওয়ামী লীগ নিজেদের সম্পত্তি মনে করে অথচ আওয়ামী লীগের মধ্যে কেউ বীরশ্রেষ্ঠ নেই। আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ আগ্রাসী শক্তি ও আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ফ্যাসিবাদের পতন ও বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
গত ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় ....বিস্তারিত
ঈদযাত্রা : পথে পথে দুর্ভোগের হাতছানি
স্টাফ রিপোর্টার : রোজা এখন শেষ পর্যায়ে। আর ক’দিন পরই ঈদ। পবিত্র রমযান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মানুষকে তারপরও নাড়ীর টানে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন নগরবাসী। আসছে সপ্তাহজুড়েই ঢাকা ছাড়বেন কোটিরও বেশি মানুষ। এছাড়া দেশের অন্য বিভাগীয় শহরের বসবাসকারীরাও ছুটি পেলে নগর ছেড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ করতে বাড়ি যাবেন। প্রতি বছরই ঈদ কোনো কোনো পরিবারের জন্য আনন্দের পরিবর্তে বিষাদে রূপ নেয়। সড়ক, নৌ ও রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং চালকদের বেপরোয়া চালানোয় ঘটে নানা দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। কোনো কোনো চালক বিশ্রাম না নিয়ে টানা ডিউটি করেন! ফলে একপর্যায়ে তিনি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। অনেকে কাজ শেষ হলে লোকাল পরিবহন ব্যবহার করেই গ্রামে যাবেন। তাছাড়া প্রাইভেট রেন্ট-এ-কার, উবার, মাইক্রো ভাড়া করতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
বাংলাদেশ রেলওয়ে গত ২৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। টিকিট বিক্রি চলার কথা ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু টিকিট বিক্রয় শুরু হবার ৫ মিনিটের মধ্যেই সকল টিকিট বিক্রয় শেষ হয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও কলোবাজারিদের যোগসাজশকে দায়ী করেছেন। প্রথম দিন ২৪ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৩ এপ্রিলের টিকিট। গত ১৩ মার্চ রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত ....বিস্তারিত
শহরাঞ্চলে গরিব মানুষ বাড়ছে
সোনার বাংলা ডেস্ক : দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ গরিব। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ২১ দশমিক ৬ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। গবেষণায় আরও বলা হয়, গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটি কমে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়কালে শহরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ২০১৮ সালে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।
গবেষণায় বলা হয়, নিম্ন দারিদ্র্যসীমা ব্যবহার করে জাতীয় পর্যায়ে চরম দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। বিভাগীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ রংপুরে, ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরই আছে বরিশাল, ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।
মৌলিক চাহিদার খরচভিত্তিক দারিদ্র্য এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পদ্ধতি- উভয় ক্ষেত্রেই শহুরে দারিদ্র্য বৃদ্ধির পেছনের দুটি কারণ অনুমান করা হয়েছে গবেষণায়। প্রথম কারণটি হলো- নাজুক দরিদ্রদের (যারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকলেও যেকোনো ধাক্কার প্রভাব ....বিস্তারিত
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- উৎকণ্ঠা বাড়ছে শাসকশিবিরে
- উন্নয়নের বয়ান ও স্বাধীনতার স্বপ্ন
- সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিকের কারখানা বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : ডা. শফিকুর রহমান
- আমাদের আগামী দিনের পথচলায় আপনাদেরকে পাশে চাই
- শহরাঞ্চলে গরিব মানুষ বাড়ছে
- আকাশচুম্বী ঋণের বোঝায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত
- তৎপর হচ্ছে বিএনপি
- ঈদযাত্রা : পথে পথে দুর্ভোগের হাতছানি
- স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত : মিয়া গোলাম পরওয়ার